হাড়ের মূল উপাদান আমিষ, কোলাজেন ও ক্যালসিয়াম। প্রাকৃতিক নিয়মেই ৩০ বছরের পর থেকে হাড়ের ঘনত্ব ও পরিমাণ কমতে থাকে, হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হতে থাকে। ৫০ থেকে ৬০ বছরের দিকে হাড় অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই সামান্য আঘাতেও বয়স্ক ব্যক্তির মেরুদণ্ড, কটি, পাঁজর ও কবজির হাড় ভেঙে যেতে পারে।


হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া ও ভঙ্গুরতার ঝুঁকি কাদের বেশি?
# ৪০ শতাংশ হাড়ের ঘনত্ব বংশানুক্রমিকভাবে নির্ধারিত হয়। তাই পরিবারে হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে ঝুঁকিটা বেশি।
# ২০ শতাংশ হাড়ের ঘনত্ব নির্ধারিত হয় জীবনযাত্রার মাধ্যমে। শৈশব থেকে সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালসিয়াম, খনিজ ও আমিষসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, ধুমপান ও মদ্যপান বর্জন, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা এবং কর্মক্ষম থাকা হাড়ের সুস্থতার জন্য দরকারি।
# পুরুষের তুলনায় নারীদের হাড় ভাঙার প্রবণতা বেশি; বিশেষ করে যাঁরা শারীরিক গঠনে পাতলা ও খাটো।
# প্রায় ২০ শতাংশ নারী মেনোপোজের পর মেরুদণ্ডের হাড় ভাঙার শিকার হন। একবার হাড় ভাঙার পরবর্তী বছরে সাধারণত আরেকটি নতুন হাড় ভাঙে।
# থাইরয়েড ও পিটুইটারি গ্রন্থির নানা সমস্যা হাড়ের ক্ষয়কে ত্বরান্বিত করতে পারে।
# দীর্ঘদিনের স্টেরয়েড ওষুধ সেবন, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, খাদ্যনালির অস্ত্রোপচার বা রোগ, যকৃতের সমস্যা ইত্যাদি হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস করে

উপসর্গ
হাড় ভাঙার আগে সাধারণত কারও কারও পিঠ, কোমর, ঘাড় ও পেশিতে ব্যথা হয়। কারও বয়সের সঙ্গে মেরুদণ্ডের কশেরুকার উচ্চতা কমে যায়, রোগী সামনে ঝুঁকে থাকে এবং পেছনে কুঁজো হয়।

হাড় মজবুত রাখার উপায়
নিয়মিত ব্যায়াম—যেমন হাঁটা, জগিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা এবং সব সময় কর্মক্ষম থাকা উচিত। কৈশোরে যথেষ্ট কায়িক পরিশ্রম করলে হাড়ের ঘনত্ব ও দৃঢ়তা বৃদ্ধির ফলে বার্ধক্যে হাড়ের ক্ষয় কম হয়।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Maldives (Hulhumale & Fun Island) 3D/2N

মূল্য: ২৮,৯০০ টাকা

ভুঁড়ি কমান, সুস্থ থাকুন

মূল্য: ১০২৫ টাকা

Cairo, Alexandria & Sharm El Sheikh 6D/5N

মূল্য: 57,900 Taka

কৈশোরে দৈনিক এক হাজার ৩০০ মিলিগ্রাম, ৫০ বছর পর্যন্ত এক হাজার মিলিগ্রাম এবং ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে এক হাজার ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সেবন করা উচিত। ধুমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন। হাড়ের পরিমাণ হ্রাস, হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা নির্ণয় করা যায় বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং ওষুধ সেবন করুন। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসনকেন্দ্র।

ডা. মো. শরীফ হোসেন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

Online Shopping BD (Facebook Live)



১,২০৭ বার পড়া হয়েছে