পাঁচ-ছয় ফুট উঁচু গাছ। পাতার ফাঁকে ফাঁকে সে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ মাল্টা। গাছ থেকে পেড়ে সে মাল্টা সরাসরি কিনতে এসেছেন আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘প্রথমে মনে করেছিলাম মাল্টা বিদেশি ফল। দেশে ফলন ভালো হবে না। ফল এলেও তা বিদেশি মাল্টার মতো হবে না। কিন্তু আমাদের ধারণা পাল্টে দিয়েছেন ছাদেক। এই মাল্টার ঘ্রাণ সুন্দর ও খেতে মিষ্টি।’
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের টাকই গ্রামের কৃষক ছাদেক মিয়া বারি মাল্টা–১ চাষ করে সফল হয়েছেন। সম্প্রতি তাঁর বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি গাছে ১০০ থেকে ১৫০টি ফল ধরেছে। এসব মাল্টা তিনি বাগান থেকেই স্থানীয় লোকজনের কাছে প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন তিনি। আরও ৫০ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারবেন বলে তাঁর আশা।

ছবি: প্রথম আলো
ছাদেক বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ২০১৮ সালে তাঁকে বারি-১ জাতের ১১০টি মাল্টার চারা দেওয়া হয়েছিল। তিনি ওই চারা তাঁর বাড়ির আঙিনায় ১০ শতাংশ পতিত জমিতে রোপণ করেন।
ছাদেক আরও বলেন, মাল্টা গাছ কমপক্ষে ১৫ বছর ধরে ফলন দেয়। তাঁর এ বাগান করতে চারা বিনা মূল্যে পেয়েছিলেন। আর জমি তাঁর নিজের। গত তিন বছর বাগান পরিচর্যায় তাঁর ১০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। সেই খরচ উঠে লাভ আসতে শুরু করেছে বেশ আগে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
সিঙ্গাপুর ভিসা (বিজনেসম্যান)
Thimpu-Paro-Dochala Pass-Punakha 5D/4N
Dubai (City tour- Abu Dhabi tour) 4D/3N
সাহেবাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, এ এলাকা মাল্টা চাষের উপযোগী। তা ছাদেক মিয়ার বাগান দেখে বোঝা যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুল হাসান বলেন, ২০১৮ সালে খরিপ-১ মৌসুমে ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম (এনএটিপি) আওতায় আদর্শ ফলবাগান স্থাপন প্রদর্শনী হিসেবে ছাদেক মিয়াকে মাল্টার চারা দেওয়া হয়। তারপর থেকে কৃষি অফিস তাঁকে বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত উপজেলায় ৩০টি মাল্টা প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৫৬৩ বার পড়া হয়েছে





