ক্ষমাপ্রার্থনার ভাষা, ‘দুঃখিত’ বা ‘সরি’র মতো একটি শব্দ পাল্টে দিতে পারে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অনেক কিছুই। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তাঁর অধস্তন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে শুধু নয়, শিক্ষক-ছাত্র, পিতা-মাতা-সন্তান, বন্ধু-প্রিয়জন, স্বামী-স্ত্রী—সব ক্ষেত্রেই মন্ত্রের মতো কাজ করতে পারে। পৃথিবীখ্যাত কানাডীয় কার্টুনিস্ট লিন জনস্টোন মজার ছলে এক অসাধারণ আপ্তবাক্য উচ্চারণ করেছিলেন, ক্ষমাপ্রার্থনা (পড়ুন, সরি বলা) হচ্ছে সুপার গ্লুর মতো একটা বিষয়, এটা জীবনের যেকোনো বিষয়কে মেরামত করে দিতে পারে।
সত্যি বলতে কি, সরি বা ‘দুঃখিত’, এই সামান্য কথা বলার মতো মনের জোর সবার থাকে না। কাউকে আঘাত দিয়ে ভুল বুঝতে পারলেও অনুতপ্ত বোধ করে দুঃখ প্রকাশ করার মতো চারিত্রিক দৃঢ়তা সবার থাকে না।
সরি বলার তিন বাধা
সাধারণত ক্ষমাপ্রার্থনা বা সরি বলার জন্য তিনটি বাধার সম্মুখীন হতে হয়: ১. যাকে আঘাত দেওয়া হয়েছে তার সম্পর্কে একটা অবজ্ঞা-উপেক্ষার ভাব থাকা বা তাকে তত গুরুত্বপূর্ণ মনে না করা, ২. ক্ষমা প্রার্থনা করলে নিজের ভাবমূর্তির ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করা এবং সর্বোপরি, ৩. ক্ষমা প্রার্থনা করেও কোনো কাজ হবে না বলে ধারণা করা।
কিন্তু এই দ্বিধা ঝেড়ে ফেলতে হবে। যদি আমি মনে করি আমার আচরণ কারও মনঃকষ্টের কারণ হয়েছে, যদি আমি সম্পর্কটা মেরামত করতে চাই এবং যদি সত্যিই মনে করি যে একটা ভুল করে ফেলেছি, তাহলে অকপটে ক্ষমাপ্রার্থনা বা সরি বলার মতো কার্যকর আর কিছুই হতে পারে না। তবে মনে রাখতে হবে, দুঃখ প্রকাশটা যেন কথার কথা না হয়, এর আন্তরিকতা সম্পর্কে যেন উদ্দিষ্ট ব্যক্তির মনে কোনো সন্দেহ না জাগে। তবে কোনো একটি কারণ দেখিয়ে, অন্য কাউকে দোষারোপ করে সরি বললে পুরো ব্যাপারটি জোলো হয়ে পড়বে। মার্কিন বিজ্ঞানী ও রাজনীতিবিদ বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছেন, ‘কোনো একটি অজুহাত দেখাতে গিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনার ব্যাপারটিকে বরবাদ করে দিয়ো না।’
ফিচার বিজ্ঞাপন
বালি আটি জমিদার বাড়ি প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
কলম্বো ও ক্যান্ডি ৪দিন ৩ রাত
Sheraton Maldives Full Moon Resort 3D/2N
শুধু ইগো বা ‘অহং’–এর কারণে আমরা নিজেদের ভুল আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে বিব্রত বোধ করি। ‘দুঃখিত’ বললে আমি ছোট হয়ে যাব, এই দ্বিধা আমাদেরকে মনের কথাটি মুখে উচ্চারণ করতে বাধা দেয়। অথচ পিঠে একবার হাত রেখে আন্তরিকভাবে উচ্চারণ করুন, ‘দুঃখিত, আমাকে ক্ষমা করো।’ মুহূর্তে প্রিয়জন, সহকর্মী বন্ধু বা আত্মীয় আপনাকে বুকে টেনে নেবেন। তখনই বুঝবেন এই একটি শব্দের কত শক্তি! আর কিছু নয়, শুধু দরকার কথাটি উচ্চারণ করার মতো মনের জোর।
লেখক: প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
Online Shopping BD (Facebook Live)২২৪ বার পড়া হয়েছে