খুলনার সাতক্ষীরা রেঞ্জের অধীনে সুন্দরবনের পশ্চিম অংশে অবস্থিত কলাগাছিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক (Kalagachia Eco Tourism Park) ও টহল ফাঁড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি পর্যটন কেন্দ্র। কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রটির একদিকে লোকালয় ও আরেক পাশে সুন্দরবন, আর মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে খোলপেটুয়া নদী। বন পেরিয়ে নদী পথে খাল পার হয়ে কলাগাছিয়া যেতে হয়। লোকালয় পার হয়ে সুন্দরবনের পশ্চিম বনের ভিতর দিয়ে কলাগাছিয়া যাওয়ার সময় দুই ধারের সারি সারি বন মুগ্ধ করে।
ইকোট্যুরিজম ঘাটে ট্রলার ভিড়লেই অসংখ্য বানরের দেখা মিলে। মূল অংশে ঢোকার পথে আছে লোহার তৈরি একটি ব্রিজ। এই ব্রিজ পার হলে একটি রেস্ট হাউজ ও কাঠের তৈরি আরেকটি ব্রিজ নজরে আসে। কাঠের সেতুর দুই পাশে আছে খলিশা, হরকোচা ও বাইন গাছের সারি। আর বনের ভিতরে আছে বানর ও হরিণের দল। ওয়াকওয়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে পাঁচতলা ওয়াচ টাওয়ার থেকে পাখির চোখে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এখানে বনের ভিতরের শিব মন্দিরে বনবিবির পূজা করা হয়। অনেকের বিশ্বাস মন্দিরে দর্শন দিয়ে বনের ভেতরে গেলে সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
কিভাবে যাবেন
সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে যেতে হলে প্রথমে সাতক্ষীরা জেলায় আসতে হবে। ঢাকা থেকে সোহাগ, এসপি গোল্ডেন লাইন, হানিফ পরিবহনের বাসে সাতক্ষীরা যেতে পারবেন। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ অথবা নীলডুমুর ঘাট থেকে ট্রলারে কলাগাছিয়া যেতে হয়। নীলডুমুর খেয়া ঘাট থেকে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে কলাগাছিয়া যেতে ২০-৩০ মিনিট সময় লাগে। ২০-২৫ জনের একটি ট্রলারের ভাড়া ৮০০-১২০০ টাকা।
কোথায় থাকবেন
সাতক্ষীরার উল্লেখযোগ্য আবাসিক হোটেল ও রিসোর্টের মধ্যে টাইগার পয়েন্ট গেস্ট হাউজ, বর্ষা রিসোর্ট, সুন্দরবন হোটেল, হোটেল সৌদিয়া, হোটেল সোনার বাংলা, উৎসব বাগান, রূপসী বাংলা লজ ও আকাশলীনা রিসোর্ট অন্যতম।
ফিচার বিজ্ঞাপন
মালয়শিয়া ভিসা প্রসেসিং (বিজনেসম্যান)
জাকার্তা ও বালি ৭দিন ৬ রাত
কলম্বো ও ক্যান্ডি ৪দিন ৩ রাত
কোথায় খাবেন
সাতক্ষীরা শহরে সোনারগাঁও হোটেল, পানসি রেস্টুরেন্ট, লেক ভিউ ক্যাফে, সাদিয়া হোটেল ও স্বপ্ন রেস্তোরাঁর মতো বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। সুন্দরবনের নদীর মাছ, গলদা ও বাগদা চিংড়ি, সাতক্ষীরা সন্দেশ, সুন্দরবনের খাঁটি মধু ও চুই ঝালের খ্যাতি রয়েছে বিশ্বজোড়া।
Source: vromonguide
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন৩৮১ বার পড়া হয়েছে




