আমার মা-বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেন। ছেলেটি পারিবারিক সূত্রে আমাদের আত্মীয়। আমাদের এরই মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক হয়ে যায়। আমরা দুজন দুজনকে অনেক ভালোবেসে ফেলি। আমাদের দুজনেরই এটা প্রথম ভালোবাসা। কিন্তু তার কিছু সমস্যা আছে। সম্পর্কের শুরুতে আমার হাত ধরবে কি না, এটাও তার মায়ের কাছে জিজ্ঞেস করে নিয়েছিল। আমি কখনোই তাকে বলিনি যে এসব আমার একটু খারাপ লাগে। আমাদের প্রাইভেসি বলতে কিছু ছিল না। এখন অনেকটা সমাধান হয়েছে কিন্তু এখন সে ভাবছে, সে আমাকে সত্যিই ভালোবাসে কি না? আমাকে বিয়ে করাই কি বিধির বিধান? ও খুব সত্যবাদী। আমি মজা করে কোনো মিথ্যে বললেও ও রাগ করে। আমি মজার কিছু ভিডিও শেয়ার করলে ও বলে, এখানে মিথ্যে শেখানো হয়েছে। ছোটবেলায় ও মানসিকভাবে একটু অসুস্থ ছিল। কিন্তু সেটা আমার মা-বাবা জানেন না। ও আমাকে নিজেই ওর সমস্যার কথা বলেছিল। সব জানার পরও আমি ওকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যাই। কিন্তু ছয় মাস যাওয়ার পর ওর আচরণ আমার স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। আমি ওকেই বিয়ে করতে চাই। কিন্তু ওর এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারছি না। আমি কী করব, ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। আমার কী করা উচিত? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

উত্তর: তোমাকে অনেক ধন্যবাদ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করার জন্য। ছেলেটির শিশুসুলভ আচরণ ও সততা তোমাকে যে মুগ্ধ করেছে, তা বুঝতে পারছি। আমরা জীবনসঙ্গী হিসেবে একজন সৎ ও সত্যবাদী মানুষকেই চাইব, তা স্বাভাবিক।

দুজনের জীবনে যেহেতু আগে কোনো ভালোবাসার মানুষ সেভাবে ছিল না, তাই তোমরা নিঃসংকোচে বেশ দ্রুতই পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে সম্পর্কটি গড়ে তুলেছ। সেই সঙ্গে পরিবারের সম্মতিও তোমাদের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। ছেলেটি যে ভালো মনের মানুষ, তাতেও কোনো সন্দেহ নেই। যে বিষয়গুলো আমাকে কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে তা হচ্ছে, সে মানসিকভাবে আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেড়ে ওঠেনি। নিজের সিদ্ধান্তগুলো স্বাগত জানিয়ে সেই অনুযায়ী পথচলার সাহস সে অর্জন করতে মনে হয় যথেষ্ট সক্ষম হয়নি। হয়তো-বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস এবং সামাজিক দক্ষতা তৈরি করতে অভিভাবকেরা তেমনভাবে তাকে শৈশব থেকে সহায়তা করতে পারেননি।

সত্যাভাষ—একে সব সমাজেই খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। তবে ক্ষেত্রবিশেষে নাটকে বা সিনেমায় মানুষকে বিনোদন দেওয়ার জন্য কিছু কিছু ঘটনা দেখানো হয়, যা সত্য নয়। আমরা আমাদের স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি দিয়ে সেগুলো বুঝেই তা থেকে মজা নিতে পারি, যদি নিজেদের চিন্তাকে বিস্তৃত করার ক্ষমতা আমরা অর্জন করতে পারি।

ফিচার বিজ্ঞাপন

মায়ানমার ভিসা (ভিজিট ভিসা)

মূল্য: ৫,০০০ টাকা

বালি ৫দিন ৪ রাত

মূল্য: ২৪,০০০ টাকা

Kolkata – Gangtok (Sikkim) 5D/4N

মূল্য: ২২,৯০০ টাকা

এই ছেলেটির মধ্যে সাদা-কালোর বিচারের বিষয়টি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত বলে ওর সঙ্গে হালকা বিষয় নিয়ে গল্প করা এবং সেখান থেকে নির্মল আনন্দ নেওয়ার জায়গাটি খুব সংকীর্ণ মনে হচ্ছে। বেশির ভাগ বিষয় সে সিরিয়াসভাবে দেখে বলে তুমি হয়তো মাঝেমধ্যে ধাক্কা খাচ্ছ। মনের এই দোদুল্যমান পরিস্থিতি থাকার কারণে ছেলেটি এখন বুঝতে সক্ষম হচ্ছে না সে তোমাকে সত্যি সত্যি ভালোবাসে কি না। ওর যদি এখনো এতটা মানসিক পরিপক্বতার অভাব থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে ওর সন্তানেরাও কিন্তু তাদের বাবাকে একজন দক্ষ পথপ্রদর্শক হিসেবে অনুসরণ করতে ব্যর্থ হতে পারে। জীবনে পথচলার জন্য আত্মবিকাশ ও আত্মসম্মানবোধ খুব প্রয়োজনীয় দুটি দক্ষতা। তাই ও ভবিষ্যতের আচরণগুলো কোন খাতে বইবে, তা নিয়ে কিছুটা হলেও শঙ্কা রয়েছে।

শৈশবে বা কৈশোরে কারও মানসিক সমস্যা হয়ে থাকলে পরবর্তী জীবনে কোনো চাপমূলক ঘটনা ঘটলে সেই অসুস্থতাটি ফিরে আসতে পারে। তাই আমি সুপারিশ করব, আগে একটু সময় নিতে। ওকে নিয়ে কোনো প্রশিক্ষিত মানসিক স্বাস্থ্য কাউন্সেলরের সেবা নিতে পারো, তাহলে ভালো হয়। বিয়ে কিন্তু জীবনের একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা করে। তাই সেই নতুন জীবনটি শুরুর আগে ছেলেটির মানসিক অবস্থার একটি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ প্রয়োজন রয়েছে। ছোটবেলায় ও যখন অসুস্থ হয়েছিল, তখন কোনো চিকিৎসা হয়েছিল কি না, সেগুলো জানতে পারলে খুব ভালো হয়।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনুন

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনু...



২১৬ বার পড়া হয়েছে