স্বপ্নের বাড়ি তৈরি তো হলো, এবার সাজানোর পালা। মনমতো সব ফার্নিচারও সেট করে ফেলেছেন, তবে একটা জিনিস কিন্তু বাকি রয়ে গেছে এখনও আলোকসজ্জা বা লাইটিং!
ভাবছেন, লাইটিংয়ের জন্য আলাদা করে ভাববার কী আছে? সব রুমেই তো পর্যাপ্ত লাইট লাগানো হয়েছে! তবে আপনার এই ভাবনাটি ভুল, বরং ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে অন্য সব প্রয়োজনীয় দিকগুলোর মতো লাইট লাগানোর জন্যও রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম। এসব নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ওয়াসিম সিকদার। তিনি বললেন, বাড়ির প্রত্যেকটি কক্ষের লাইটিংয়েরই নির্দিষ্ট কিছু উপায় রয়েছে।
ড্রইংরুম : আপনার বাড়ির ড্রইংরুমটি আপনার পছন্দ, রুচি ও ব্যক্তিত্বকে অনেকটাই তুলে ধরে। যেহেতু আপনার বাড়িতে আসা অতিথিকে আপনি ড্রইংরুমেই ‘ওয়েলকাম’ বা স্বাগত জানান। তাই এটাকে আমরা ‘ওয়েলকামিং রুম’-ও বলতে পারি। ওয়াসিম সিকদার বললেন, বাড়ির যে কোনো রুমেই তিন ধরনের লাইট ব্যবহার করে থাকি আমরা, ‘ডিরেক্ট’ অথবা সরাসরি, ‘ইন ডিরেক্ট’ অথবা পরোক্ষ এবং ‘ডেকোরেটিভ’ অথবা সাজানোর লাইট। ড্রইংরুমে আমরা এ তিন ধরনের লাইটই ব্যবহার করতে পারি। ডিরেক্ট লাইট বলতে মূলত টিউব লাইটকেই বোঝানো হয়। ইনডিরেক্ট লাইট হিসেবে ‘স্পট লাইট’ এবং ডেকোরেটিভ লাইট হিসেবে ‘ফলস্ সিলিং লাইট’ ব্যবহার করতে পারেন। আর ড্রইংরুমটা যেহেতু শো-পিস, উইন্ডচাইম, ঘণ্টা ইত্যাদি দিয়ে একটু বেশিই ডেকোরেটিভ হয়, তেমনি লাইটিংয়ের মাধ্যমেও আমরা ডেকোরেশনটা ‘হ্যাংগিং’ অথবা ঝুলন্ত লাইটের মতো বিভিন্ন লাইট দিয়ে করতে পারি।
ডাইনিংরুম : ডাইনিংরুমের মূল অংশটা হচ্ছে ডাইনিং টেবিল অথবা খাবার টেবিল। ডাইনিং টেবিলের ঠিক ওপরে ডিরেক্ট লাইট হিসেবে ওয়াল-মাউন্টেড লাইট ব্যবহার করা যেতে পারে, আবার গোলাকার ঝুলন্ত লাইটও ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, যাতে আলোটা সরাসরি টেবিলের ওপরে পড়ে।
মাস্টার বেডরুম : বেডরুমটা আমরা সাধারণত রিল্যাক্সেশন বা বিশ্রামের জন্যই ব্যবহার করি। সে ক্ষেত্রে, বেডরুমে যতটা কম লাইট ব্যবহার করা যায় ততটাই ভালো। একটি ইনডিরেক্ট লাইট থাকতে পারে রুমে। এছাড়া রুমের কর্নারে দু’একটা শেড লাইট এবং বেডসাইড লাইটও ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনার বেডরুমের ওয়ালে একটি ‘এলসিডি’ টিভি সেট লাগাতে চান তাহলে সেই নির্দিষ্ট ওয়ালটিতে ইনডিরেক্ট লাইট হিসেবে ‘হিডেন’ অথবা লুকনো লাইট ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনার পুরো বেডরুমের লাইটিং সিস্টেম এমন হতে হবে, যা আপনার চোখকে আরাম দেয় এবং ঘুমানোতে কোনো বাধার সৃষ্টি না করে।
