বাংলাদেশে প্রতিবছর কতজন মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে যুক্তরাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর প্রতি লাখে ৩০০ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে প্রতি লাখে মারা যান নয়জন।
মাথায় আঘাতের প্রধান কারণ হলো সড়ক দুর্ঘটনা। এ ছাড়া উঁচু কোনো স্থান থেকে পড়ে যাওয়া, খেলাধুলা, কাজ করতে গিয়ে আঘাত ইত্যাদি কারণেও মানুষ মস্তিষ্কে আঘাত পান।ট্রাফিক আইন মেনে না চলা, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, হেলমেট না পরে মোটরসাইকেল চালানো সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। নিয়মকানুন মেনে চললে মাথায় আঘাতের হার অনেকটাই কমানো সম্ভব।
মাথায় আঘাত পেলে খুলির ভেতর থাকা মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মস্তিষ্কের আঘাত দুই ধরনের—ফোকাল ও ডিফিউজ। মস্তিষ্কের ক্ষতি প্রাইমারি বা সেকেন্ডারি হয়ে থাকে। সরাসরি মাথায় আঘাতের জন্য যে ক্ষতি হয়, তা হলো প্রাইমারি ইনজুরি। মাথায় আঘাতের পর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে পরবর্তী সময়ে মস্তিষ্ক ঝুলে নেমে আসে (হার্নিয়েশন) বা পানি জমে ফুলে যায় (ইডিমা)। এটাকে তখন সেকেন্ডারি ইনজুরি বলে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
ব্যাংকক-ফুকেট-ফিফি আইল্যান্ড-সাফারি ওয়ার্ল্ড ৬দিন ৫ রাত
US Visa for Retired Person
মালাওয়শিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ৭দিন ৬রাত
তীব্রতা অনুসারে মস্তিষ্কে আঘাত সামান্য, মাঝারি ও মারাত্মক হতে পারে। আঘাতে মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ অংশ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে তাকে ‘ডিফিউজ এক্সোনাল ইনজুরি’ বলে। মাথায় আঘাত পেলে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। এমনকি বাইরে থেকে রোগীকে দেখতে স্বাভাবিক মনে হলেও তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিন। রোগীর আঘাতের সম্পূর্ণ ইতিহাস জেনে, শারীরিক পরীক্ষা করে চিকিৎসক আঘাত ও ক্ষতির মাত্রা নির্ণয়ের জন্য মস্তিষ্কের সিটি স্ক্যান করতে পারেন। ঘাড়ের আঘাত দেখার জন্য সারভাইক্যাল স্পাইনের এক্স–রে করতে হবে। মাথায় আঘাতের পর রোগীর অচেতন হয়ে পড়া, বমি হওয়া, নাক দিয়ে রক্ত বা তরল আসা, কান দিয়ে রক্ত বা তরল আসা ইত্যাদি গুরুতর আঘাতের লক্ষণ। নিকটস্থ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নিউরোসার্জারি বিভাগে সুচিকিৎসার জন্য পাঠাতে হবে। মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে বেশি রক্তক্ষরণ হলে অস্ত্রোপচার করতে হবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১৬৬ বার পড়া হয়েছে