অবশেষে মোটরসাইকেল এর মার্কেট ডিমান্ড এর কারণে সিসি লিমিটেশন কিছু বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। হ্যা, ঠিকই শুনছেন, সিসি লিমিটেশন বাড়ানোর একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, আর সেটা সম্ভবত ৩৫০সিসি, যা অনেক দিন থেকেই বাংলাদেশের বাইকাররা এবং বাইক কোম্পানি গুলোর একটি অপেক্ষায় ছিল।
আশা করা যাচ্ছে বর্তমান ১৬৫সিসি থেকে বাড়িয়ে সেটাকে ৩৫০সিসি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হতে পারে। আপনি ঠিকই শুনেছেন ৩৫০সিসি, মোটরসাইকেলপ্রেমীদের জন্য বিশেষ ভাবে বাংলাদেশের বাইকার এবং মোটরসাইকেল প্রেমীদের জন্য এটি অনেক দিনের স্বপ্ন বলা যায়। কারণ অনেক দিন থেকে উচ্চ সিসির বাইকের প্রতি বাংলাদেশের বাইকারদের একটা আকর্ষণ রয়েছে।
যদি উচ্চসিসির পারমিশন চলেই আসে তবে মার্কেটে কোম্পানি গুলোর জন্য একটি নতুন দ্বার উন্মুক্ত হবে। উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসবেন সেই সাথে বিনিয়োগ বাড়বে। লোকাল বিনিয়োগ বাড়ার সাথে সাথে বাইরে থেকে মানে বিদেশী বিনিয়োগ অনেকাংশে বাড়ে যাবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে অনেক বড় বড় কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসবে।
২০০০ সাল পর্যন্ত কোন ধরনের ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির রেস্ট্রিকশন বাংলাদেশে ছিল না। কিন্তু পরবর্তিতে সরকার সিসি লিমিটেশন ১৫০সিসি পর্যন্ত করে দেয়। এর কারণ হচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা প্রশাসন অপরাধীদের ধরতে পারত না, এছাড়া অনেক আইন ভঙ্গকারীরা ধরা ছোয়ার বাইরে চলে যেত। Bengals Motorcycle Club এর প্রেসিডেন্ট সালেক শাহরিয়ার বলেন, অন্যান্য দেশ গুলোতে লো ক্যাপাসিটির বাইক গুলোকে হাইওয়েতে চলতে দেয়া হয় না, সেফটি নিশ্চিত করতে। কিন্তু বাংলাদেশে ঠিক এর উল্টোটি ঘটে থাকে।
এছাড়া উচ্চ সিসির বাইকের ক্ষেত্রে বাইকটি দ্রুত গতি কমিয়ে আনা যায় এবং থামানো যায়। আর এই বাইক গুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে ব্রেকিং সিস্টেম যুক্ত করা থাকে সেফটি নিশ্চিত করতে।
বাংলাদেশে মোটরসাইকেল তৈরির পথিকৃৎ ধরা হয় রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড কে। তারা তিন বছর আগে নেপালে তাদের মোটরসাইকেল রপ্তানী শুরু করে। বাংলাদেশের সরকারের নীতি অনুযায়ী তারা ৫০০সিসি পর্যন্ত বাইক তৈরি করতে পারবে রপ্তানী করার জন্য। যেহেতু সিসি লিমিটেশন রয়েছে তাই তারা রপ্তানী করার জন্য ২০০সিসি মোটরসাইক গুলো টেস্ট করতে পারছে না।
রানারের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেছেন, আমরা বাইকের সমস্যা গুলো এখানে ধরতে পারি না। যখন রপ্তানি করা হয় তখন ওখানে সমস্যা তৈরি হলেই আমরা জানতে পারি। তাই এভাবে রপ্তানি করা কোন যুক্তিসঙ্গত বলে আমি মনে করি না। হাফিজুর রহমান হচ্ছেন, মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাচার্স এন্ড এক্সপোর্ট এসোশিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট, তিনি সরকারকে সিসি লিমিটেশন এর ব্যাপারটি চিন্তা করে দেখতে বলেছেন। “না হলে এই পটেনশিয়াল ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসার বিস্তার করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।”
