সিঙ্গাপুর (Singapore) ১৯৬৫ সালে স্বাধীনতা লাভ করে মাত্র ৫০ বছরে তৃতীয় বিশ্বের একটি অনুন্নত দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয়। স্বাধীনতা লাভের পর সিঙ্গাপুর আর অগোছালো, নিয়ন্ত্রণহীন দেশ হয়ে থাকেনি বরং যুগোপযোগী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর আজ সাফল্যের শীর্ষে অবস্থান করছে। সিঙ্গাপুর আয়তনে ছোট হলেও সেখানে রয়েছে জনপ্রিয় বেশ কিছু ভ্রমণ স্থান ও স্থাপনা। খুব সহজেই পুরো সিঙ্গাপুর ঘুরে বেড়ানো যায়। তাই পর্যটকদের কাছে সিঙ্গাপুর এক আকর্ষণের নাম।

সিঙ্গাপুর ভিসা কিভাবে পাবেন

রাজধানী ঢাকার সিঙ্গাপুর কনস্যুলেট অফিস হতে সিঙ্গাপুরের ভিসা ইস্যু করা হয়। তবে সেখানে সরাসরি ভিসার জন্য আবেদন করা যায় না। সিঙ্গাপুরের ভিসার জন্য আপনাকে অবশ্যই অনুমোদিত ভিসা এজেন্টের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং সেই সাথে সিঙ্গাপুরে বসবাসকারী কারো কাছ থেকে আমন্ত্রণ পেতে হবে। তবে ডিপ্লোম্যাটিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য সিঙ্গাপুর যেতে ভিসা লাগে না।

প্রচলিত আছে, সম্পূর্ণ নতুন অর্থাৎ ফ্রেশ পাসপোর্টে সিঙ্গাপুরের ভিসা পাওয়া যায় না। এই কথার শতভাগ ভিত্তি না থাকলেও ইতিপূর্বে আপনি অন্য কোন দেশ ভ্রমণ করে থাকলে কি ভিসায়, কিভাবে সেই দেশ ভ্রমণ করেছেন তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

সাধারণত ভিসা আবেদন জমা দেয়ার ৫ থেকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যেই সিঙ্গাপুরের ভিসার কাজ শেষ হয়, যদিও কোন কোন ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগতে পারে। সিঙ্গাপুরের ভিসা জন্য ৩০ সিঙ্গাপুর ডলার ফিসা ফি এবং এজেন্টের সার্ভিস চার্জ জমা দিতে হয়।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Kolkata – Gangtok (Sikkim) 5D/4N

মূল্য: ২২,৯০০ টাকা

Maldives (Centara Ras Fushi Resort & Spa) 3D/2N

মূল্য: ৫৯,৯০০ টাকা

ভিসা আবদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • এক সেট ১৪এ (14A) ফর্ম সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে। ১৪এ ফর্ম ডাউনলোড করুন এই লিংক থেকে।
  • সিঙ্গাপুরে পৌঁছানোর দিন থেকে নূন্যতম ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং পাসপোর্টে কমপক্ষে ১ টি ফাকা পৃষ্টা থাকতে হবে।
  • পাসপোর্টে থাকা ব্যক্তিগত তথ্যের পৃষ্টার একটি ফটোকপি আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
  • বিগত তিন মাসে মধ্যে সাদা পটভূমিতে (ব্যাকগ্রাউন্ড) ম্যাট পেপারে তোলা ২ কপি (৩৫*৪৫ mm) রঙ্গিন ছবি। মাথায় ক্যাপ এবং চোখে সানগ্লাস গ্রহণযোগ্য নয়।
  • সাধারণ ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক (২১ বছর বয়স) সিঙ্গাপুরের স্থায়ী নাগরিক কতৃক ‘লেটার অফ ইন্ট্রোডাকশন’ (Letter of Introduction) ফর্ম ইস্যু থাকতে হবে।
  • ৬ মাসের ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট (নূন্যতম ১ লাখ টাকা থাকতে হবে) এবং ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট
  • চাকরিজীবী হলে অফিস কতৃক ছুটির অনুমতি পত্র, ছাত্রছাত্রী হলে আইডি কার্ডের কপি এবং ব্যবসাহী হয়ে থাকলে ট্রেড লাইন্সেসের কপি
  • কোম্পানির একটি খালি প্যাড এবং ভিজিটিং কার্ড
  • শিশুদের জন্য জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট বা স্কুল আইডি কার্ডের কপি
  • হোটেল বুকিং-এর তথ্য
  • ফিরতি বিমান টিকেট
  • বিবাহিত হলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে
  • ব্যবসায়ী ভ্রমণকারীদের ভিসা পেতে সিঙ্গাপুরে রেজিস্টারকৃত কোম্পানির স্থানীয় যোগাযোগের ঠিকানা এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির স্বাক্ষর করা আমন্ত্রণপত্র থাকতে হবে। আর আমন্ত্রণকারী যদি কোন ব্যক্তি হত তবে আমন্ত্রণকারী কতৃকপ্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্র এবং তার আইডি কার্ডের কপি জমা দিতে হবে।

আরও বিস্তারিত খুঁটিনাটি তথ্য জানতে ভিজিট করুন: www.ica.gov.sg

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৮৭৪ বার পড়া হয়েছে