সময়ের নিয়মে বদলেছে দ্বিচক্রযান বা সাইকেলের ধরন। বাহারি রঙে, নানা ঢঙের দুই চাকার সাইকেল এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তাই বাইসাইকেল কেনার আগে প্রয়োজন বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকেই। 

স্রেফ পিচঢালা রাস্তায় চলার জন্য রয়েছে রোড বাইক, আর উঁচু–নিচু, ঢালু বা পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে প্রয়োজন মাউন্টেন বাইক। মাউন্টেন বাইক এবং রোড বাইকের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সুবিধাদি একত্র করে তৈরি হয়ে থাকে হাইব্রিড বাইক। দ্রুতগতিতে চলার জন্য রয়েছে চিকন চাকার ও হালকা ওজনের বাইসাইকেল, যা রেসিং সাইকেল বা স্পোর্টস বাইক নামে পরিচিত। 

বিভিন্ন ধরনের উপাদান দিয়ে এখন বাইসাইকেল তৈরি হচ্ছে। সাইকেল ওজনে ভারী হয় লোহা বা ইস্পাতের ফ্রেম তৈরি হলে। অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় দিয়ে তৈরি বাইসাইকেল কিছুটা হালকা এবং দ্রুতগামী। ইস্পাতের চেয়ে অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয়ের সাইকেল কিছুটা দামি। বাংলাদেশের তরুণদের কাছে তাই বেশি পছন্দ অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি বাইসাইকেল। কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি সাইকেল সবচেয়ে দামি এবং দ্রুতগামী। এই ধরনের সাইকেলের ওজন কম। ওজন ছাড়াও এগুলোতে রয়েছে গিয়ারের ভিন্নতা। কোনো কোনো সাইকেলের আবার গিয়ার নির্দিষ্ট (ফিক্সড) করা থাকে। গিয়ারের মতো ব্রেকেও আছে ভিন্নতা। ভি ব্রেকের তুলনায় এখনকার তরুণদের ডিস্ক বা যান্ত্রিক (মেকানিক্যাল) ব্রেকই বেশি পছন্দ।

যেখানে মিলবে সাইকেল

সাইকেলের সবচেয়ে বড় বাজার ঢাকার বংশালে। বংশালে বিভিন্ন মডেলের দেশি–বিদেশি সাইকেল এবং সাইকেলের খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়। বংশাল ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে এমনকি দেশের বিভিন্ন এলাকাতে রয়েছে সাইকেলের শোরুম। রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি ও গুলশানে সাইকেলের দোকানগুলোতে নামীদামি ব্র্যান্ডের সাইকেল পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে সাইকেল লাইফ এক্সক্লুসিভ, বাইসাইকেল শপ বডি, লায়ন সাইকেল, মাস্টার হুইল, সাইকেল এক্সক্লুসিভ, জিএস ইম্পেক্স, দি বাইক হাউস উল্লেখযোগ্য। সাইকেলের মূল্য দশ হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত। ফর্ক, সাসপেনশন, শিফটার, টায়ার, স্টিল ফ্রেম, অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম, কার্বন ফাইবার ফ্রেম, গিয়ার কম–বেশি হওয়া, গতি ও ওজনের পার্থক্যের কারণসহ নানা কারণে সাইকেলের দামের পার্থক্য হয়ে থাকে। 

নবীনদের জন্য পরামর্শ

ফিচার বিজ্ঞাপন

চায়না ভিসা (চাকুরীজীবী)

মূল্য: ১০,০০০ টাকা

মায়ানমার ভিসা (ভিজিট ভিসা)

মূল্য: ৫,০০০ টাকা

যারা সাইকেল চালাতে চায় বা নতুন সাইকেল চালানো শিখেছে, তাদের প্রচণ্ড উৎসাহ থাকে দ্রুতগতিতে সাইকেল চালানো। মনে রাখবেন, দ্রুতগতিতে সাইকেল চালানো উচিত নয়। কারণ, দ্রুতগতি সব সময় দ্রুততার সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।

সাইকেল রেসের জন্য দ্রুত চালাতে হলে গাড়ির সংখ্যা কম যেসব সড়কে, সেখানে চর্চা করা যেতে পারে। একেবারে নতুনদের সাইকেলের ভারসাম্য ও দক্ষতা পুরোপুরি আয়ত্ত না হওয়া পর্যন্ত বড় রাস্তায় কিংবা মহাসড়কে সাইকেল চালানো একেবারেই উচিত নয়। সাইকেল চালানোর সময় হেলমেট, গ্লাভস ও চশমা পরে নিতে ভুলবেন না।

লেখক: সাইক্লিস্ট

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত আয়োজন এখানে অপেক্ষা করছে

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত ...



৩,৩৪৭ বার পড়া হয়েছে