আমরা যখন এবিএস ছাড়া বাইক ব্যবহার করে থাকি তখন অনেকেই আছেন যারা ব্রেক হাল্কাভাবে ধরে ছেড়ে দেন আবার অনেকেই আছেন যারা পুশ ব্রেক করেন। অর্থাৎ ব্রেক লিভার হাল্কা করে বার বার চেপে বাইক নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু আপনি যদি কোন এবিএস বাইক ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনি আপনার প্রয়োজন মতোন বাইকে হার্ড ব্রেক করতে পারেন।

আপনি যদি এবিএস বাইকে হার্ড ব্রেক করেন তাহলে এবিএস আপনার বাইকের চাকা হুট করে লক করে না। এর ফলে আপনার বাইক স্লিপ করবে না। এবিএস ব্রেকিং যেহেতু সেন্সরযুক্ত তাই আপনি যদি এবিএস বাইক চলন্ত অবস্থায় বার বার পুশ করেন লিভারে তাহলে ব্রেকিং এ সমস্যা হতে পারে। এবিএস থেকে ভালো সাপোর্ট পেতে বাইকের ব্রেক লিভার চেপে ধরুন, বাকি কাজ এবিএস করে নিবে। আপনার বার বার ব্রেক লিভার ছাড়া এবং ধরার দরকার নেই। আপনি যদি নতুন এবিএস ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে ব্রেক লিভার চেপে ধরার পর অনেক সময় আপনার মনে হতে পারে ব্রেক লিভার সফট অথবা হার্ড হয়ে যাচ্ছে, আর সে সময় অনেকেই ব্রেক লিভার ছেড়ে দেন আর এই সময় আপনার এবিএস ব্রেকিং এ সমস্যা হয়। যদি আপনার সাথে এমনটা হয়ে থাকে ব্রেক করার পর ব্রেক লিভাব ছাড়ার দরকার নেই।

বাইকের ABS মূলত তিনটি অংশ দিয়ে তৈরি। প্রথমটা হল স্পিড সেন্সর, দ্বিতীয়টা হল ভাল্ভ, এরপর হল পাম্প। বাইকে যখন ব্রেক প্রয়োগ করা হয়, তখন স্পিড সেন্সর চাকার গতির হিসেব করে। যখন এটি দেখে চাকার গতি অস্বাভাবিকভাবে কমে যাচ্ছে এবং লক হয়ে যাওয়ার মত অবস্থায় যাচ্ছে, তখন এটি ভালভ আংশিকভাবে বন্ধ করে দেয়, যাতে কিনা ব্রেক ফ্লুয়িড অল্প পরিমাণে প্রধান ব্রেক সিলিন্ডারে প্রবেশ করে, অতিরিক্ত ব্রেক বল নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রেক ফোর্স কমে আসলে ভালভ আবার খুলে যায়, আবার বেড়ে গেলে ভালভ আংশিক বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে হাইড্রোলিক ব্রেকবল এবং চাকার ঘূর্ণনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চাকা লক হয়ে যাওয়া, স্কিড করা নিয়ন্ত্রণ করে ABS।

অনেক সময় রাস্তা খারাপ হলে অথবা চাকার নিচে ইট ছোট পাথর এই ধরনের জিনিস পরলে এবিএস বাইকের চাকা পুরোপুরি লক হওয়া থেকে রক্ষা করে। আর আমরা যেহেতু নন এবিএস ব্রেকিং এ অভ্যস্থ তাই সেই সময় আমাদের অনেকের মনে হয় এবিএস মিস করলো। আপনার সাথে যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে বাইকের ব্রেক লিভার সম্পূর্ণ ছেড়ে দিন এবং পুনরায় নতুনভাবে চেপে ধরুন। আপনার বাইক যদি অনেক গতিতে থাকে আর বাইকে যদি সিংগেল চ্যানেল এবিএস থাকে তাহলে বাইকের পেছনের ব্রেক হালকাভাবে ধরে আপনি এবিএস ব্রেক ধরতে পারেন এতে আপনি বেশ ভালো সাপোর্ট পাবেন।

আর বাইকে যদি ডুয়েল চ্যানেল এবিএস থাকে তাহলে তাহলে আপনি আপনার সুবিধামতো ব্রেক ধরতে পারেন। প্রতিটা জিনিসের সুবিধা এবং অসুবিধা থাকে ঠিক তেমনি এবিএস ব্রেকিং এর কিছু অসুবিধা রয়েছে। তবে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করলে আমাদের দেশের বাইকগুলোতে এবিএস থাকা প্রয়োজন। সব সময় নিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক রাইড করুন।

Source: bikebd

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৪১৫ বার পড়া হয়েছে