হি গাও (পশ্চিম সিকিম) – ‘হি’, একটু ঘুরে আসি
পশ্চিম সিকিমের লিম্বু জনজাতি অধ্যুষিত প্রত্যন্ত পাহাড়ি জনপদটির নাম হি গাও। পাশ দিয়ে বইছে হি খোলা, কালেজ খোলা। কালেজ খোলার ওপরে হি পাতাল ট্যুরিস্ট লজ, হি ভিলেজ গেস্ট হাউস।
লিম্বু ভাষায় হি এর অর্থ ‘একটু ঘুরে আসি’। ঘুরে আসার মতোই! চার দিকে নানা গাছগাছালি। অর্কিড দেখতে দেখতে মন ভরে ওঠে। এলাচের গেন্ধ নেশা হয়ে যায়।
শিলিগুড়ি থেকে হি-এর দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। পাহাড়ে ধসের জন্য পথঘাটের অবস্থা ভাল নয়। চিত্রেতে জলখাবার খেয়ে, রঙ্গিত নদীর তোরণ পেরিয়ে পশ্চিম সিকিমের জোরথাং। রঙ্গিত নদীর সেতু পার হলে নয়াবাজার। পুরনো আমলের ঘরবাড়ি। দোকানপাট। এখান থেকেই জুমের রাস্তা ধরতে হবে। সোরেং, কালুক, বার্মিক হয়ে পৌছতে হবে হি।
সকালে শিলিগুড়ি থেকে বার হয়ে হি বাজার থেকে হি পাতাল ট্যুরিস্ট লজের দিকে যেতেই দিনের আলো নিভে যায়। দুর্গম রাস্তায় যতটা ভয় লাগে, হি ট্যুরিস্ট লজে পৌছতে ততটাই নিরাপদ মনে হয় নিজেকে। লেপকম্বল, গিজার, কার্পেট, বিদ্যুৎ সবই রয়েছে। লাউেঞ্জ ঢাউস টিভি। আধুনিক প্রযুক্তির সৌজন্যে সব চ্যানেলই প্রায় হাজির। গরম চায়ে চুমুক দিলেই ক্লান্তি উধাও। তার ওপরে লজের সামনের ছায়াতালের মেঞ্চ জনজাতিদের অনুষ্ঠান দেখলে মনে হবে অন্য কোনও জগতে পৌছে গিয়েছি।
যাতায়াত
শিলিগুড়ির তেনিজং নোরগে টার্মিনাস থেকে বাসে জোড়থাং। সেখান থেকে প্রচুর ট্রেকার, জিপ মেলে। শিলিগুড়ি থেকে জিপ বা সুমো ভাড়া করলে প্রায় ২২০০ টাকা পড়বে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকেও পাওয়া যায় ভাড়ার গাড়ি।
ফিচার বিজ্ঞাপন
বাউন্ডারি ও রেজিষ্ট্রেশন করে নিজের প্লট বুঝে নিন
Kathmandu-Pokhara 5D/4N
সরবাটা ঘি ৫০০ গ্রাম
আস্তানা
— হি ট্যুরিস্ট লজ
সিকিম ট্যুরিজম ভিলেজ গেস্ট হাউস।
— হেল্প ট্যুরিজম
প্রযেত্ন, ছায়াতল তামলিং নার্সারি ও হেল্প ট্যুরিজম
হিলকার্ট রোড (স্ট্যাণ্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্কের কাছে),
শিলিগুড়ি
ফোন ০৩৫৩-২৪৩৩৬৮৩ এবং ০৩৫৩-২৫৩৫৮৯৩।
মোবাইল নম্বর ৯৪৩৪০-৪৬৮৯১।
সিকিমের ফোন নম্বর ০৩৫৯৫-২৪২২০০।
থাকা-খাওয়া মিলিয়ে মাথা পিছু দৈনিক অনুমানিক খরচ ১২৫০ টাকা।
আশেপাশে
— ২ কিলোমিটার দূরে রেড পাণ্ডা গেটের কাছে তামলিংয়ের প্রপিতামহের স্মৃতিবিজড়িত ঘরদোর। লিম্বু হাউস। লিম্বু শিল্পকলা দেখলে অবাক হতে হয়। মনও ভরে যায়। ৪০০ বছরের পুরনো কাঠের দোতলা বাড়ি দেখলে বিস্ময় জাগে। ওখানেই প্রাতরাশের ব্যবস্থা। মেনুতে মিলবে গরম শেলরুটি, চিমডিং, মাশরুম স্যুপ, চাটনি।
— তার পরে গন্তব্য রডোড্রেনডন স্যাংচুয়ারি। ওই এলাকায় ক্যাম্প সাইটও রয়েছে।
— মার্তামে মাংঘিম মন্দির, ফেং দোজি ফলস, আলে নজরমিনার। ঝর্না। গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় রিন চেন পং, উত্তরে ও পেলিং।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৯৩৮ বার পড়া হয়েছে