ভ্রমণপাগলদের ঘুরে বেড়ানোর শখটাকে জগত-সংসারের অনেকেই বিবিধ নেতিবাচক ভাবনায় গলাটিপে ধরতে চায়। কিন্তু তারা হয়তো জানেন না, প্রজাপতির মতো ঘুরে বেড়াতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয় না। কিংবা নৈতিক চরিত্র অধঃপতনেরও তেমন সম্ভাবনা থাকে না।

অচেনা-অজানা দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল। তাই দীঘিনালার বাসিন্দা বা স্থানীয় গাইড়ের সহযোগিতা নিতে হবে। খাগড়াছড়ি নেমে প্রথমে হোটেলে সাফসুতর হয়ে, নাশতা সেরে উঠে পড়ুন দাদার আমলের চান্দের গাড়িতে।

প্রায় একঘণ্টা চলার পর মহাসড়ক ছেড়ে তাবাক্ষ গুহার দিকে। দুই পা-ই ভরসা। বাজার-সদাইয়ের গাট্রি-বোচকা নিয়ে ট্র্যাকিং শুরু। চলতে চলতে চোখে ধরা দেয় শরতের নীল আকাশে পেজা তোলা শুভ্র মেঘের ভেলা। কখনোবা কালো মেঘের ঘনঘটা। ঢেউ খেলানো পাহাড়। জুমের ফসল।দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ অরণ্য। উঁচু নিঁচু পাহাড়। নলখাগড়ার জঙ্গল। এসবই সামনে এগিয়ে যাবার প্রাণশক্তি।

সে এক রোমাঞ্চকর ব্যাপার-স্যাপার। সব মিলিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা হাইকিং-ট্র্যাকিং করতে করতে পৌঁছে যাবেন বড় মাইরুং ঝর্ণার উপরে। গড়িয়ে যাওয়া টলটলে পানির ঝাপটা চোখেমুখে দিতেই সব ক্লান্তি উবে যাবে। ৯০ ডিগ্রি খাড়া পাহাড়ের আনুমানিক ৫০-৬০ ফুট নিচে নেমে এলেই রয়েছে বড় মাইরুং নামক একটি ঝর্ণা।

এর শ্বেত-শুভ্র হিমহিম ঠাণ্ডা পানি মন কেড়ে নেয়। বয়ে চলা ঝিরির পরিবেশটা দেখতেও বেশ নৈসর্গিক। ঝর্ণার পানি রিমঝিম ছন্দ তুলে অবিরাম গড়িয়ে পড়ে। এর শীতল পানি চুম্বুকের মতো দেহটাকে টেনে নেয়। সবুজের গালিচায় মোড়ানো গহিন পাহাড়ের বুকচিরে জেগে থাকা বড় মাইরুং ঝর্ণার সৌন্দর্যও কম যায় না।

অল্প কিছুদূর মাইরুং তৈসা ঝিরিপথ ধরে এগোতেই গুহামুখের দেখা মিলবে। দেখেই কেমন যেন রহস্যময় লাগে। ভিতরে ঢুকলে না জানি কি হয়। তাবাক্ষর ভিতরটা ভয়ঙ্কর অদ্ভুত সৌন্দর্যে ঘেরা।

পাথরের পাহাড়ের মাঝে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট তাবাক্ষ গুহা। টর্চের আলোয় উপরের দিকে তাকালে মনের মাঝে ভয়ানক শিহরণের দোলা দেয়। তাবাক্ষর পাথুরে ছাদজুড়ে যেন রহস্য খেলা করে। গুহার কিছুকিছু জায়গা মাত্র ১৭/১৮ ইঞ্চি পাশ। গুহার আঁকাবাঁকা পথে যেতে যেতে একটা সময় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সুরু পথের মাঝে থাকা একখণ্ড পাথর। তাবাক্ষ গুহা প্রায় ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Paradise island, Maldives, 4D/3N

মূল্য: ৯১,৯০০ টাকা জনপ্রতি

Cambodia (Siem Reap & Angkor Wat) 3D/2N

মূল্য: 19,900 Taka

Moscow & St.Petersburg 6D/5N

মূল্য: 145,000 Taka

প্রায় সাড়ে তিন ফুট প্রশস্তের হলেও, কয়েকাটা স্থানে একেবারেই সরু। স্থানীয়রা তাবাক্ষ গুহাটিকে দেবতার গুহা নামেও ডাকেন। ত্রিপুরা ভাষায় তাবাক্ষ অর্থ বাদুড়ের গুহা। যারা যেই নামেই ডাকুক না কেন, এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ। নিঃসন্দেহে ভ্রমণপিপাসুদের তাবাক্ষ গুহা রোমাঞ্চিত করবে- এটা নিশ্চিত।

যাবেন কীভাবে
ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি রুটে বিভিন্ন পরিবহনের বাস সার্ভিস রয়েছে। ভাড়া ৫০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা। খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বর হতে চান্দের গাড়িতে ১৭ কিলোমিটার দূরত্বের দীঘিনালা উপজেলার আটমাইল নামক এলাকা হয়ে বড়পাড়া/বগড়াছড়াপাড়া পর্যন্ত যেতে হবে। এরপর প্রায় দুই কিলোমিটার পাহাড়ি পথে ট্র্যাকিং।

খাওয়া-থাকা
দিনে দিনে ঘুরে এসে শহরেই থাকতে হবে। তাবাক্ষ অবস্থানকালীন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও শুকনো খাবার সঙ্গে নিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র।

সতর্কতা
অবশ্যই স্থানীয় পাড়াগুলো হতে গাইড নিয়ে যেতে হবে। নতুবা পথ হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২৪৩ বার পড়া হয়েছে