পিরামিড নিয়ে বিশ্ববাসীর জানার আগ্রহ তুঙ্গে। তখনকার সময়ে উঁচু এসব পিরামিড তৈরি করা এতোটাও সহজ ছিল না। পিরামিড রহস্য যুগ যুগ ধরে বিজ্ঞানী কিংবা গবেষকরা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। গিজার গ্রেট পিরামিডের নাম অনেকেই শুনেছেন নিশ্চয়ই! এ পিরামিড নিয়ে অনেক রহস্যের সমাধান হয়নি আজও। এর বিশালত্ব আপনাকে অবাক করবে। মিশরের সবচেয়ে বড়, পুরোনো এবং আকর্ষণীয় পিরামিড হচ্ছে গিজা’র পিরামিড যা খুফু’র পিরামিড হিসেবেও পরিচিত।
গ্রেট পিরামিড ৩ হাজার ৮০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ মানব-নির্মিত কাঠামো ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ২৫৫০ সালে নির্মিত এই পিরামিড বিশ্বের সাত প্রাগৈতিহাসিক আশ্চর্যের একটি। এর উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট। এটি ৭৫৫ বর্গফুট জমির উপর স্থাপিত। পিরামিডটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ২০ বছর এবং শ্রমিক খেটেছিল আনুমানিক ১ লাখ।
পিরামিডটি তৈরি করা হয়েছিল বিশাল বিশাল পাথর খণ্ড দিয়ে। পাথর খণ্ডের একেকটির ওজন ছিল প্রায় ৬০ টন, আর দৈর্ঘ্য ছিল ৩০ থেকে ৪০ ফুটের মতো। এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল দূর দুরান্তের পাহাড় থেকে। পাথরের সঙ্গে পাথর জোড়া দিয়ে পিরামিড তৈরি করা হত। ৪ হাজারের বছরের পুরোনো এক সমাধিতে আঁকা চিত্রে দেখা যায়, বিশাল স্তম্ভকে স্লেজে করে সরানো হচ্ছে। অনেক মানুষ রশি দিয়ে সেই স্লেজ টেনে নিচ্ছে। আর তাদের মধ্যে একজন পাত্র থেকে পানি ঢালছে বালির উপরে। এতে ঘর্ষণ প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। এভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আড়াই টন ওজনের একেকটি ব্লক।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া একমাত্র আট পার্শ্বযুক্ত পিরামিড এটি। গিজার গ্রেট পিরামিডের চার পার্শ্ব সামান্য অবতল। যে কারণে এই পিরামিডের কেন্দ্রটি অসাধারণ একটি কৌণিক অবস্থান সৃষ্টি করেছে। যা বিশ্বের একমাত্র আট পার্শ্বযুক্ত পিরামিডের জন্ম দিয়েছে। যদিও এই অসাধারণ নির্মাণকৌশল ভূমি থেকে বা দূর থেকে দেখলেও বোঝা যায় না। শুধু বছরের বিশেষ একটি সময়ে উপর থেকে দেখলে টের পাওয়া যায়। শরৎ ও বসন্তকালে ভোরে এবং সূর্যাস্তের আলোয় দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যকলার দৃশ্যের দেখা মেলে।
সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, গবেষকরা ৫-৬ বছর আগে খুঁজে পেয়েছে গিজার দ্য গ্রেট পিরামিডের মধ্যকার তাপমাত্রার তারতম্য থাকার কারণ। থার্মাল ক্যামেরা দিয়ে গুপ্ত কুঠুরি খুঁজতে গিয়ে গিজার পিরামিডের কয়েকটি স্থানের পাথরে তাপের তারতম্য পর্যবেক্ষণ করেছেন স্থপতি আর বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Manila 5D/4N
মালয়শিয়া-সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া ৯দিন ৮ রাত
Cairo, Alexandria & Sharm El Sheikh 6D/5N
গবেষণায় দেখা গেছে, গিজার গ্রেট পিরামিডের ভেতর উষ্ণ এবং অপেক্ষাকৃত শীতল দুটি স্থান রয়েছে। যেখানকার তাপমাত্রা বলেতে গেলে সবসময় প্রায় একইরকম থাকে। গবেষকরা ধারণা করেন, হাজার বছর ধরেই এই তাপমাত্রা ধরে রেখেছে পিরামিডটি।
পিরামিডের ভেতর লুকোনো কোনো স্থাপনা আছে কি-না, তা পরীক্ষা করতেই বিজ্ঞানীরা আধুনিক ইনফ্রারেড এবং থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করছিলেন। ইনফ্রারেড থার্মোগ্রাফি পরীক্ষায় পিরামিডের ভেতরে বেশকিছু অসামঞ্জস্য ধরা পড়ে। পরীক্ষার পর দেখা যায়, পিরামিডের মধ্যকার তাপমাত্রা উঠানামা করে না, বলতে গেলে সবসময় একই রকম থাকে। অদ্ভুতভাবে পিরামিডের অন্যপাশে এই পরিবেশ দেখা যায় না। যদিও কি কারণে বা কীভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের এমন পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলো প্রাচীন মিশরীয়রা তা এখনো রহস্যই রয়ে গেছে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৩২৩ বার পড়া হয়েছে




