শহুরে রুক্ষতা, দূষণের কারণে সবুজগুলো আজ সব ধূসর হয়ে গেছে। গাছপালার সংখ্যা এতই নগণ্য যে, রীতিমতো খুঁজতে হয় সবুজ। দিনে দিনে সমাজ যত আধুনিক হচ্ছে, ততই যেন নষ্ট হচ্ছে প্রকৃতির সৌন্দর্য। ফলাফল আজকের এই দূষণের নগরী!

পুরো পৃথিবীর চিত্র হয়তো পাল্টানো সম্ভব নয়, কিন্তু ইচ্ছে করলে বদলানো যেতেই পারে নিজের চারপাশটা। কংক্রিটের বাড়িতে নিয়ে আসতে পারি সবুজের স্পর্শ। চলুন সবুজের অভিযাত্রা শুরু করি নিজ বাড়ির অন্দরমহল থেকেই। হোক তা একচিলতে বারান্দা বা বাড়ির একটা ছোট্ট কর্নার, গাছ সাজানোর জন্য তাই যথেষ্ট। ভেবেই দেখুন না, সকালবেলা ঘুমজড়ানো চোখে বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন, আর চোখের সামনে ফুটে উঠল সবুজ ক্যানভাস। এতে করে চোখের আরাম তো বটেই, সঙ্গে মিলবে মনের প্রশান্তি। হাউস বিউটিফুল অনলাইনের সৌজন্যে চলুন জেনে নিই বাড়িতে কী করে সবুজের ছোঁয়া দেওয়া যায়।  

• বাড়ির সামনে বা পেছনে কিংবা ছাদে যদি বাগান করার অবকাশ থাকে, তাহলে তো কথাই নেই। সারি সারি টবে লাগিয়ে ফেলুন ফুল আর ফলের গাছ। সঙ্গে দিতে পারেন কিছু ঝুলন্ত পাত্রে মনের মতো গাছ। আপনার ফ্ল্যাটের সীমিত পরিসরেও বানিয়ে ফেলতে পারেন গ্রিন কর্নার। এর জন্য তেমন কোনো প্রস্তুতিরও দরকার হয় না কিংবা খরচও নেই তেমন একটা। এখানে ইচ্ছেটাই আসল। বনসাই যদি অপছন্দের তালিকায় থাকে, তবে লাগাতে পারেন হরেক রঙের পাতাবাহার বা লতানো গাছ।

• বাড়িতে বসার জায়গাটি যদি ছোট হয়, সেখানে টাঙাতে পারেন ঝুলন্ত গাছ কিংবা তৈরি করে নিন লোহা দিয়ে নিজের পছন্দমতো ওয়াল হ্যাঙ্গিং। তারপর ছোট ছোট পাত্রে সেখানে রাখতে পারেন ক্যাকটাস বা মানিপ্ল্যান্ট। 

• ডাইনিং টেবিলের মাঝখানেও রাখা যেতে পারে বাহারি পটে একটি কি দুটো ছোট্ট গাছ। দরজার ফ্রেমেও দিতে পারেন লতানো গাছ। দারুণ একটা সতেজ আবহাওয়া পাবেন কেউ বাসায় ঢোকার সময়েই। 

• আজকাল নানা রকম ডিজাইন করা মাটির কলসি পাওয়া যায়। সেগুলোতে লাগাতে পারেন পছন্দের গাছ। এতে করে মিলবে আপনার রুচির পরিচয়। এমনকি আপনার ফেলে দেওয়া কাচের বোতলেও রাখতে পারেন লতানো গাছ। 

তাহলে আর দেরি কেন? আজ থেকে শুরু হোক আপনার অন্দরমহলে সবুজের যাত্রা।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Thimpu-Paro-Dochala Pass-Punakha 6D/4N

মূল্য: ২৬,৯০০ টাকা

কুইক সেল অফার

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনুন

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনু...



৩৮৯ বার পড়া হয়েছে