ভ্রমণে অনেকেরই প্রথম পছন্দ পাহাড়, ঝিরি, ঝর্ণা কিংবা ঘুটঘুটে অন্ধকারাচ্ছন্ন কোনো গুহার প্রান্তর। সেই লক্ষ্যেই যেতে পারেন সোনাইছড়ি ট্রেইলে।

ট্রেইলটা সোনাইছড়ি নামে পরিচিত। তবে শুরুতেই দেখবেন বাদুইজ্জাখুম; যা এই ট্রেইলের অন্যতম আকর্ষণ। বেশ কিছুটা সময় চড়াই-উতরাই শেষে বাদুইজ্জাখুমের সামনে পৌঁছবেন। হাজার হাজার বাদুরের উড়াউড়ি। ভিতরটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। মাঝখানটা ফাঁকা করে দুইপাশে উঠে গেছে খাড়া পাহাড়। গুহার ভিতর হতে বহমান পানীয় ধারা। কিছুটা পা বাড়াতেই কোমর পর্যন্ত পানি। পায়ের তলায় কর্দমাক্ত মাটি।

সরু গুহার ভিতর সাঁতরে গিয়ে দেখবেন, এক ফালি আলোয় যৌবনা ঝর্ণাধারা। উচ্ছ্বাস আর অপ্রত্যাশিত ঝর্ণার সৌন্দর্য দেখে যারপরনাই আনন্দে বিগলতি হয়ে যাবেন। দুঃখের ব্যাপার দাঁড়িয়ে ছবি তোলার মতো পরিস্থিতি নেই। এরপর কিছুটা পথ ঘুরে এসে আবারো হাইকিং-ট্র্যাকিং। একের পর এক বেশ বড়সড় পাথুরে বোল্ডার অতিক্রম করে এগোতে হবে।

চলতি পথে অনেক দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যে চোখ আটকায়। কখনো কখনো সেই সব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য থমকে দাঁড়াই। বুক ভরা নি:শ্বাস আর ভালোলাগার স্মৃতি নিয়ে আবারো হাঁটা শুরু করি। চলতে চলতে ছোটবড় কিছু ক্যাসকেড, ঝিরি ও বুনোপথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যাবেন সোনাইছড়ি ঝর্ণায়।

সোনাইছড়ি ঝর্ণার উচ্চতা খুব বেশি নয়। বড় জোড় ৪০-৫০ ফুট হবে হয়তো। তবে এর চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়। ইচ্ছেমতো দেহ ভিজাতে ভিজাতে আড্ডাও চলে সমানতালে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভ্রমণপিপাসুদের আনাগোনা বাড়তে থাকে।

সোনাইছড়ি হতে ভিন্নপথে এগোলেই জঙ্গলাপূর্ণ পথে যেতে যেতে ঢালা পাহাড় সামনে পড়ে। সেটাকে টপকেই তবে লোকালয়ে ফিরতে হবে। পাহাড়ের কিছুটা অংশ প্রায় ৮০ ডিগ্রি খাড়া। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে এর উচ্চতা প্রায় ৮০০ হতে ১০০০ ফুট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লকডাউনে পর্যটকদের পদচারণা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ঢালা পাহাড়ের প্রকৃতি বেশ নয়নাভিরামভাবে সেজে রয়েছে। পাহাড়টি আপন বলয়ে গুছানোর সুযোগ পেয়েছে। বন্ধুর পথই তার স্বাক্ষর।

ফিচার বিজ্ঞাপন

মিশর ভিসা (চাকুরীজীবী)

মূল্য: ৬,০০০ টাকা

সোনাইছড়ি এমন একটা রোমাঞ্চকর ট্রেইল, যেখানে এক ট্রেইলে গুহা, ঝর্ণা ও পাহাড় ট্র্যাকিংয়ের আনন্দ উপভোগ করা যায়। আর যদি কিসমত ভালো থাকে তাহলে তো হরর মুভি বাস্তবেও দেখা যেতে পারে।

যাতায়াত: ঢাকার বিভিন্ন বাস টার্মিনাল হতে চট্টগ্রামের বাস ছেড়ে যায়। নেমে যেতে হবে মিরসরাই। সেখান হতে অটো-সিএনজি করে হাদি ফকির হাট রেললাইন। এরপর হাঁটা। রেললাইন হতে সব মিলিয়ে ৬ ঘণ্টার মধ্যেই ঘুরে আসা সম্ভব।

টিপস:
# সোনাইছড়ি ঝর্ণা খুব বেশি বড় নয়। কিন্তু সোনাইছড়ি ট্রেইলটা ঢাকার ধারে-কাছে হিসেবে বেশ চমৎকার। যার অন্যতম ভালোলাগার মতো হবে বাদুইজ্জাখুমের ভিতরে প্রবেশ। তবে সাঁতার না জানা ও সাপ বিচ্ছু ভয় পাওয়া পর্যটকরা এড়িয়ে চলুন। কারণ সাপের অন্যতম পছন্দের খাবার হলো বাদুড়।

# অবশ্যই স্থানীয় গাইড নিয়ে যাবেন। নতুবা পথ হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। রেললাইনের পাশে থাকা দোকানিদের সঙ্গে আলাপ করে গাইড জোগাড় করে নেওয়া যাবে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনুন

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনু...



১৬৩ বার পড়া হয়েছে