গ্রীষ্মের দাবদাহে এবার একটা এসি না হলে আর হচ্ছে না। কিন্তু করোনার চোটপাটে বাইরে গিয়ে শপিং করার জো নেই, সুতরাং অনলাইনেই ঢুঁ মারা যাক। অফারও তো থাকে এটা ওটা। আর অর্ডার করবেন যখন ঠিকই করেছেন, তখন কনফার্ম বাটনে চাপ দেওয়ার আগে চেক করে নিন টুকটাক বিষয়গুলো-

মডেল নাম্বার ও বর্ণনার মিল
অনলাইনে এসির ছবির নিচে সমস্ত ডেসক্রিপশন তথা বর্ণনা লেখা থাকে। আর সবার আগে দেওয়া থাকে ওই এসির মডেল নম্বর। গুগলে সার্চ করে সেই মডেল নম্বরের সঙ্গে বর্ণনাটা মিলিয়ে নিন। এমনও হতে পারে, যে মডেল নম্বরটি দেওয়া আছে, সেটার দাম হয়তো আরও কম। কিন্তু বর্ণনায় এমন কিছু লেখা আছে, যা আপনি বাস্তবে ওই দামে পাবেন না। তখনই শুরু হয় দ্বন্দ্বের।

অফারে তাল হারাবেন না
বেশিরভাগ অনলাইনেই দেখবেন দুটো দাম লেখা। একটা লাল দাগ দিয়ে কেটে দেওয়া, তার নিচে দেওয়া ‘অফার মূল্য।’ এটি নির্ভেজাল বাজারজাতকরণ কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই অনলাইনে অর্ডার করার আগে শোরুমে ফোন করে আসল দামটা জেনে নিন। অনেক সময় মূল পণ্যের সঙ্গে আনুষাঙ্গিক সেবাগুলো বাদ দিয়ে অফার মূল্য দেওয়া হয়। সেটাও খেয়াল রাখবেন।

ওয়ারেন্টি
সাধারণত এয়ার কন্ডিশনারে তিন ধরনের ওয়ারেন্টি থাকে। মূল বডিতে থাকে এক বছরের, কনডেনসারের জন্য এক বছর ও কমপ্রেসরে তিন-ছয় বছরের। তবে অনেক অনলাইন আবার শুধু কমপ্রেসরেই ওয়ারেন্টি দেয়। অনলাইন শপ এগুলো ঠিকঠাক দিচ্ছে কিনা সেটাও জেনে নিন।

ডেলিভারি ও ইন্সটলেশন চার্জ
অফার মূল্যে দেখা গেল বাজারের চেয়ে কম। কিন্তু পরে দেখা গেল ডেলিভারি আর ইন্সটলেশন চার্জেই পকেটটা ঘেমে গেল। তখন আর বাড়তি না দিয়ে উপায় থাকবে না। এসি কেনার ক্ষেত্রে তাই ও দুটো চার্জও সম্পর্কেও জেনে নিন।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Hanoi, Halong, Halong Bay Cruise 5D/4N

মূল্য: 32,900 Taka

USA Visa (Lawyer)

মূল্য: 5,000 Taka

ইনস্টলেশনের জিনিসপত্র
ইনস্টলেশন না হয় ফ্রিতে পাওয়া গেল, কিন্তু সঙ্গে যেসব টুকটাক যন্ত্রপাতি লাগবে, সেগুলোর জন্য আবার টাকা দিতে হবে না তো? খেয়াল রাখবেন।

সার্ভিসিংয়ের খরচ
উইন্ডোর চেয়ে স্প্লিট এসির সার্ভিসিং খরচ সাধারণত একটু বেশি হয়। তাই যে মডেলটা পছন্দ করতে চলেছেন, বাজারে সেটার সেবাজনিত মূল্য কত কিংবা সার্ভিসিং সহজলভ্য কিনা সেটাও জেনে নিন।

ইনভার্টার নাকি ফিক্সড ফ্যান?
অনলাইনে সরাসরি প্রশ্ন করে অনেক কিছু বোঝার সুযোগ থাকে না। তাই এক ফাঁকে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন, পছন্দের মডেলটা ইনভার্টার নাকি ফিক্সড ফ্যান সিস্টেমে চলে। ইনভার্টার হলো, যে এসির ভেতর মোটরের গতি নিয়ন্ত্রণ করে তাপমাত্রা ঠিক করা হয়। আর ফিক্সড ফ্যানের ক্ষেত্রে বারবার কনডেনসার অফ/অন করে এ কাজটি করা হয়। এ কারণে ইনভার্টারের চেয়ে ফিক্সড ফ্যানে বিদ্যুৎ খরচটা একটু বেশি হয়।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২৮২ বার পড়া হয়েছে