অফিসে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় না। অনেক সহকর্মীর মধ্যে একজন বা দুজন হয় ঘনিষ্ঠ। তবে যাঁদের সঙ্গে দিনের বেশির ভাগ সময়টা কাটাচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকাটাই ভালো। কিন্তু অফিসে কোনো সহকর্মীর সঙ্গে অতিরিক্ত বন্ধুত্ব আবার সৃষ্টি করতে পারে নানা জটিলতা।

দিনের তিন ভাগের এক ভাগ সময় কাটে কর্মক্ষেত্রে। বলতে গেলে, বাড়ির চেয়েও দিনের বেশি সময় কাটে যেখানে, সেটি অফিস। একই অফিসে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা সবাই সহকর্মী। পরিবারের বাইরে এ যেন আরেক পরিবার। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা নানা বয়সের মানুষরাই তখন একে অপরের হয়ে যান আপনজন। কখনো যে মনোমালিন্য ঘটে না, এমন নয়। মনোমালিন্য কোথায় না হয়! তবু হাসি, আনন্দ, দুঃখ-বেদনায় বন্ধু-পরিজনের পাশাপাশি যাঁরা আপনার পাশে থাকে, তাঁরাই সহকর্মী।

অফিসের কাজের পাশাপাশি আরো কিছু বিষয় ভাবতে হয় সবাইকে। তাহলেই সুন্দর থাকে সহকর্মীর সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক। কাজগুলো খুব কঠিন কিছু নয়। দ্য মিউজ ডটকম জানাচ্ছে সেসব কথা। মিলিয়ে দেখুন, এগুলো হয়তো আপনি এমনিতেই প্রতিদিন করে থাকেন।

কুশল বিনিময়

অফিসে এসে প্রতিদিন সহকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করুন। হাসিমুখে কথা বলার মধ্য দিয়ে শুরু করুন আপনার কর্মব্যস্ত দিনের সকালটি। দেখবেন, কাজের মাঝে আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন। চারপাশের সবাইকে আপন ভাবার মধ্যে যে মানসিক শান্তি মিলবে, তা আপনি আর কোথাও পাবেন না।

ব্যক্তিগত বিষয়ে আগ্রহ না দেখানো

সবারই কিছু ব্যক্তিগত বিষয় থাকে, যা হয়তো সে অন্য কারো সঙ্গে শেয়ার করতে চায় না। সহকর্মীর ব্যক্তিগত বিষয়ে তাই আগ্রহ দেখানো থেকে বিরত থাকুন।

কাজের পরিবেশ

ফিচার বিজ্ঞাপন

US Visa for Retired Person

মূল্য: 5,000 Taka

মৈনট ঘাট প্রাইভেট ডে লং ট্যুর

মূল্য: ৯০০ টাকা জন প্রতি

অফিসে আসার উদ্দেশ্যই হচ্ছে কাজ। তাই কাজের পরিবেশ যাতে সুষ্ঠু থাকে, সেদিকে নজর দিন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে গল্প কিংবা আড্ডা দিতে পারেন, আড্ডা কিংবা গল্পের ফাঁকে কাজ নয়। খেয়াল রাখবেন, আপনাদের গল্প করার কারণে যেন অন্য কোনো সহকর্মীর কাজে ব্যাঘাত না ঘটে।

ভুল বোঝাবুঝি হলে

কাজ করতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। সে ক্ষেত্রে দ্রুত ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলুন। কারণ একত্রে কাজ করতে গেলে সম্পর্ক যদি ভালো না থাকে, তখন কাজের মাঝে আনন্দ পাওয়া যায় না। এ ছাড়া রাগ, ক্ষোভ ইত্যাদি আমাদের মানসিক শান্তি নষ্টের জন্য যথেষ্ট।

আরো কিছু পরামর্শ

  • মনে রাখবেন, অফিসে সবকিছুর আগে কাজ করাটাই গুরুত্বপূর্ণ। তারপর বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের জন্য যেন কাজে গাফিলতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
  • অন্যের মন্তব্য শুনে বন্ধুত্বে ছেদ টানবেন না। আপনার এবং আপনার বন্ধুর মধ্যে যে পারস্পরিক নির্ভরতা রয়েছে, তা নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন।
  • জন্মদিন বা অন্য কোনো বিশেষ দিনে বন্ধুকে উপহার দিতে চাইলে তা অফিসে সবার সামনে না দেওয়ার চেষ্টা করুন।
  • একজন সহকর্মীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে বলেই তাকে সব সময় আঁকড়ে থাকবেন না। তাকেও অন্যদের সঙ্গে মেশার সুযোগ দিন। নিজেও মন খুলে অন্যদের সঙ্গে মিশুন।
  • সাধারণত সব অফিসেই বিভিন্ন সমালোচনা হয়। তাই সব কথায় কান দেবেন না। অন্যরা আপনাদের বন্ধুত্ব নিয়ে কথা বললে হেসে এড়িয়ে যান। এসব মন্তব্য যেন আপনাদের বন্ধুত্বে প্রভাব না পড়ে, তা খেয়াল রাখুন।
  • নিজের কাজের গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন।
  • অফিসের গল্প যেকোনো ক্ষেত্রে কারো বিপক্ষে আক্রমণাত্মক বা হাস্যকর যেন না হয়। এতে সহকর্মী-বন্ধুর বিপত্তিতে বিব্রত হতে পারেন আপনি।
  • সহকর্মী-বন্ধু আর কর্মক্ষেত্র-বন্ধুত্বের মধ্যে বেশ বড় মাপের সীমানা থাকে, সেই সীমানা বুঝে আচরণ করুন।
  • কারো সঙ্গে এমন বন্ধুত্ব করা ঠিক না, যাতে অফিসের অন্য সহকর্মীরা অখুশি হন।
  • সংখ্যায় বন্ধু না বাড়িয়ে আচরণে বন্ধুসুলভ মানসিকতা বিকাশে নজর দিন।

যা করা উচিত নয়

কর্মস্থলে সহকর্মীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হওয়ার পরও একটু দূরত্ব বজায় রাখুন। ছোট ছোট ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সহকর্মীদের বিষয়ে অভিযোগ করবেন না। সহকর্মীদের পারিবারিক বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত আগ্রহ দেখাবেন না। তা না হলে গোপনীয় বিষয়গুলো প্রকাশ হয়ে গেলে পরে তা হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। আপনার সহকর্মীর কাজে বাধা দিয়ে আড্ডা মারার প্রবণতা থেকে দূরে থাকুন। কোনো সহকর্মীকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিপদে ফেলবেন না। মনে রাখবেন, সব জায়গায় সবাই ভালো, আবার সবাই খারাপ হয় না। ভালো আর খারাপ এ দুটি বিষয় মিলিয়ে আমাদের জীবন। তাই বলে আমরা ভালোর সঙ্গে ভালো, আবার খারাপের সঙ্গে খারাপ করব, এটা কিন্তু একদম ভালো বিষয় নয়। আমাদের উচিত নিজের বিবেক-বিবেচনায় সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

Online Shopping BD (Facebook Live)



২৪৮ বার পড়া হয়েছে