হোটেল, মোটেল কিংবা রিসোর্ট নয়, পারিবারিক পরিবেশে দিন-রাত যাপনে ব্যতিক্রমী সার্ভিস ‘হোম স্টে’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ট্যুরিজম বোর্ড। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে নিউ নরমাল অবস্থায় পর্যটকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ স্বল্প খরচে পর্যটন এলাকায় রাত-দিন যাপনে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে সারাদেশে এই ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের সেবায় কোভিড-১৯ পরবর্তী  স্বাভাবিক সময়েও চলবে এই কার্যক্রম।

ট্যুরিজম বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রান্তিক এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে সারাদেশের পর্যটন এলাকায় ‘হোম স্টে’ করার জন্য স্থানীয় লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দিন-রাত যাপনের নিশ্চয়তা পাবেন পর্যটকরা। করোনা পরবর্তীতেও অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে তৃণমূলের পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণে রাত যাপনের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ৩১ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে ‘লিটল ট্রি’ নামের একটি ‘হোম স্টে’ সার্ভিস প্রস্তুত করা হয়েছে। বনানীর মতো উন্নত এলকায় এই গেস্ট হাউজে অপেক্ষাকৃত কম দামেই থাকার  ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ট্যুরিজম বোর্ড জানায়, করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের পর্যটন খাত। করোনার কারণে পর্যটন সংশ্লিষ্ট দেশের ৪০ লাখ কর্মী তাদের আয় নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। এই কর্মীদের পরিবারের দেড় কোটির বেশি মানুষ ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এসব কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় লোকজনকে কাজে লাগাতে ‘হোম স্টে’ নামে নতুন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সারাদেশে ভ্রমণ পিপাসুদের প্রিয় স্থানগুলোতে যেখানে থাকার ব্যবস্থা নেই—সেখানে থাকার ব্যবস্থা করা হবে পারিবারিক পরিবেশে। ছোট ছোট বাড়িতে অবকাঠামোর উন্নয়ন করে পর্যটকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে এই কার্যক্রমে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Kathmandu-Nagarkot 4D/3N

মূল্য: ১২,৯০০ টাকা

বনানীর ‘লিটল ট্রি’ নামের গেস্ট হাউজের মালিক মো. মোশাররফ হেসেন শিশির বলেন, ‘‘কম খরচে উন্নত পরিবেশে থাকার ব্যবস্থা রেখেই করা হয়েছে ‘হোম স্টে’ সার্ভিস। বাবার সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টকে ‘লিটল ট্রি’ নামের ‘হোম স্টে’ সার্ভিস করেছি। এখানে রয়েছে সাতটি রুম। পর্যটকদের সুবিধার জন্য রয়েছে ড্রয়িং রুমও। একটি বড় হোটেলে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা যেসব রুমের ভাড়া নেওয়া হয়, সেই রকম রুমের ভাড়া দেওয়া হবে অনেক কম। দাম নির্ধারণ এখনও করিনি। তবে এক হাজার ২০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকায় রাত যাপনের ব্যবস্থা রাখা হবে, যা পর্যটকদের জন্য লাভজনক।’’

একাধিক পর্যটন কেন্দ্রকে ঘিরে একটি ‘হোম স্টে’ সার্ভিস চালু করলে উদ্যোক্তরা করোনার সময় টিকে থাকতে পারবেন। করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে পর্যটক এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা উভয় পক্ষই সুবিধা পাবেন। সরকার এ ধরনের কাজে উদ্যোক্তাদের সহায়তা করবে সব সময়।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনুন

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনু...



৪০২ বার পড়া হয়েছে