করোনা সংক্রমণ এড়াতে ভারতের মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ নতুন নিয়ম জারি করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন থেকে মিউজিয়ামের গ্যালারির ভেতর প্রবেশ করে কোনো কথা বলা যাবে না। এমনকি কাউন্টারে পাওয়া যাবে না কাগজের টিকিট। এখানে প্রবেশ করতে অনলাইন বুকিং বা ফোন-পে’র মাধ্যমে টিকিট কাটতে হবে।
জাদুঘর কর্তৃপক্ষের এমন নিষেধাজ্ঞায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশটির ইতিহাসবিদ, পর্যটক ও বিশিষ্টজনরা। তারা এমন বিধি-নিষেধ শিথিল করার দাবি জানিয়েছেন। দেশটির কয়েকটি গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, লকডাউনে ১১১ দিন বন্ধ থাকার পর কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করে গত ০৬ জুলাই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় মিউজিয়ামটি। তখন থেকেই সবার মাস্ক পরা, দলবদ্ধ হয়ে প্রবেশ না করা, আলদাভাবে নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত করার নিয়ম করা হয়। শুধু তা-ই নয়, মিউজিয়াম দেখার আগে-পরে জাদুঘর চত্বরে ঘোরাঘুরি করতে দেওয়া হবে না।
তবে এবার জারি করা হলো নতুন বিধি-নিষেধ। সেই নিষেধের কারণে এখন থেকে মিউজিয়ামের গ্যালারিতে প্রবেশ করে কোনো পর্যটক নিজেদের মধ্যে কথা বলতে পারবেন না। আর এতেই ক্ষেপে গেছেন মুর্শিদাবাদ জেলার ইতিহাস সচেতন নাগরিকরা।
মুর্শিদাবাদের লালবাগ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘হাজারদুয়ারির গ্যালারি ইতিহাসের ভান্ডার। ইতিহাস গবেষক থেকে শুরু করে সাধারণ পর্যটক এবং যেকোনো বয়সের শিক্ষার্থীর কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। ফলে যেকোনো ধরনের পর্যটক গ্যালারিতে প্রবেশ করে নিজেদের মধ্যে ইতিহাস জ্ঞানের আদান-প্রদান করবেন, এটাই স্বাভাবিক। এমন বিধি-নিষেধ শিথিল করা দরকার।’
ফিচার বিজ্ঞাপন
Cambodia (Siem Reap & Angkor Wat) 3D/2N
ইস্তানবুল, কাপাডোসিয়া ও আন্টালিয়া ৮দিন ৭রাত
Maldives (Hulhumale Island) 3D/2N
এ ছাড়া হাজারদুয়ারিতে প্রবেশের কাগজের টিকিট বাতিল করে অনলাইন ব্যবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, ‘এখানে সব ধরনের পর্যটক আসেন। তাদের পক্ষে অনলাইন ও ফোন-পে’র মাধ্যমে টিকিট কাটা একটি বিড়ম্বনার মতোই।’
হাজারদুয়ারির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গৌতম হালদার বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে মিউজিয়ামের গ্যালারিতে কথা বলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে হাজারদুয়ারিতে প্রবেশের জন্য কাগজের টিকিট বাতিল করে অনলাইন বুকিং চালু করা হয়েছে।’
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৩৫২ বার পড়া হয়েছে




