বাড়ির সবচেয়ে ছোট্ট সদস্যটি সবারই বড় আদরের। তাই তার ঘরটাও হতে হবে তারই মনের মতো। আজকে আমরা যাঁরা বড়, তাঁদের ছেলেবেলায় অবশ্য আলাদা ঘরের ব্যাপারটাই ছিল না। ভাইবোনেরা গাদাগাদি করে একটা ঘরেই থাকতে হতো সবাইকে। নয়তো দাদা-দাদি অথবা চাচা-ফুফুদের সঙ্গেই একটা ঘর ভাগ করে নিতে হতো। পড়ার টেবিল, আলমারি, খাট সবেতেই থাকত ভাগ করে নেওয়ার ব্যাপার। পড়াশোনা, নাচ-গান, খেলাধুলা সবকিছুর জন্যই বরাদ্দ ছিল ওই একই ঘর। তবে এখন সময় অনেকটাই বদলে গেছে। আর সেইসঙ্গে পাল্টে গেছে চিন্তাভাবনাও। আর তা জানতেই হাউস বিউটিফুল ডটকমের কাছ থেকে বরং নেওয়া যাক কিছু পরামর্শ।

শিশুরা ছোট হলেও পরিপূর্ণ মানুষ। তাদেরও রয়েছে ভালো লাগা, মন্দ লাগা। তাই তাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখেই সাজিয়ে দেওয়া হয় তাদের নিজস্ব পৃথিবী। তবে শিশুদের ঘরের অন্দরসজ্জার পরিকল্পনা করাটা কিন্তু সহজ কথা নয়। রঙের সামঞ্জস্য থেকে শুরু করে ওদের জিনিসপত্র রাখার জায়গা সবকিছু নিয়েই ভাবতে হয় খুব। বেশি আসবাব শিশুর ঘরে দিলে নষ্ট হয় ওদের খেলার পরিবেশ। অন্যদিকে আবার দরকারি প্রতিটি জিনিস হাতের কাছে রাখতেও হবে ঠিকঠাক। এখানেই তো অন্দরসজ্জার মুনশিয়ানা। প্রথমেই আসে রঙের প্রসঙ্গ। শিশুর ঘরের জন্য উজ্জ্বল রংই আদর্শ। কমলা, হলুদ, গোলাপি কিংবা গাঢ় নীল রং বেশ মানানসই। বিছানার চাদর, বালিশের কভার, পর্দাতেও ব্যবহার করতে পারেন উজ্জ্বল রং।

দেয়ালে আঁকতে পারেন সিন্ডেরেলা, টম অ্যান্ড জেরি কিংবা ওর পছন্দের কোনো কার্টুন চরিত্রের ছবি। অপর পাশের দেয়ালে সাজিয়ে দিতে পারেন শিশুর নানা সময়ের কিছু ছবি। জায়গা ছোট হলে খাটের নিচে করতে পারেন স্টোরেজের ব্যবস্থা। আলাদা আলমারি না রেখে দেয়ালে বানিয়ে ফেলুন ক্যাবিনেট। ক্যাবিনেটের ভেতর জামাকাপড়, খেলনা, বইখাতার জন্য রাখতে পারেন আলাদা আলাদা জায়গা। ঘর বড় থাকলে আলাদা একটা তাক রাখতে পারেন, তাতে থাকবে টেডি বিয়ার, কুকুর, সিংহ কিংবা ওদের মনের মতো পশু-পাখিদের সারি। তবে একটি কথা, শিশুর ঘরে টেলিভিশন না রাখাই ভালো। যদি খানিকটা জায়গা থাকে, তবে সাজিয়ে দিতে পারেন একটি ছোট্ট লাইব্রেরি। তাহলে আর কী, পরিকল্পনার পালা শেষ। এবার লেখা থেকে বরং বাস্তবিক অর্থেই তৈরি করে ফেলুন আপনার শিশুর মনের মতো ঘরটি।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Moscow & St.Petersburg 5D/4N

মূল্য: 114,000 Taka

তুরস্ক ভিসা (চাকুরীজীবী)

মূল্য: ১৫,০০০ টাকা

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৩১৯ বার পড়া হয়েছে