বাংলাদেশে জনপ্রিয় প্রাইভেট কারের ব্রান্ডগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় টয়োটা অ্যালিয়েন ও প্রিমিও। এ দুইটি ব্রান্ডের কারের উৎপাদন বন্ধ হচ্ছে আগামী মার্চে-এমন খবরে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে গাড়ির বাজারে। নগরের শেখ মুজিব সড়কের বিভিন্ন গাড়ির শোরুমে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ২০১৫ সালের মডেলের অ্যালিয়েন কার ২৩ লাখ টাকা এবং প্রিমিও ২৪ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২০২০ সালের মডেলের হলে দাম বেশি, ৪০-৪৯ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে করোনার প্রভাবে গাড়ি বিক্রি কমে গেছে। উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রাইভেট কার ব্যবহারকারীদের মধ্যে এ দুইটি ব্রান্ড জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে অনেক কারণ আছে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে- যন্ত্রাংশের সহজলভ্যতা।

বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যানড্ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন-বারভিডার সভাপতি আবদুল হকের কাছে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে বলেন, ২০২১ সালে টয়োটা অ্যালিয়েন ও প্রিমিও ব্রান্ডের গাড়ি আর উৎপাদন করবে না। এর পরিবর্তে ১৫০০, ১৮০০ ও ২০০০ সিসির হাইব্রিড গাড়ি আনতে পারে। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নতুন মডেলের গাড়ি আনলে দাম বাড়ে। তবে এটাও ঠিক যে পরিবর্তনের যেমন প্রয়োজন আছে তেমনি পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। যাত্রী ও চালকের নিরাপত্তা, আরামদায় ভ্রমণ, উন্নত সুযোগ-সুবিধা, পরিবেশ সুরক্ষা, জ্বালানি ব্যয়, সরকারের ট্যাক্স, কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস অনেক বিষয় কাজ করে একেকটি গাড়ির মডেল ব্যবসা সফল হতে। যদি প্রিমিও এবং অ্যালিয়েন গাড়ির সাপ্লাই কমে যায় এবং ডিমান্ড বেড়ে যায় তাহলে দাম বাড়বে। এটা সময়ই বলে দেবে।  

একজন গাড়ি আমদানিকারক বাংলানিউজকে বলেন, অন্যতম জনপ্রিয় সেডান বা সেলুন কারগুলোর মধ্যে প্রিমিও, অ্যালিয়েন বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাংলাদেশে। এ টাইপের আরও অনেক ব্রান্ডের গাড়ি আসছে বাংলাদেশে। একেক ব্রান্ড বা মডেলের একেক ধরনের বাড়তি সুবিধা, নতুন নতুন ফিচার। দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এখন অনেক তরুণ নিজে বিশ্বের বিভিন্ন গাড়ি উৎপাদনকারী কোম্পানির ওয়েবসাইটে গাড়ি পছন্দ করে শোরুমে অর্ডার দিচ্ছেন। বাংলাদেশে তৈরি পিএইচপি অটোমোবাইলস লিমিটেডের ব্রান্ড নিউ প্রোটন কারও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৩১৭ বার পড়া হয়েছে