দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও ছয় লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন। কোভ্যাক্সের আওতায় ইতোমধ্যেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় প্রস্তুত করা এই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়ে জাপানের একটি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। ৩ আগস্ট দুপুরে এই ভ্যাকসিন দেশে এসে পৌঁছতে পারে।

সোমবার (২ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মো. শামসুল হক।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কোভ্যাক্সের আওতায় ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজের তৃতীয় চালান নিয়ে জাপান থেকে অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট ঢাকার পথে রওনা দিয়েছে। জাপানের স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৯টায় ফ্লাইটটি নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়েছে।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ভ্যাকসিন পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশে কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান থেকে ২৪ জুলাই ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন ঢাকায় আসে। পরবর্তীতে ৩১ জুলাই বিকেলে ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে আসে। জাপান থেকে কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন আসার পরে ২ আগস্ট থেকে রাজধানীতে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করা হয়েছে। ৭ আগস্ট থেকে সারাদেশে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Toyota Allion 2014 G Package

মূল্য: ২৩,৫০,০০০ টাকা

Maldives (Hulhumale & Fun Island) 3D/2N

মূল্য: ২৮,৯০০ টাকা

Kandy- Nuwara Eliya- Galle & Colombo 6D/5N

মূল্য: 36,900 Taka

এর আগে, দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরকার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনে। মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে সেই ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা ছিল। জানুয়ারিতে সেই ভ্যাকসিনের প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ এলেও ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় চালানে আসে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন। এর বাইরে ভারত সরকার দুই দফায় ৩২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশকে।

ওই এক কোটি দুই লাখ ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি। কিন্তু ভারতে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হলে দ্বিতীয় চালানের ২০ লাখ ডোজের পর সিরাম আর কোনো ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে দেয়নি। ফলে এক পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচিতেও ছেদ পড়ে।

এর পর সিনোফার্ম, মডার্না ও ফাইজার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি ফের শুরু করা গেলেও এক ডোজ কোভিশিল্ড নেওয়া অনেকেই এখনো ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় আছেন। তাদের ভ্যাকসিন দিতেই নানামুখী তৎপরতা শুরু করে বাংলাদেশ সরকার।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২৩৭ বার পড়া হয়েছে