গুরুদাসপুরে অবাধে চলছে পুকুর খনন। ফলে গত এক দশকে উপজেলায় ১ হাজার হেক্টর ফসলি জমি কমেছে। শুধু উপজেলার হাঁড়িয়ার বিলেই চোখে পড়ে নতুন-পুরোনো মিলে শতাধিক পুকুর। স্থানীরা জানায়, এক দশক আগেও এই বিলের জমিগুলো তিন ফসলি ছিল। তবে এখন আর ধান উত্পন্ন হচ্ছে না। কারণ বিল জুড়ে চলছে পুকুর খননের মহাযজ্ঞ। শুধু হাঁড়িভাঙ্গা বিলেই নয়, পৌর সদর, চাপিলার কয়েকটি বিল, চাকলের বিল, ধারাবারিষার বিল, হাঁসমারি, মশিন্দা বিলসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় সব বিলেই অবাদে চলছে পুকুর খনন।

গুরুদাসপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পুকুর খননের কারণে উপজেলা জুড়ে কমেছে প্রায় ১ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। তথ্যমতে, ২০১১ সালেও গুরুদাসপুর উপজেলা জুড়ে ফসলি জমির পরিমাণ ছিল ১৬ হাচার ৬০৯ হেক্টর। ঐ সালেই কমেছে ৭০ হেক্টর, ২০১২ সালে ৮০ হেক্টর, ২০১৩ সালে ৯৫ হেক্টর, ২০১৪ সালে ১০৫ হেক্টর, ২০১৫ সালে ১২০ হেক্টর, ২০১৬ সালে ১৩০ হেক্টর, ২০১৭ সালে ১১৫ হেক্টর এবং ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ হেক্টর ফসলি জমি কমেছে।

হাঁড়িভাঙ্গা বিলের প্রান্তিক চাষি আবুল মিয়া, চাকলের বিলের কৃষক আখের আলীসহ অনন্ত ২০ জন কৃষক অভিযোগ করেন, পুকুরের পাড়গুলো উঁচু হওয়ায় অনেক কৃষি জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে তারা আর চাষাবাদ করতে পারছেন না। চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন ভুট্ট বলেন, তার এই ইউনিয়নে প্রায় ৫ হাজার পুকুর খনন করা হয়েছে। এখন আবার নতুন করে পুকুর খনন শুরু হয়েছে।

এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. হারুন-অর রশিদ বলছেন, এভাবে নির্বিচারে ফসলি জমি বিনিষ্ট করে পুকুর খনন করায় মারাত্মক ফসলহানি হচ্ছে। তিনি বলেন, ৩১২ একর আয়তনের হাঁড়িভাঙ্গা বিলটিতে বোরো ৫২০ মেট্রিক টন, রোপা আমন ১১২ মেট্রিক টন ও বোনা আমন ১৭৫ মেট্রিক টনসহ মোট ৮০৭ মেট্রিক আবাদ হয়। বর্ষাকালে বিলটি তলিয়ে গেলেও সেখানে বোনা আমন ও উঁচুতে রোপা আমনের আবাদ হয় বছর জুড়েই। অথচ নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নির্বিচারে পুকুর খনন করায় উপজেলা জুড়ে আশঙ্কাজনক হারে কমছে ফসলি জমি।

ফিচার বিজ্ঞাপন

USA Visa (for Businessman)

মূল্য: 5,000 Taka

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসন অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Source: Ittefaq

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

Online Shopping BD (Facebook Live)



১৯৬ বার পড়া হয়েছে