বাচ্চাদের বেডরুম : ওয়াসিম সিকদারের মতে, বাচ্চাদের রুম সাজানোর জন্য তাদের সাইকোলজি বোঝাটা খুব জরুরি। একটি বাচ্চার খাটের শেপ থেকে শুরু করে, তার রুমের ওয়ালের রঙ, ফার্নিচার, পর্দা, এবং লাইট সবকিছুই তার মনমতো হতে হবে এবং এমনভাবে সবকিছু থাকতে হবে যেন কিছুদিন পর তার কাছে রুমটা ‘বারিং’ না হয়ে পড়ে! আপনার সন্তানের বয়সের ওপরও অনেকখানি নিভর করে রুমের প্যাটার্ন। আপনার ছেলে বা মেয়েটি খুব ছোট হলে সে হয়তো পছন্দ করবে ‘আইস-এজ্’ অথবা ‘টয়-স্টোরির কার্টুন চরিত্রগুলো, আরেকটু বড় হলে অথবা টিন এজার হলে হয়তো তার প্রথম পছন্দ হবে ‘হ্যারি পটার’-এর চরিত্রগুলো। আবার আপনার সন্তানটি যদি হয় অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় তাহলে একরকম রুম, আবার স্টুডিয়াস বা পড়ুয়া গোছের হলে আরেক রকম! লাইটটি তার রুমের ফর্ম, প্যাটার্ন ও ডিজাইনের সঙ্গে ম্যাচ এবং নির্ভর করে লাগাতে হবে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
US Visa for Retired Person
বালি ও লম্বক ৫দিন ৪ রাত
রাশিয়া ভিসা প্রসেসিং (বিজনেসম্যান)
স্টাডিরুম : স্টাডিরুমে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটার প্রয়োজন হয়, তা হলো কনসেনট্রেশন বা মনোযোগ। সেই জিনিসটাকে ধরে রাখার জন্য চোখে সরাসরি আলো ফেলে এমন কোনো লাইট স্টাডিরুমে ব্যবহার করা যাবে না। টেবিলে পড়া বা লেখার জন্য একটি টেবিল ল্যাম্প বা শেড ব্যবহার করতে পারেন। আজকাল বেশিরভাগ স্টাডিরুমেই কাজের খাতিরেই কম্পিউটার রাখা হয়। কম্পিউটার থেকে যেহেতু একটি আলো রিফ্লেক্টেড্ হচ্ছে, তাই এর আশপাশে কম পাওয়ারের লাইট বা ইনডিরেক্ট লাইট ব্যবহার করাটা চোখের জন্য মঙ্গল। অনেকে আবার মাঝে মধ্যে শুয়ে অথবা আধশোয়া হয়ে বই পড়তে পছন্দ করেন। তারা স্টাডি রুমটিতেই একটি ডিভান সেট করে এর পাশে একটি কর্নার লাইট শেড লাগিয়ে নিতে পারেন।
রান্নাঘর : ‘যদিও আমরা রান্নাঘরের প্রতি খুব বেশি খেয়াল করি না। তবে খাবারের জন্য পোকা-মাকড় আর ধুলো-বালির উপদ্রবটা রান্নাঘরেই সবচেয়ে বেশি থাকে। এজন্য এখানকার লাইটিং ঠিকমতো হওয়াটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ’, বললেন ওয়াসিম সিকদার। রান্নাঘরে অবশ্যই ডিরেক্ট লাইট লাগাতে হবে। চুলা অথবা গ্যাস বার্নারের ওপর একটি লাইট থাকতে পারে। এছাড়া কিচেন কেবিনেটগুলোতে স্পটলাইট এবং হিডেন লাইট ব্যবহার করুন।
আপনার বাড়ির যে কোনো কোণে এক টুকরো অন্ধকারের ছিটেফোঁটাও যদি থাকে তবে তাকে বিদায় জানিয়ে ডিরেক্ট, ইনডিরেক্ট এবং ডেকোরেটিভ এই তিন ধরনের লাইট ব্যবহার করে বাড়ির প্রত্যেকটি অংশ করে তুলুন আরও একটু আলোকিত ও আকর্ষণীয়।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন১,০৫৬ বার পড়া হয়েছে





