সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য গৃহঋণ নীতিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীরা মাত্র ৫ শতাংশ সরল সুদে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহ নির্মাণ ঋণ পাবেন। সরকারি চাকরিজীবীরা সর্বোচ্চ ৫৬ বছর বয়স পর্যন্ত এই ঋণের সুযোগ পাবেন। ব্যক্তিগত বয়স ৫৬ পেরিয়ে গেলে তিনি আর এই ঋণ পাওযার যোগ্য হবেন না।
জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাট কেনা বা নিজস্ব জমিতে বাড়ি নির্মাণের জন্য কেউ নিজস্ব উদ্যোগে ১০ টাকা খরচ করলে তিনি সর্বোচ্চ ৯০ টাকা ঋণ পাবেন। এক্ষেত্রে রেশিও হবে ৯০:১০। সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ ঋণের সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এটি হবে সরল সুদ এবং সুদের ওপর কোনও সুদ আদায় করা হবে না।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, ঋণগ্রহীতা কর্মচারী ব্যাংক রেটের সমহারে (বর্তমানে যা ৫%) সুদ পরিশোধ করবেন। সুদের অবশিষ্ট অর্থ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ২০ বছর। গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে টাকা পাওয়ার এক বছর পর থেকে এবং ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ঋণের টাকা পাওয়ার ছয় মাস পর থেকে মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ শুরু করবেন।
ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে চূড়ান্ত হওয়া নীতিমালার ৩ ধারায় বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব খাতভুক্ত স্থায়ী পদে কর্মরত হতে হবে। সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৫৬ বছর। তবে কোনও কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় বা দুর্নীতি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল হলে সে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না। সরকারি চাকরিতে চুক্তিভিত্তিক, খণ্ডকালীন ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত কেউ এই ঋণ সুবিধা পাবেন না।
ফিচার বিজ্ঞাপন
US Visa for Retired Person
Cambodia (Phnom Penh & Siem Reap) 6D/5N
US Visa (Spouse)
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, জাতীয় বেতন স্কেলের পঞ্চম গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা, যাদের বেতন স্কেল ৪৩ হাজার বা এরও বেশি তারা প্রত্যেকে ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদরে গৃহ নির্মাণ ঋণ পাবেন ৭৫ লাখ টাকা। জেলা সদরে এটি ৬০ লাখ এবং অন্যান্য এলাকায় ৫০ লাখ হবে। বেতন স্কেলের নবম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেড পর্যন্ত বা যাদের মূল বেতন ২২ হাজার থেকে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত তারা ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদর এলাকার জন্য ৬৫ লাখ, জেলা সদরের জন্য ৫৫ লাখ ও অন্যান্য এলাকার জন্য ৪৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। ১১ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা মূল বেতন বা দশম থেকে ১৩তম গ্রেডের চাকরিজীবীরা ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদরের জন্য ৫৫ লাখ টাকা, জেলা সদরের জন্য ৪০ লাখ ও অন্যান্য এলাকার জন্য ৩০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। ১৪তম গ্রেড থেকে ১৭তম গ্রেড বা বেতন স্কেলের ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার ২০০ টাকা বেতনধারীরা ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদরের জন্য ৪০ লাখ, জেলা সদরের জন্য ৩০ লাখ ও অন্যান্য এলাকার জন্য ২৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। আর ১৮তম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেড বা যারা আট হাজার ২৫০ টাকা থেকে আট হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত মূল বেতন পান, এমন কর্মচারীরা ঢাকাসহ সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদরের জন্য গৃহ নির্মাণ ঋণ পাবেন ৩৫ লাখ টাকা। জেলা সদরে এটি হবে ২৫ লাখ ও অন্যান্য এলাকার জন্য তা হবে ২০ লাখ টাকা।
নীতিমালার ৪ ধারায় বলা হয়েছে, এই নীতিমালার আওতায় একজন সরকারি কর্মচারী দেশের যেকোনও এলাকায় গৃহ নির্মাণ বা ফ্ল্যাট কেনার উদ্দেশ্যে ঋণ নিতে পারবেন। গৃহ নির্মাণ বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ভবনের নকশা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত হতে হবে। যে জমি বা ফ্ল্যাট কেনা হবে, তা সম্পূর্ণ দায়মুক্ত হতে হবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৪৬১ বার পড়া হয়েছে