ফিচার বিজ্ঞাপন
Manila & Cebu 5D/4N
তুরস্ক ভিসা (চাকুরীজীবী)
ফিলিপাইন ভিসা প্রসেসিং (চাকুরীজীবী)
যারাই টু হুইলারের ক্ষেত্রে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব তৈরি করেছে, যেমন ভারত, ইন্দোনেশিয়া বা থাইল্যান্ড, তারা বিনিয়োগকারীদের দুটি জিনিসের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে। এক, লোকাল মার্কেট ডিমান্ড এবং সেই সাথে রপ্তানী করার একটি সুবর্ণ সুযোগ। রানার আমেরিকার ব্র্যান্ড ইউনাইটেড মোটর্স এর সাথে কয়েক বছর আগে একটি কলোবরেশনে যায়। তবে শুধু মাত্র তারা লো ক্যাপাসিটির মডেল গুলো তৈরি ও রপ্তানি করতে পারবে। ইউনাইটেড মোটর্স রানারকে উচ্চ সিসির মোটরসাইকেল তৈরির পারমিশন দেয়নি। কারণ তাদের প্রোডাকশন কোয়ালিটি নিয়ে কিছুটা সন্দেহ ছিল, যেহেতু তারা সেই প্রোডাক্টিটি লোকাল মার্কেটে বাজার যাত করতে পারবে না।
র্যাঙ্কন মোটরবাইকস লিমিটেড, বাংলাদেশে সুজুকির মোটরবাইকস গুলো তৈরি করে থাকে। তারা সরকারকে আবেদন জানিয়েছে যে, যেন সিসি লিমিটেশন এর ব্যান তুলে দেয়া হয় অথবা সেটাকে যেন বাড়িয়ে দেয়া হয়। যাতে করে তারা সুজুকির উচ্চ সিসির মোটরসাইকেল গুলো তৈরি ও রপ্তানি করতে পারে। ২০১৯ এর দিকে জাপানিজ কোম্পানি কাওয়াসাকি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ সরকারকে জানিয়েছিল যে তারা বাংলাদেশে কাওয়াসাকির মোটরসাইকেল গুলো তৈরি করতে এবং বিনিয়োগে আগ্রহী, কিন্তু যেহেতু সিসি লিমিটেশন রয়েছে তাই তারা নিশ্চিত নয় যে এখান থেকে সেভাবে কোন রিটার্ন আসবে কিনা। একই ধরনের কথা কাওয়াসাকির অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর এশিয়ান মোটরবাইকসও জানিয়েছে। এশিয়ান মোটরবাইকস এর হেড শাফাত ইশতিয়াক জানিয়েছেন যে, সিসি লিমিটেশন বাংলাদেশের মোটরসাইকেল ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত করছে।
পৃথিবীর বিখ্যাত কোম্পানি BMW এবং ডুকাটি দুটি কোম্পানিই বাংলাদেশ ইনভেস্ট করতে আগ্রহী। জাপানিজ হোন্ডা, ইয়ামাহা, ভারতীয় হিরো, বাজাজ, টিভিএস ইতিমধ্যে তাদের ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট বাংলাদেশে করেছে। অতিরিক্ত সচিব, এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন যে, আমরা সিসি লিমিট আটকে রাখতে পারব না, কেননা এর চাহিদা LDC স্ট্যাটাস অনুযায়ী দিন দিন বেড়েই চলেছে। যদি আমরা বৈদেশিক বাজারে ঢুকতে চাই তাহলে আমাদের নিজেদের ইন্ডাস্ট্রির দিকে ইনভেস্ট করতে বাকিদের আগ্রহী করে তুলতে হবে।”
এখন কমার্স মিনিস্ট্রি কে অপেক্ষা করতে হবে হোম এফেয়ার্স এবং ট্রান্সপোর্টেশন বিভাগের মতামতের জন্য। সোর্স মতে হোম মিনিস্ট্রি আগের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহী বাংলাদেশে উচ্চ সিসির টু-হুইলার্স এর ব্যাপারে।
Source: Bikebd
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...
৩১০ বার পড়া হয়েছে





