রাস্তা কাটার আগে ঠিকাদারকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল সচল রেখে কাজটি করতে হবে। নির্মাণসামগ্রী মজুত ও সংরক্ষণে পরিবেশসম্মত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু রাস্তা খোঁড়ার পর এসব নির্দেশনার কোনোটিই মানা হয়নি।

রাস্তা সচল রাখা তো দূরের কথা, সেখানে মাটি ও নির্মাণসামগ্রী স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এখন পায়ে হেঁটে চলাই দায় হয়ে গেছে। এখন এই পথ হয়ে চলাচলকারীদের কেউ না কেউ প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

জলাবদ্ধতা নিরসনে পুরান ঢাকার আগা সাদেক সড়কেপাইপ নর্দমার কাজ শুরুর পর এমন ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসীরা বলছেন, রাস্তা কেটে অনেকটা ‘খাল ও উন্মুক্ত নর্দমা’ বানিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। তিন মাস ধরে তাঁরা অবরুদ্ধ হয়েছে আছেন।

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নানা সীমাবদ্ধতার কারণে কাজ করতে গিয়ে ভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করলেও এই কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেছেন, কাজ ফেলে রাখা হয়নি। প্রতি রাতেই সেখান থেকে মাটি সরানো হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, আগা সাদেক রোডে পাইপ বসাতে রাস্তার মাঝ বরাবর কেটে কিছু অংশ ফেলে রাখা হয়েছে। সেখানে পানি জমে আছে। রাস্তা খুঁড়ে তোলা মাটি এর পাশেই স্তূপ করে রাখা। রাস্তা পাশে স্তূপ করে রাখা ময়লাও দিনের পর দিন সেখানে থেকে সরানো যাচ্ছে না। চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নির্মাণসামগ্রীও যত্রতত্র ফেলে রাখা। এতে স্বাভাবিকভাবে পায়ে হেঁটেও চলাচল করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে আগা সাদেক সড়কের কিছু অংশে পাইপ বসানোর কাজ শেষ হলেও ওই অংশ আর সচল হয়নি।

আগা সাদেক রোডের পাশেই আবুল হাসনাত রোড। এই সড়কেও একই কাজ হচ্ছে। ভোগান্তির চিত্রও একই। এই দুটি রোড বাদে দক্ষিণ সিটির অন্তত ২২টি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে রাস্তা খুঁড়ে কাজ চলছে। বর্ষা মৌসুমে এই কাজ শুরু হওয়ায় এসব এলাকার বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছেন।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Water Lodge

মূল্য: ১২,৫০০ টাকা / রাত

ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০৩ কোটি টাকা খরচ করে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২২টি এলাকায় পাইপ নর্দমা বসানোর কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আগা সাদেক সড়কটি ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, জিত ইন্টারন্যাশনাল ও মাহির আসিফ এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এই কাজটি করছে। কাজের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। চলতি বছরের ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে। শেষ করার কথা চলতি বছরের ২২ নভেম্বরের মধ্যে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিত ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আজাদ নাসির বলেন, রাস্তা এত সরু মাটি কাটলে অন্য কোথাও সরানো যায় না। মাটি কেটে সেখানেই রাখতে হয়। পাইপ বসানোর পর মাটি সরাতে হচ্ছে। এভাবে কাজটি তারা করছেন।

তবে এই কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা দক্ষিণ সিটির অঞ্চল-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ দাবি করেন, প্রতি রাতেই আগা সাদেক সড়ক থেকে আট-দশ গাড়ি করে মাটি সরানো হচ্ছে। কাজ ফেলে রাখা হয়নি। তিন–চার দিনের মধ্যে পাইপলাইনের কাজ শেষ হবে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনুন

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনু...



২৫৬ বার পড়া হয়েছে