তবে সিটি করপোরেশন থেকে কাজের বিষয়ে ঠিকাদারের কর্মীদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। কর্মকর্তাদের এমন গাফিলতির সুযোগে ঠিকাদারের কর্মপরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও সেটা দেননি। এ ছাড়া চুক্তিতে প্রতিটি ভাসমান খননযন্ত্রের দৈনিক ৮ ঘণ্টা ও মোট ৬০ দিন কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু যন্ত্রগুলোকে বেশিরভাগ সময় বসিয়ে রাখা হয়েছিল। এসব অনিয়ম নিয়ে গত বছরের ২৩ আগস্ট ‘কর্মপরিকল্পনা ছাড়াই খাল খননের কাজ’ শিরোনামে প্রথম আলোয় প্রতিবেদন ছাপা হয়।
গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে কল্যাণপুর পাম্প হাউসে গিয়ে দেখা যায়, জলাধারের বেশির ভাগ জায়গা শুকনা। যেখানে থাকার কথা পানি, সেখানে চর জেগে আছে। খননকাজের ফলে দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তনের চিহ্নও নেই। জলাধারের দক্ষিণ অংশে ছোট খালের মতো করে পানি যাচ্ছে পাম্প হাউস পর্যন্ত।
মিরপুর ১২ নম্বর এলাকার সাগুফতা খাল ও মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকায় বাউনিয়া খালেও কাগজকলমে খননকাজ হয়েছিল। বাউনিয়া খালপাড়ের একাধিক বাসিন্দা বলেন, দিনে পানির প্রবাহ বেশি থাকায় খালের চর বোঝা যায় না। রাতে যখন মানুষের পানির ব্যবহার কিছুটা কমে আসে, তখন চর দেখা যায়।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Cambodia (Siem Reap & Angkor Wat) 3D/2N
Moscow, Novosibirsk ,Irkutsk & St.Petersburg 9D/8N
তুরস্ক ভিসা (বিজনেসম্যান)
সাগুফতা খালের কালশী স্টিলের সেতুর উত্তর পাশে খালটি মৃতপ্রায় হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই অংশে গত বছরে তারা কোনো ভাসমান খননযন্ত্রকে কাজ করতে দেখেননি।

ডিএনসিসির আরেক কর্মকর্তা বলেন, জলাধার শুকনো। কোনো কাজই যে হয়নি, এটা তার প্রমাণ। কারণ, একটি এক্সকাভেটর দিয়ে টানা দুই মাস ওই স্থানে খননকাজ করা হয়েছে, অথচ দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন নেই। অন্যদিকে খনন করা মাটি ও বালু জলাধারেই ফেলা হয়েছিল। কারণ, মাটি ও বর্জ্য পাড়ে নিতে ব্যবহৃত লোহার তৈরি ড্রামে কাজ শুরুর কিছুদিন পরেই ছিদ্র তৈরি হয়। এ ছাড়া তখন জলাধারে পানির উচ্চতা বেশি থাকায় ভাসমান অবস্থায় মাটি পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছিলেন ঠিকাদারের নিয়োজিত কর্মীরাই।
এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এম শরিফ উল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তখন আমি দায়িত্বে ছিলাম না। তাই কী হয়েছিল বলতে পারব না।’ তবে কল্যাণপুর পাম্প হাউস এলাকার জলাধার খননে ভাসমান খননযন্ত্র নামানো হয়েছিল উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই স্থানে গিয়ে দেখলাম, ভাসমান খননযন্ত্র ব্যবহার করলে সময়ের অপচয় হবে। কারণ, ওই যন্ত্রটিকে (ভাসমান এক্সকাভেটর) একবার মাটি তুলেই সেই মাটি রাখতে পাড়ে যেতে হবে। এতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। বিপরীতে খননযন্ত্রের জন্য ঘণ্টাপ্রতি টাকা দিতে হবে। এ জন্য পরের দিনই যন্ত্রটি সরিয়ে ফেলা হয়।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েশন ট্রেডের মালিক তোহরাব আলীর মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৩০৬ বার পড়া হয়েছে





