করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় চলমান লকডাউনের সময় বাড়ানো হতে পারে। কঠোর কিংবা ঢিলেঢালা লকডাউন ঈদের ছুটি পর্যন্ত চলতে পারে। বর্তমানের কঠোর বিধিনিষেধে একটু ছাড় দিয়ে কিভাবে লকডাউন অব্যাহত রাখা যায় সেই চিন্তাভাবনা চলছে সরকার মহলে।

গত এক সপ্তাহের লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আগামী সোমবার (১৯ এপ্রিল) উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই লকডাউনের সময় বােড়ানোর সুপারিশ চূড়ান্ত হবে। তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর পর অনুমোদিত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা আসবে।

করোনার সংক্রমণ রোধে গত ২৯ মার্চ ১৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল অফিস-আদালত খোলা রেখে সীমিত মাত্রায় লকডাউন ঘোষণা হয়। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্বক লকডাউনের কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত গত ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সে ঘোষণা আসেনি। ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধি নিষেধের ঘোষণা আসে। এ ঘোষণায় কল-কারখানা ও সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংক খোলা রাখার সুযোগ রাখা হয়। এই অবস্থার লকডাউন চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। চলমান লকডাউনে প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে যেতে পুলিশের কাছ থেকে নাগরিকদের নিতে হচ্ছে ‘মুভমেন্ট পাস’। এসব বিধিনিষেধ পালনে কিছু সুফল মিলতে শুরু করেছে। তাই সব কিছু বিবেচনায় চলমান লকডাউনকে অন্তত আরো এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৮-২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়তে পারে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে লকডাউন নিয়ে হওয়া গত সপ্তাহের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ১৪ দিনের কথা আলোচিত হয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এক সপ্তাহ করে লকডাউন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তাই ২১ এপ্রিলের পর বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতি আরো এক সপ্তাহ বাড়ছে এটা মোটামুটি নিশ্চিত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সরকারকে অন্তত ২১ দিনের লকডাউন দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষের জীবন-জীবিকাসহ সবদিক চিন্তা করে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Siem Reap Cambodia 4D/3N

মূল্য: 26,900 Taka

USA Visa (Private Job Holder)

মূল্য: 5,000 Taka

প্রশাসনিক, কারিগরি বিশেষজ্ঞ কমিটিসহ একাধিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের করোনার সংক্রমণ শক্তি ভয়ঙ্কর। তাই দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে লম্বা সময়ের জন্য দূরপাল্লার বাস, বিনোদন কেন্দ্র, সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। এমন অবস্থায় বর্তমান লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চললে এরপর ঈদকে সামনে রেখে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে সরকার। তখন বিশেষ কিছু বিষয়ে ছাড় দেওয়া হতে পারে। তবে শিথিলভাবে চলতে পারে লকডাউন ঈদের ছুটি পর্যন্ত। এ সময় দূরপাল্লার বাস চালুর অনুমতি মিলার সম্ভাবনা কম। বন্ধ থাকবে সব বিনোদন কেন্দ্রও।

Source: BhorerKagoj

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৩০১ বার পড়া হয়েছে