আলোচিত মেগা উন্নয়ন প্রকল্প এবং দেশের প্রথম কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের কাজ ৬৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ হয়ে নদীর ওপারে আনোয়ারা পর্যন্ত একটি টিউব পরিপূর্ণভাবে স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় টিউব স্থাপনের কাজও চলতে দ্রুত গতিতে।
অপরদিকে, স্থাপন সম্পন্ন হওয়া টিউবের ভিতর দিয়ে এখন চলছে পিচঢালা সড়ক নির্মাণের কাজ। এই টানেলের দুটি টিউবে নির্মিত হবে ৪ লেনের সড়ক। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু টানেলের ভিতর দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী রাইজিংবিডিকে জানান, চীনের সুদক্ষ প্রকৌশলীদের তত্ত্ববধানে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজ। গত বছরের নভেম্বর মাসেই টানেলের পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত প্রথম টিউব স্থাপন কাজ সম্পন্ন হয়। একই বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই আনোয়ারা প্রান্ত থেকে পতেঙ্গামুখী দ্বিতীয় টিউব স্থাপনের জন্য নদীর তলদেশে টিবিএম মেশিনের মাধ্যমে বোরিং কার্যক্রম চলছে।
অপরদিকে, স্থাপিত হওয়া প্রথম টিউবের ভিতর দিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পিচঢালা সড়ক নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রকল্পের প্রায় ৬৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কাজের গতি কিছুটা শ্লথ থাকলেও বর্তমানে কাজে বাড়তি জনবল এবং অত্যাধুনিক নানা যন্ত্রপাতি, মেশিনারিজ সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে কাজের গতি বেড়েছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কর্ণফুলী টানেলের ভিতর দিয়ে গাড়ি চলাচলের লক্ষ্য নিয়ে কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, টানেলকে ঘিরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
বাংকক-পাতাইয়া-কোরাল আইল্যান্ড-ফুকেট-সাফারি ওয়ার্ল্ড ৬দিন ৫ রাত
Kathmandu-Pokhara 5D/4N
১৬ আনি মুন্সীগঞ্জ প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘের মূল টানেলের সঙ্গে পতেঙ্গা এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হচ্ছে। সংযোগ সড়ক এবং টানেলের ভিতরের সড়ক হবে সর্বমোট ৪ লেনের। এর মধ্যে ওয়ানওয়ে একটি টানেলে সড়ক থাকবে দুই লেনের।
একটি টিউবের সড়ক দিয়ে আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গা অভিমুখী এবং অপর টিউব দিয়ে পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা অভিমুখী যানবাহন চলাচল করবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রতিটি টিউব চওড়া ১০ দশমিক ৮ মিটার বা ৩৫ ফুট এবং উচ্চতা ৪ দশমিক ৮ মিটার বা প্রায় ১৬ ফুট। একটি টিউব থেকে অপর টিউবের পাশাপাশি দুরত্ব প্রায় ১২ মিটার। টানেলের প্রস্ত ৭০০ মিটার। এবং দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৪০০ মিটার।
বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। বাকি ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিচ্ছে চীন সরকার। চীনের কমিউনিকেশন এবং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) টানেল নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টানেল নির্মাণের কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
Online Shopping BD (Facebook Live)৩০৬ বার পড়া হয়েছে




