শরীরচর্চা করুন: আর হ্যাঁ। শরীরচর্চা তো করতেই হবে। কারণ শরীরচর্চা মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করে। ফলে মস্তিষ্কে গ্লুকোজ বা শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এই গ্লুকোজ মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। যা পরিচ্ছন্ন, সূক্ষ্ম ও দ্রুত চিন্তা করার জন্য অপরিহার্য। আপনি যদি মাঝবয়সী হয়ে থাকেন, তাহলে এখন থেকেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন। মানসিক সুস্থতার জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের রক্তচাপ বেশি তাদের মস্তিষ্কের হোয়াইট ম্যাটার কোষগুলো তুলনামূলক কম। এই হোয়াইট ম্যাটার মস্তিষ্কে সংযোগকারী হিসেবে কাজ করে। ডিউক ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ রক্তচাপ সম্পন্ন ব্যক্তিদের তথ্য সরবরাহ করার ক্ষমতা সাধারণ মানুষের চেয়ে কম থাকে। প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই মাংস ও শাক-সবজি রাখা দরকার। মাংস ও শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণ খনিজ পদার্থ থাকে। বোরন এবং জিংক নামে দু’টো খনিজ পদার্থ মানুষের স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রতিদিন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৩.২৫ মিলিগ্রামের চেয়ে কম পরিমাণ এ খনিজ গ্রহণ করলে স্মরণশক্তি কমে যাবে। আপেল, আঙুর, ডাব, টমেটো, গম, দুধ এসবে প্রচুর বোরন এবং জিংক থাকে।
একঘেয়েমি থেকে দূরে: একঘেয়েমি থেকে দূরে থাকতে দৈনন্দিন অভ্যাসের পরিবর্তন করুন। যেমন ঘড়ির বেল্ট বদলান। নতুন ধরনের বই পড়ুন ইত্যাদি। এ ছাড়া দৈনিক সংবাদপত্রের পরিবর্তন করা যেতে পারে। ছোটখাটো ব্যতিক্রম বিষয় নিয়েও ভাবতে পারেন দু’তিন মিনিট। এতে অবসাদ থেকে মুক্ত হবেন। ঝরঝরে লাগবে। স্মরণশক্তি ঠিক রাখার ক্ষেত্রে ঘুম একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাদের রাতে ঘুমের ব্যাঘাত হয় অর্থাৎ ঘুমের মধ্যে বারবার জেগে ওঠেন; তাদের চেয়ে যারা একঘুমে রাত অতিবাহিত করেন, তাদের নতুন পড়া বিষয় পরদিন সকালে অনেক বেশি মনে থাকে।
বেশি রাত জাগবেন না: কম ঘুমানো ব্রেইনের জন্য ক্ষতিকর। রাত জেগে পড়াশোনা করা বা ফেসবুকে, ইউটিউবে, ইন্টারনেটে ডুব দেওয়া অনেকেরই অভ্যাস। ঘুমানোর সময় আমাদের ব্রেইন বিশ্রাম পায়। লম্বা সময় আমাদের ব্রেইনকে যদি ঘুম থেকে বঞ্চিত করা হয়। তবে ব্রেইনের কোষের ধ্বংস হবার হার বেড়ে যায়। আর হ্যাঁ, স্মরণশক্তি বাড়াতে ঘুমানোর সময় মাথা ঢেকে রাখবেন না। এটা বাজে অভ্যাস। ঘুমানোর সময় মাথা ঢেকে রাখলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের কেন্দ্রীকরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। অপর পক্ষে অক্সিজেনের কেন্দ্রীকরণের পরিমাণ কমে যায় এবং ব্রেইন ধ্বংসের কারণ ঘটায়। সে কারণে অসুস্থ অবস্থায় কাজ করা যাবে না। অসুস্থ অবস্থায় কঠিন কাজ করলে বা পড়াশোনা করলে ব্রেইনের কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়।
ফিচার বিজ্ঞাপন
ব্রুনাই ভিসা
১৬ আনি মুন্সীগঞ্জ প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
তুরস্ক ভিসা (বিজনেসম্যান)
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন২০৯ বার পড়া হয়েছে