প্রতিদিনের ব্যস্ততার কারণে সকালে বা বিকাল কিংবা সন্ধ্যায় অনেকেই শরীরচর্চা করার সময় পান না। এর ফলে কেউ কেউ বেশি রাতে ব্যায়াম করার চেষ্টা করেন। কিন্তু জানেন কী, বেশি রাতে শরীরচর্চা করা ঠিক নয়। এখানে মনে রাখতে হবে ব্যায়াম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু যখনতখন নয়। এমন শরীরচর্চা করবেন না, যার ফলে উল্টো শরীরের ক্ষতি হয়।

সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা বলছে, বেশি রাতে জিম করলে অথবা ব্যায়াম করলে এটি হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দিতে পারে, যার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

সাধারণত দিনেরবেলা অথবা সূর্যের আলোতে ডিহাইড্রেটেড থাকার ফলে স্ট্রেস হরমোন নিঃসৃত হতে পারে, এতে শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভালো থাকে। কিন্তু রাত্রিবেলা ঠিক তার বিপরীত ঘটে। মেলাটোনিন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি মাত্রায় ক্ষরণ হলে বেশ অসুবিধার সৃষ্টি হয়।

বেশি রাতে অতিরিক্ত শরীরচর্চা করার ফলে শরীরে মারাত্মক মাত্রায় অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ হতে থাকে, যার ক্ষতিকর প্রভাবে হার্টবিট বেড়ে যায়। এবং এর কারণেই উৎপাদিত এপিনেফ্রিন শরীরে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি অক্সিজেন লেভেল বেড়ে যায় এবং সে থেকে রক্তপ্রবাহ বেড়ে গেলে শরীরে নানান রকম অসুবিধা দেখা দিতে পারে। সহজ করে বললে, হৃদরোগ জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

তুরস্ক ভিসা (বিজনেসম্যান)

মূল্য: ১৫,০০০ টাকা

রাত্রে শান্ত শরীরে, ধীরস্থির হয়ে ঘুমানোই ভালো। সে জায়গায় শরীর অশান্ত থাকলে ভীষণ অসুবিধা। শরীরচর্চার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগে, সে সময়টাতে নার্ভ অস্থির অবস্থায় থাকে। এমন সময়ে শারীরিক উত্তাপ বেশি যাতে না থাকে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এবং অল্প করে পানি পান করার অভ্যাস করতে হবে।

ঘুমনোর আগে শরীরচর্চার ফলে পেশির বৃদ্ধি কম হয়। জেনে রাখা ভালো, ঘুম ঠিকঠাক না হলে পেশি সম্প্রসারণ হয়না। তাই বেশি রাতে ব্যায়াম না করাই ভালো। অন্তত জিম করলেও ৪ ঘণ্টা আগে করুন। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে হলুদমিশ্রিত দুধ পান করতে পারেন। অবশ্যই গোসল করবেন এবং মেঝেতে ঘুমাবেন না।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২২৮ বার পড়া হয়েছে