মেট্রোরেলের কারণে কমলাপুর রেলস্টেশন সরানো হচ্ছে। মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তনের কথা রেল কর্তৃপক্ষ বললেও মেট্রোরেল বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বলছে, মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তন করলে দুই থেকে তিন কিলোমিটার পথ বেড়ে যাবে। তাই মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তন না করে কমলাপুর রেলস্টেশন সরানো ভাল হবে।
ডিএমটিসিএলের মতামত মেনে নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন শাহজাহানপুরে রেলের জমিতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বিষয়টি এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, মেট্রোরেলের সবগুলো স্টেশন উড়ালপথে হবে। এতে মেট্রোরেলের স্টেশনের কারণে কমলাপুর রেলস্টেশনের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে কমলাপুর রেলস্টেশনের সৌন্দর্য রক্ষার্থে উত্তর দিকে সরিয়ে নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে স্টেশন ভবনটি ভাঙা পড়বে। জাপানের কাজিমা করপোরেশনের নকশা ধরে কমলাপুর স্টেশনটিই ১৩০ মিটার উত্তরে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ রাজি হয়েছে। আগের ভবনটি ভেঙে ফেলতে হবে। এতে মেট্রোরেলেরও কোনো পরিবর্তন করা লাগবে না।
রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, মেট্রোরেলের কারণে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন উল্টরপাশে সরানো হলেও বর্তমান কমলাপুর স্টেশনের আদলে নির্মাণ করা হবে। নতুন রেলস্টেশনে কোনো ধরনের পরিবর্তন আনা হবে না। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শামসুজ্জামান বলেন, শাহজাহানপুর এলাকায় রেলের জমিতে মাল্টিমোডাল হাব করার প্রকল্পের আওতায় কমলাপুর রেলস্টেশনের মতো নতুন স্টেশন তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ করতে দশ বছর সময় লাগতে পারে। ২০১৮ সালে সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি) কমলাপুর স্টেশন ঘিরে মাল্টিমোডাল হাব করার প্রকল্প সরকার নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়। এর অধীন কমলাপুর স্টেশনের চারপাশে অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। থাকবে হোটেল, শপিং মল, পাতাল ও উড়ালপথ। বহুতল আবাসন ভবনও নির্মাণ করা হবে। মাল্টিমোডাল হাব প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জাপানের কাজিমা করপোরেশন আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
বাংকক-পাতাইয়া-কোরাল আইল্যান্ড-ফুকেট-সাফারি ওয়ার্ল্ড ৬দিন ৫ রাত
Dubai (City tour- Abu Dhabi tour) 4D/3N
Manila 5D/4N
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
২২১ বার পড়া হয়েছে