ঘর সাজানোর উপকরণ হিসাবে কুশনের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। প্রাচীনকালে রাজা বাদশাদের আমলেও নানাভাবে তাকিয়ার ব্যাবহার দেখা যায়। বসা ব্যপারটাকে আরামদায়ক করার পাশাপাশি কুশন আমাদের ঘরের সৌন্দর্যে আলাদা মাত্রা যোগ করে। ঘরসজ্জায় নানাভাবে নানা জায়গায় এক বা একাধিক কুশন ঘরে একধরনের আরামের অনুভূতি এনে দেয়। একটা মামুলি আসবাবেও ভিন্ন সৌন্দর্য এনে দিতে পারে সুন্দর কুশনের ব্যবহার।
ব্যবহারের ভিন্নতা অনুযায়ী বদলে যায় কুশনের ধরণ। যেমন, নীচে বসার জন্য বড় আকারের, ঘুমানোর জন্য মাঝারি, তো সোফায় বসে হাত রাখার জন্য ছোট কুশন ভালো লাগে। সবচেয়ে ভালো ব্যপার হচ্ছে একই কুশন, কাভার বদলে বদলে নানাভাবে ব্যবহার করা যায়। কুশন কাভারে একরঙা ফেব্রিক, ব্লক, বাটিক, টাইডাই, এপ্লিক, হাতের কাজ, লেইস, কুঁচি বা চুমকির ব্যবহার দেখা যায় সাধারণত।
সোফায় বসে বা বিছানায় শুয়ে টিভি দেখতে দেখতে বা বই পড়তে পড়তে আমরা কুশনে হেলান দেই। আসুন আজ দেখে নেই কোথায় কীভাবে কুশন ব্যবহার করে আমাদের গৃহকোনকে বদলে ফেলতে পারি।
সোফা বা কাউচে
কুশনের সবচাইতে জনপ্রিয় আর বহুল ব্যবহার সোফায়। তবে সোফার সিটের সংখ্যানুযায়ী কুশন না রেখে সোফার আকার অনুযায়ী রাখুন। সবগুল একই আকারের কুশন না রেখে বড়ছোট, চারকোণা, গোল, হার্ট ইত্যাদি আকৃতির মিলিয়েমিশিয়ে রাখুন। এতে আপনার সাধারণ সোফা আর ঘরের চেহারাটাই বদলে গিয়েছে দেখবেন। আর আপনার সোফা যদি একটু ভিন্নধরনের বা আকারে ছোট হয়, তবে সুন্দর দেখতে একটি বা দু’টি কুশনই যথেষ্ট।
বিছানায় কুশন
বালিশের পাশাপাশি বিছানায় কিছু কুশন রাখলে তা ঘরের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে বহু গুণ। কুশন কাভার বালিশ আর বিছানার চাদরের সাথে মিলিয়ে বাছাই করাই ভালো।
বসার আয়োজনে কুশন
যাদের বাসা ছোট তারা সোফা না রেখে ঘরের এক কোণে কুশন দিয়েই একটা সিটিং এরেঞ্জমেন্ট করতে পারেন। নীচে বসার কুশন আকারে একটু বড় হয়। চাইলে পাটের শতরঞ্জি বা কার্পেটও ব্যবহার করা যায় কুশন রাখার জন্য। তবে নীচে বসার জন্য একটু গাঢ় রঙের কুশন ভালো হবে, যেহেতু দ্রুত ময়লা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কেউ চাইলে শোবার ঘরে, বারান্দায় বা নিজের পছন্দমতো জায়গায়ও ইচ্ছামতো রঙবেরঙের কুশন ব্যবহার করে ছোট্ট বসার জায়গা বানাতে পারেন। কুশনের পাশে ছোটবড় শো পিস, গাছভর্তি টব, ফুলদানী অথবা ল্যাম্প দিয়ে সাজাতে পারেন।
চেয়ারে কুশন
শুধু সোফাতেই নয়, দীর্ঘক্ষন বসে কাজ করলে বা পড়াশোনা করলে ব্যাক সাপোর্টের জন্য চেয়ারেও কুশন ব্যবহার করা যায়। বারান্দা বা বাগানে চেয়ার থাকলে সেখানে কুশন রাখুন; আরাম তো পাবেনই, দেখতেও সুন্দর লাগবে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
জাপান ভিসা প্রসেসিং (চাকুরীজীবী)
কলম্বো ৩দিন ২ রাত
Dubai (City tour- Dhow cruise- Desert safari) 4D/3N
রঙের বৈপরীত্য আনতে কুশন
কেউ কেউ বিপরীত রঙে ঘর সাজাতে ভালোবাসেন। সোফা কিংবা বিছানার চাদরের বিপরীত রঙের কুশন ব্যবহার করুন। তবে দুটো রঙ একইসাথে গাঢ় না রেখে একটি গাঢ় আর অপরটি হালকা রাখুন।
আপনার সাদা সোফায় নিয়ন রঙের কুশন ব্যবহার করে দেখুন, নিমেষেই ঘরে কিছুটা উষ্ণতা এনে দেবে। তেমনি কালো চাদরে টকটকে লাল কিংবা ম্যাজেন্টা রঙের কুশনে কেমন বদলে যায় দেখুন আপনার ঘর!
বাচ্চাদের জন্য কুশন
বাচ্চারা দেখা যায় কুশন নিয়ে খেলতে পছন্দ করে। তাই তাদের ঘরে কিংবা তাদের জন্য নানা রঙ ও আকৃতির কুশন ব্যবহার করুন যেমন হার্ট বা স্টার শেপ কিংবা ত্রিকোণাকৃতির কুশন।
যারা ঘর সাজাতে ভালোবাসে তাদের জন্য কুশন একটা দারুণ উপকরণ। শুধুমাত্র কুশনের রঙ, আকার আর ধরন বদলেই পাল্টে ফেলুন ঘরের চেহারা।
রাজনীন ফারজানা
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত আয়োজন এখানে অপেক্ষা করছেপূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত ...
২৪৭ বার পড়া হয়েছে