অবশেষে করোনা মহামারির কারণে ‘স্থগিত’ হওয়া পরীক্ষার আয়োজন শুরু করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে করোনার মধ্যে পরীক্ষা শুরু করতে বেশ কিছু শর্তারোপ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে এসব শর্ত মেনেই পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে। গত ১০ মাসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৫ শতাধিক পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। পরীক্ষা স্থগিত হবার কারণে অনেকে অংশ নিতে পারেনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষায়। পরীক্ষা বিলম্বের কারণে অটোপাশের দাবিও উঠেছিল। তবে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত যেভাবে অটোপাশ দেওয়া হয়েছে, এই স্তরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না এটি আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়।
পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার কারণে অন্তত দুই বছরের সেশন জটে পড়তে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, বিভিন্ন মহল থেকে এমন আশঙ্কা করা হয়। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বদরুজ্জামান জানিয়েছেন, করোনার কারণে ১০ মাসের স্থগিত হওয়া পরীক্ষা আগামী বছর অর্থাত্ ২০২১ সালের মধ্যেই শেষ করা যাবে।
তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নোটিশ দিয়ে যেসব পরীক্ষা স্থগিত করেছিল সে পরীক্ষাগুলো আগে নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রফেশনাল পরীক্ষাও নেওয়া হবে। স্থগিত পরীক্ষা নেওয়া শেষ হলে অন্য পরীক্ষাগুলোও নেওয়া হবে। গত সেপ্টেম্বরে অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এসব শিক্ষার্থীর ক্লাসও হয়নি। ফরম পূরণও হয়নি। ফলে যথাসময়ে পরীক্ষাও নেওয়া যায়নি। এই পরীক্ষাও ২০২১ সালের মধ্যেই নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। বিশ্ববিদ্যায়টির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, আগে এক দিনে ৪ লাখ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া যেত। এখন করোনা সংক্রমণের ভয়ে সেটি করা যাচ্ছে না। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার কারণে এক দিনে ১ লাখের বেশি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। এ কারণে পূর্বের এক দিনের পরীক্ষা নিতে এখন চার দিন সময় প্রয়োজন হবে। এ কারণে একটি বর্ষের পরীক্ষা শেষ করতে চার গুণ সময় লাগবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা মার্চেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলতি বছরের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। বেশির ভাগ বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হলেও করোনা মহামারির কারণে দুটি থেকে পাঁচটি বিষয়ের পরীক্ষা আটকে যায়। তখন থেকেই অপেক্ষায় রয়েছেন তারা; কবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই পরীক্ষা দিয়েই স্থগিত পরীক্ষা নেওয়া শুরু করা হচ্ছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
তবে অনার্স শেষ বর্ষের সব পরীক্ষা শেষ না হলেও অ্যাপিয়ার্ড হিসেবে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের আবেদন করার সুযোগ করে দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ (প্রফেশনাল) চতুর্থ বর্ষের ৮ম সেমিস্টারের ফরম পূরণের নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই পরীক্ষাও জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ফরম পূরণের নোটিশ জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
ফিচার বিজ্ঞাপন
শ্রীলংকা ভিসা (চাকুরীজীবী)
Moscow, Novosibirsk ,Irkutsk & St.Petersburg 9D/8N
Maldives (Hulhumale & Fun Island) 3D/2N
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি পাশ কোর্স দ্বিতীয় বর্ষ ও তৃতীয় বর্ষ, মাস্টার্স ফাইনাল এপ্রিলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে এসব পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়। ডিগ্রি পাস কোর্সে প্রতিটি বর্ষে ৩৪টি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। আগস্ট পর্যন্ত মাস্টার্স প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সূচিও প্রস্তুত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এভাবে একাধিক সেমিস্টারের পরীক্ষাগুলো আটকে যায়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেসব শর্ত দিয়েছে : এর আগে পরীক্ষা আয়োজনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এর আলোকে পরীক্ষা আয়োজনের জন্য বেশকিছু শর্ত দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শর্ত অনুযায়ী, মন্ত্রিপরিষদ এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
শর্তে বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর পূর্বে প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা কক্ষ, টয়লেট, আঙিনা ও রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানার, থার্মোমিটার দিয়ে শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। এছাড়া পরীক্ষা কক্ষে ন্যূনপক্ষে তিনফুট দূরত্ব রাখতে হবে। প্রত্যেককে মাস্ক (সার্জিক্যাল মাস্ক বা তিন স্তর বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক, যাতে মুখ ও নাক ভালোভাবে ঢেকে রাখবে) পড়তে হবে। পরীক্ষা কক্ষের বাইরে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। পরীক্ষা হলের ভেতরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন২১৪ বার পড়া হয়েছে