চিকিৎসার প্রয়োজনে অনেক ওষুধই আমাদের খেতে হয়। এর মধ্যে কিছু ওষুধ মোটা হওয়ার জন্য দায়ী। যাঁরা মোটা হচ্ছেন, দরকার হলে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে জেনে নিন।

স্টেরয়েড ও হরমোন:

সম্ভবত সবচেয়ে বেশি এ ঘটনাটি দেখা যায় স্টেরয়েড নিয়ে। স্টেরয়েড একটি ধন্বন্তরি ওষুধ। বিশেষ করে হাঁপানি বা অ্যালার্জি হঠাৎ বেশি বেড়ে গেলে, প্রচণ্ড ব্যথা-বেদনা কমাতে কিংবা ত্বকের ও হাড়সন্ধির নানা সমস্যায় চিকিৎসকেরা স্টেরয়েড দিয়ে থাকেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ ওষুধ হয়তো কয়েক দিনের জন্য খেতে দেওয়া হয়। কিন্তু রোগীরা উপশম পেয়ে বারবার বা একটানা দীর্ঘদিন খেতে থাকেন। ফলে ওজন বাড়তে থাকে। বাজারে প্রচলিত অনেক হারবাল, টোটকা বা ভেষজ ওষুধ আসলে কিছুই নয়, এই স্টেরয়েড। তাই এসব থেকে সাবধান।
খেলোয়াড় ও অ্যাথলেটরা শক্তি বাড়ানোর জন্য টেস্টোস্টেরন বা নানা ধরনের হরমোন সেবন করেন, সেগুলো ওজন বাড়ায়। ওজন বাড়ায় জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িও। তবে বর্তমানে যেসব স্বল্পমাত্রার বড়ি বা কেবল ইস্ট্রোজেন বড়ি পাওয়া যায়, তাতে এ ওজন বাড়ার হার কম।

ডায়াবেটিসের ওষুধ:

সালফোনাইলইউরিয়া ও গ্লিটাজন গ্রুপের ডায়াবেটিসের ওষুধ রোগীর ওজন বাড়ায়। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে এমনিতেই ওজনাধিক্য একটি বড় সমস্যা, তাই স্থূল রোগীদের এসব ওষুধের বিকল্প খোঁজা উচিত। কেননা, একই সঙ্গে ওজন কমায় ও কার্যকর নানা নতুন ওষুধ, যেমন মেটফরমিন, ডিপিপি ৪ ইনহিবিটর ইত্যাদি এখন বাজারে রয়েছে। ইনসুলিনও ওজন বাড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Singapore Tour with Universal Studio 4D/3N

মূল্য: ২৬,৯০০ টাকা
মানসিক রোগের ওষুধ:

বিষণ্নতার নানা ওষুধ, মানসিক রোগ ও মৃগীরোগের বিভিন্ন ওষুধও ওজন বাড়ায়। যেমন অ্যান্টিডিপ্রেশেন্ট, সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট বা লিথিয়াম। কিন্তু প্রয়োজনে এ ধরনের ওষুধ আপনাকে খেতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওজন কমানোর জন্য অন্য দিকে সচেষ্ট হোন।
একটা ধারণা আছে যে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি খেলে ওজন বাড়ে, কিন্তু আসলে তা নয়। এসব ওষুধের সঙ্গে ওজন বাড়ার সম্পর্ক নেই। সব ধরনের ঘুমের ওষুধেও ওজন বাড়ে না। আর ওজন বাড়ার জন্য হয়তো আপনার জীবনাচরণই বেশি দায়ী, সে দিকটাও লক্ষ করুন।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২১১ বার পড়া হয়েছে