দেশের আবাসন খাতে অর্ধেকের বেশি চাহিদা আসে মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকে, যাঁদের পছন্দ অনধিক ১৩০০ বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্ট। সম্প্রতি পেশাজীবী দম্পতি, ছোট পরিবার, পেশাজীবী নারী, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক ও প্রবাসীদের মধ্যে ১ বেডরুমবিশিষ্ট স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টের ধারণাটি বেশ আলোড়ন তুলেছে। নতুন এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে ঢাকার অভিজাত বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পাশেই আধুনিক ফ্ল্যাট ও স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করছে দেশের অন্যতম আবাসন প্রতিষ্ঠান র্যাংগস প্রপার্টিজ লিমিটেড।
প্রথাগত স্থাপত্য নকশা থেকে একটু আলাদা এই প্রকল্পের বাইরের অংশের পুরোটাই থাকছে লাল ইটে আবৃত। সীমিত আয়তনের মধ্যে একটি পরিবারের প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেই ডিজাইন করা হয়েছে প্রকল্পটির প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টের। গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় বারান্দাসহ ও বারান্দা ছাড়া ২ ধরনের ডিজাইনেই রয়েছে স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট। আর রেগুলার সাইজের অ্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে ছোট ছোট একাধিক বারান্দার পরিবর্তে প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টের নকশায় বড় একটি বারান্দা করা হয়েছে। প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টেই তিন দিক উন্মুক্ত রাখা হয়েছে, যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসা-যাওয়া করতে পারে। প্রকল্পের ছাদ পুরোটাই সাজানো হবে একটি পার্কের আদলে। এখানে বসবাসকারী লোকজনের জন্য এটি হবে বাড়তি পাওনা।
কয়েক দশক ধরে বাঙালিরা সব সময়ই আভিজাত্যের প্রতীক বলতে বড় বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ডকুমেন্ট বাগানবাড়িকেই ভেবেছি। ৯০-এর দশকের দিকে দেশে যৌথ উদ্যোগে অ্যাপার্টমেন্টভিত্তিক আবাসনশিল্পের বিকাশ ঘটার পর এক পরিবারভিত্তিক বিলাসবহুল বাড়িগুলো ভেঙে বহুতল ভবন তৈরি হতে থাকে। যার ফলে এ রকম বনেদি বাড়িগুলো ঢাকায় এখন অনেকটাই বিরল। আবাসনশিল্পের বড় একটা অংশ দখল করে আছে ছোট ও মাঝারি আকারের অ্যাপার্টমেন্ট। স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টের ধারণা এ দেশের বাজারে সাম্প্রতিক সংযোজনই বলা যায়, যা বর্তমানে দেশের আবাসনশিল্পের বাজারে জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট আসলে কি?
স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট বলতে আসলে বোঝায় একটি বেডরুম ও রান্নাঘর সংযুক্ত কমন লিভিং ও ডাইনিং স্পেস-সমেত ছোট আকারের অ্যাপার্টমেন্ট। আকৃতিতে এরা সাধারণত ২৫০-৮০০ বর্গফুটের হয়। স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট একা থাকা পেশাজীবী, প্রবীণ, ছোট পরিবার, প্রবাসী এবং এমনকি প্রথমবারের বিনিয়োগকারীদের জন্য আদর্শ একটি প্রকল্প।
পরিসংখ্যান কি বলে?
গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নগরায়ণের হার ছিল ১.৯ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এ দেশে প্রতিবছর প্রায় ১২০,০০০ নতুন ফ্ল্যাটের চাহিদা রয়েছে, যার বিপরীতে সরবরাহ আছে মাত্র ২৫ হাজারের মতো। ক্রমবর্ধমান নগরায়ণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার কারণে মধ্যবিত্তের জন্য স্থায়ী আবাসনের নিশ্চয়তা দিন দিন কমে আসছে। শীর্ষ আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো বড় আকারের ও বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের দিকে ঝুঁকতে থাকায় স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টের ধারণা দেশের আবাসনশিল্পের বাজারে নতুন এক মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে। ছোট আকৃতির ফ্ল্যাট বড় ফ্ল্যাটের তুলনায় দ্রুত ভাড়া হয়। তাই বিনিয়োগের দৃষ্টিকোণ থেকে স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট বেশ লাভজনক। অল্প দামে যাদের প্রত্যাশা একটু বেশি, তাঁদের জন্যও একটি সুসজ্জিত স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট হতে পারে প্রথম পছন্দ।বিজ্ঞাপন
ফিচার বিজ্ঞাপন
মালয়শিয়া ভিসা প্রসেসিং (চাকুরীজীবী)
মায়ানমার ভিসা (ভিজিট ভিসা)
বাংকক-ফুকেট-ক্রাবি ৭দিন ৬ রাত
দেশের আবাসনশিল্পের বাজারে আসন্ন পরিবর্তনগুলোকে বিবেচনা করে, র্যাংগস প্রপার্টিজ লিমিটেড তাদের চলমান প্রকল্প কোর্টইয়ার্ডে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণরূপে সজ্জিত স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টের ডিজাইন করেছে। বসুন্ধরা লিংক রোডে এভারেস্টের হাসপাতাল-সংলগ্ন র্যাংগস কোর্টইয়ার্ড প্রকল্পের নাগালেই পাওয়া যাবে সুপার স্টোর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ, ব্যাংকসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু। এভারেস্টের হাসপাতাল ও ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি) থেকে মাত্র ২ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত, র্যাংগস কোর্টইয়ার্ড থেকে সহজেই যাতায়াত করা যাবে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, ইউনাইটেড হাসপাতাল এবং গুলশান ২, প্রগতি সরণি ও বারিধারার আশপাশের এলাকায়।
দেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত হতে যাওয়া এই ব্র্যান্ডেড স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে থাকছে কমিউনিটি লাউঞ্জ, সুইমিং পুল, আবাসিক ডাক্তার, ওয়াইফাই, হাউজিংসহ আরও কিছু বাড়তি সুবিধা, যেন এই প্রকল্পের বাসিন্দারা বাসার স্বাচ্ছন্দ্যেই উপভোগ করতে পারেন জীবনের সব প্রয়োজন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন courtyard.rangsproperties.com অথবা কল করুন ১৬৬৭৭ নম্বরে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৪২৮ বার পড়া হয়েছে




