ফোঁড়া দেখলে ওটাকে ফেটে ফেলতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছেটাকে দমন করা আসলেই কঠিন। সাধারণত ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন থেকে ফোঁড়া সৃষ্টি হয়। যখন শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে, আমাদের ইমিউন সিস্টেম সংক্রমিত স্থানে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইকারী শ্বেত রক্তকণিকা পাঠায়। শ্বেত রক্তকণিকা ব্যাকটেরিয়াকে আক্রমণ করার ফলে আশপাশের কিছু টিস্যু মারা যায় ও গর্ত সৃষ্টি হয়। গর্তটি পুঁজে ভরে যায়। মূলত পুঁজ হলো মৃত টিস্যু, শ্বেত রক্তকণিকা ও ব্যাকটেরিয়ার মিশ্রণ। ব্যথাদায়ক ও পুঁজে ভর্তি ফোঁড়া পুরোপুরি সারতে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত লাগতে পারে। এখানে কার্যকর ও নিরাপদ উপায়ে ফোঁড়া দূর করার উপায় দেয়া হলো।
* ফোঁড়াকে ফাটবেন না, খোঁচাবেন না বা চাপ দেবেন না: শরীর থেকে সংক্রমণের ময়লা (পুঁজ) বের হওয়ার জন্য ফোঁড়াতে একটি মাথা থাকে। আমাদের সহজাত প্রবণতা হলো, এরকম ফোঁড়া দেখলেই ফাটতে বা খোঁচাতে চাই। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, ইচ্ছেটাকে দমিয়ে রাখা উচিত। নিউ ইয়র্কে অবস্থিত মেমোরিয়াল স্লোয়ান কেটারিং ক্যানসার সেন্টারের স্কিন সার্জন অ্যান্থনি এম. রসি বলেন, ‘ফোঁড়াকে নিজে নিজে ফেটে যেতে দিন। এটাতে চাপও দেবেন না, কারণ বেশি চাপ দিলে ব্যাকটেরিয়া আরো গভীরে চলে যেতে পারে।’
* আইবুপ্রোফেন সেবন করুন: ফোঁড়া ওঠলে নড়াচড়া করতে গেলে ব্যথা হবে না তা কি হয়? অধিকাংস ফোঁড়ার ক্ষেত্রে নড়াচড়া না করলে তেমন ব্যথা অনুভূত হয় না। নড়াচড়াতে ফোঁড়া প্রভাবিত হলে ব্যথা করে, যেমন- হাঁটুতে ফোঁড়া ওঠলে নামাজ পড়তে গেলে ব্যথা হয়। আবার এমনও স্থান রয়েছে যেখানে ফোঁড়া ওঠলে ডেস্কে বসে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে, যেমন- নিতম্ব। কিন্তু দুশ্চিন্তা করবেন না, ব্যথা কমাতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ডা. রসির মতে, ফোঁড়ার ব্যথা ও প্রদাহ না কমা পর্যন্ত সঠিক ডোজে আইবুপ্রোফেন সেবন করতে পারেন।
* কুসুম গরম পানি ও সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন: ডা. রসি বলেন, ‘কোনো ফোঁড়া নিজ থেকে ফেটে গেলে পুঁজ বের হয়ে আসতে দিন।’ তারপর সাবধানতার সঙ্গে সাবান ও কুসুম গরম পানি দিয়ে ফোঁড়াটি পরিষ্কার করে ফেলুন। এটা হলো ফোঁড়ার ক্ষত পরিষ্কার করতে রাবিং অ্যালকোহলের ভালো বিকল্প। রাবিং অ্যালকোহল ব্যবহারে হুল ফোটানোর অনুভূতি বা জ্বালাপোড়া হতে পারে।
* ফোঁড়ার ক্ষতে স্টেরাইল গজ ব্যান্ডেজ লাগান: ফোঁড়া ফেটে পুঁজ বের হয়ে গেলে ক্ষতস্থানটাকে পরিষ্কারের পর স্টেরাইল গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে দিন। টাইট করে ব্যান্ডেজ বাঁধবেন না। ডা. রসি বলেন, ‘ফোঁড়ার ক্ষতকে ব্যান্ডেজ দিয়ে আবৃত করলে শরীরের অন্যান্য অংশে ব্যাকটেরিয়া ছড়াবে না।’ ফোঁড়া থেকে পুঁজের ক্ষরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন কমপক্ষে একবার ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করুন।
* হাত ধুয়ে ফেলুন: ফোঁড়ার সেবা করার পর ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে, অন্যথায় সংক্রমণটি আপনার শরীরের অন্য কোথাও অথবা অন্য কারো শরীরে ছড়াতে পারে। ডা. রসি বলেন, ‘ফোঁড়াকে ঘনঘন স্পর্শ করা উচিত নয়, কারণ সেখানে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে।’ সাবান-পানি পাওয়া না গেলে অ্যালকোহল-বেসড হ্যান্ড ক্লিনার ব্যবহার করুন। বাইরে বের হলে পকেট বা পার্সে এ ধরনের জীবাণুনাশক রাখুন।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Australia Visa for Businessman
Dubai City tour- Dhow cruise- Desert safari- Burj Khalifa 6D/5N
মালয়শিয়া-সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া ৯দিন ৮ রাত
* ফোঁড়ার সংস্পর্শে আসা জিনিস শেয়ার করবেন না: আপনার ফোঁড়া বা পুঁজের সংস্পর্শে এসেছে এমন যেকোনো জিনিস পরিবারের কারো সঙ্গে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন, কারণ এতে তারাও সংক্রমিত হতে পারেন। ডা. রসি বলেন, ‘সংক্রমণটি পুরোপুরি চলে না যাওয়া পর্যন্ত আপনার ওয়াশক্লথ, টাওয়েল, রেজার, পোশাক ও গোসলের পানি অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না।’
* ফোঁড়া দূর না হলে চিকিৎসককে দেখান: ডা. রসি বলেন, ‘দুই সপ্তাহ পরও ফোঁড়া সেরে ওঠার লক্ষণ না দেখলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।’ কেননা এর সঠিক চিকিৎসা না করলে ফোঁড়াটি দ্রুত আরো গভীর ও যন্ত্রণাদায়ক হবে। এরকম হলে সার্জারি ব্যতীত পুঁজ বের করার উপায় নেই। চূড়ান্ত পরিণতি হলো, ব্যাকটেরিয়াটি রক্তে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অঙ্গকে আক্রান্ত করতে পারে অথবা প্রাণনাশক সেপসিস হতে পারে।
জ্বর আসলে, শীতশীত লাগলে, ব্যথা ছড়িয়ে পড়লে অথবা শরীরের অন্যান্য স্থানে আরো ফোঁড়া ওঠলে চিকিৎসককে জানাতে হবে। ফোঁড়া নিজে নিজে না সারলে আপনার চিকিৎসক ইনফেকশন দূর করতে উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করবেন অথবা স্টেরাইল নিডল দিয়ে ফোঁড়াকে ড্রেইন করাতে রেফার করতে পারেন।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
Online Shopping BD (Facebook Live)৩১৩ বার পড়া হয়েছে





