মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে দুই বাংলার প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈত্রিক বাড়ি (Sunil Gangopadhyay Father’s House) অবস্থিত। বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে আবির্ভূত এই বাঙ্গালী সাহিত্যিক একাধারে কবি, ছোট গল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। লেখকের প্রতি জন্মবার্ষিকীতে তার পৈত্রিকবাড়িতে দুই বাংলার উদ্যোগে বই মেলার পাশাপাশি পাহাড়ি নৃত্য, লালন ও পল্লীগীতির মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমন্বয়ে সুনীল মেলায় আয়োজন করা হয়।
পরিচিতি
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ১৯৩৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মাদারীপুরের রাজৈরের আমগ্রামে তাঁর মামা বাড়ি জন্মগ্রহণ করেন। কিশোর বয়সে অভিমান করে পাড়ি জমান ওপার বাংলায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাস করেন। এরপর গদ্য রচনার মাধ্যমে তার সাহিত্যিক জীবন শুরু হয়। সর্বশেষ ২০১০ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি সস্ত্রীক মাদারীপুর এসেছিলেন। ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি কলকাতায় এই সাহিত্যিক মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমানে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্মৃতি রক্ষার্থে তার পৈত্রিক ভিটায় কবির ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস সংরক্ষণ ও গবেষণাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকার গাবতলী ও কেরানিগঞ্জ থেকে মাদারীপুরগামী বিভিন্ন বাস সার্ভিস রয়েছে। গাবতলী থেকে সার্বিক, চন্দ্রা বা সোহেল পরিবহনের বাসে মাদারীপুর যেতে পারবেন। আবার গাবতলী থেকে বরিশালগামী বাসে মোস্তফাপুর নেমে সেখান থেকে অন্য বাস বা অটোরিক্সায় মাদারীপুর সদরে যাওয়া যায়। নৌপথে, ঢাকার সদরঘাট থেকে এমভি তরীকা বা দ্বীপরাজ লঞ্চে মাদারীপুর যেতে পারবেন। মাদারীপুর জেলা সদর এসে বাস বা সিএনজিতে কালকিনি উপজেলা পৌঁছে স্থানীয় যানবাহনে সুনীল গঙ্গোপাধ্যয়ের বাড়িতে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
কালকিনি উপজেলায় থাকার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। মাদারীপুর শহরে থাকার জন্য হোটেল মাতৃভূমি, সুমন হোটেল, হোটেল পলাশ, সৈকত হোটেল, হোটেল সার্বিক ইন্টারন্যাশনাল ও হোটেল জাহিদ প্রভৃতি আবাসিক হোটেল রয়েছে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Premium Villa
নির্ভেজাল ও নিস্কন্টক প্লটে বিনিয়োগের নিশ্চয়তা
ব্রুনাই ভিসা
Source: vromonguide.com
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১৯৫ বার পড়া হয়েছে