সেবার পরিধি এবং গুণগত মান বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে  করোনার ক্ষতি কাটাতে চায় ইউএস-বাংলা। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর সেকেণ্ড ওয়েভের ধাক্কা সামলে ওঠার চ্যালেঞ্জের মধ্যে নতুন বছরের সূচনাতে চার আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে বেসরকারি ওই বিমান সংস্থা। আগামী বছরের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই ও আবুধাবিতে ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউএস-বাংলা। সেই সঙ্গে সার্কভুক্ত দেশ শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলোম্বো এবং মালদ্বীপের রাজধানী মালেতেও ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক রুটগুলোকে নির্বিঘ্ন করতে ইউএস-বাংলার বিমান বহরে আরো দুটো বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ খুব দ্রুতই যুক্ত হচ্ছে, আগামী বছর থেকে ইউএস-বাংলা যশোর- কক্সবাজার, সিলেট-চট্টগ্রাম, সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে ফ্লাইট চালাবে। সেজন্য আরো দুটি এটিআর ৭২-৬০০ উড়োজাহাজ আনা হচ্ছে।

জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারির মধ্যেই উড়োজাহাজগুলো ইউএস বাংলার বহরে যুক্ত হবে।মেজবাহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের কাছে সহায়তার আবেদন করেছে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থার সাথে সুষম প্রতিযোগিতার জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করা দরকার। বিশেষ করে অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা, জেট ফুয়েলের দাম আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিরুপণ করা, প্যাসেঞ্জার এয়ারলাইন্সের জন্য হ্যাঙ্গার সুবিধা ইত্যাদি। ২০১৪ সালে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে বর্তমানে চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ছয়টি এটিআর ৭২-৬০০ উড়োজাহাজসহ মোট ১৩টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। মহামারীর কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হওয়ার আগে এ বিমান পরিবহন সংস্থা চেন্নাই, কলকাতা, দোহা, মাসকট, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক ও গুয়াংজু রুটে নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করত। এখন ব্যাংকক বাদে সাতটি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। করোনা মহামারীর মধ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, তা কাটিয়ে আগের অবস্থায় ফিরতে কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগবে জানিয়ে ইউএস বাংলার সিইও বলেন, ক্ষতি কাটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েই তারা সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। তবে ব্যবসা যাই হোক স্বাস্থ্যবিধির সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে সেবা অক্ষুণ্ণ রাখাই তাদের মূখ্য উদ্দেশ্য।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Thimpu-Paro-Dochala Pass-Punakha 6D/4N

মূল্য: ২৬,৯০০ টাকা

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



১৯৯ বার পড়া হয়েছে