উদ্বোধনের পর থেকেই অন্ধকারে ঢাকার মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার। দীর্ঘদিন ধরে ফ্লাইওভারটিতে আলো না জ্বলাতে অপরাধী চক্র রয়েছে সক্রিয়। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। সূর্যের আলো নিভে গেলেই ফ্লাইওভারটিতে ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করে। আর গভীর রাতে ফ্লাইওভারটি রীতিমতো ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাত ১১টার পরে ছিনতাইকারীর ভয়ে ফ্লাইওভার দিয়ে যানবাহন চলাচল করে না। যারা না জেনে গভীর রাতে ফ্লাইওভার দিয়ে যাতায়াত করে তাদের বিপদে পড়তে হয়।
শুধু তাই নয় ভুতুড়ে পরিবেশের কারণে অনেক যানবাহনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। আলো না থাকার কারণে মাদকসেবীরা নির্বিঘ্নে মাদক সেবন করে। এমনকি ফ্লাইওভার থেকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, রাতের বেলা ফ্লাইওভারে আলো না থাকায় কিছু দুর্বৃত্ত এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চুরি-ছিনতাই করছে। আরেকটি চক্র সুতা দিয়ে ফাঁদ তৈরি করে লুটে নিচ্ছে টাকা, মোবাইল, ল্যাপটপসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী। ছিনতাইকারীর ফাঁদে পড়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, ফ্লাইওভারে ছিনতাইকারীর ফাঁদে পড়ে সবকিছু হারানোর পরও ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করে না।
সূত্র জানিয়েছে, রাতে মোটরসাইকেল আরোহীদের সুতার ফাঁদে ফেলে সবকিছু লুটে নিয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ চক্র। ফ্লাইওভারে চলাচলের রাস্তায় আড়াআড়িভাবে নাইলনের সুতা বেঁধে রাখে চক্রটি। মোটরসাইকেল আরোহীরা দ্রুত যাওয়ার চেষ্টা করলে সুতায় টান লেগে আটকে যান। আর মোটরসাইকেল থামালেই সশস্ত্র ছিনতাইকারীরা এসে হাজির হয়। ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়ে যায় সবকিছু। গভীর রাতে যানবাহন ও মানুষ চলাচল না থাকায় ভুক্তভোগীর কিছু করার থাকে না।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্মিত ফ্লাইওভারটি ২০১৭ সালের ২৬শে অক্টোবর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। চার লেনের এই ফ্লাইওভারে ওঠানামার জন্য সাতরাস্তা, সোনারগাঁও, হলি ফ্যামিলি, বাংলা মোটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স, শান্তিনগর মোড়, আবুল হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়েছে ১৫টি র্যাম্প। ফ্লাইওভারের মগবাজার রেলক্রসিং থেকে সাতরাস্তা এবং সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত অংশটুকুর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি)। আর বাকি অংশটুকুর দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সূত্রে জানা গেছে, উদ্বোধনের পর দীর্ঘদিন অভিভাবকহীন ছিল মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাকে এই দায়িত্ব দেয়া হবে সেটি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল। পরে ২০১৮ সালের ৮ই নভেম্বর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে ফ্লাইওভারটির দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু দায়িত্ব দেয়ার পর সিটি করপোরেশনকে বাতি লাগানোর কোনো বাজেট দেয়া হয়নি। তাই বাতি লাগানো নিয়ে অনেক গড়িমসি হয়। পরে ডিএসসিসি বাতি লাগানোর জন্য একটি বাজেট করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। মন্ত্রণালয় ২৪ কোটি টাকা বাজেটের সত্তর শতাংশ দিতে রাজি হয়। বাকি টাকা ডিএসসিসিকে বহন করতে বলে। এখন ডিএসসিসি’র মেয়রের দপ্তরে ফাইলটি পড়ে আছে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Australia Visa for Businessman
Siliguri – Gangtok (Sikkim) 6D/5N
মালাওয়শিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ৭দিন ৬রাত
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান মানবজমিনকে বলেন, বাতি লাগানোর কাজ কবে শুরু হবে সেটি এখনো ঠিক হয়নি। তবে ফ্লাইওভারে বাতি লাগানোর যাবতীয় খরচের একটি বাজেট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। মন্ত্রণালয় সেই বাজেটের ৭০ শতাংশ দিতে রাজি হয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ ডিএসসিসিকে দিতে বলেছেন। এখন ফাইলটি মেয়রের কাছে আছে। তিনিই সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে বাজেটের পুরো টাকা ডিএসসিসি দিবে এমন সিদ্ধান্তও হতে পারে। ফ্লাইওভারের উদ্বোধনের পরে বাতি লাগাতে এতো দেরি হচ্ছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফ্লাইওভারের দায়িত্ব অনেক পরে আমাদেরকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তারপরে এটার বাজেট রেডি করে মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়। সেখান থেকে বাজেট পাস হতেও কিছুটা সময় লেগেছে।
Source: Jugantor
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন২৫৪ বার পড়া হয়েছে