০১. অনুবাদক

পৃথিবী এখন সবার হাতের মুঠোয়, বলা হয় গ্লোবাল ভিলেজ। একটি অ্যানড্রয়েড ফোন হাতে থাকলে এক ক্লিকে আমেরিকা চলে যাওয়া যায়, পরবর্তী ক্লিকে আবার ফিরে আসা যায় বাংলাদেশে। প্রযুক্তি বিপ্লবের কল্যাণে পৃথিবী গ্লোবাল ভিলেজ হয়ে উঠলেও এই ভিলেজের সবাই সব ভাষা জানে না, এমনকি আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজিও সবাই জানে না। সুতরাং বিশ্বব্যাপী অসংখ্য তথ্য অনুবাদের চাহিদা বাড়ছে ক্রমশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিসটিক্স হ্যান্ডবুকের ২০১৫ সালে দেওয়া তথ্যানুসারে, প্রতি বছর ৬৪ শতাংশ হারে অনুবাদকের চাহিদা বাড়ছে। সুতরাং অনুবাদ হয়ে উঠতে পারে নতুন সম্ভাবনাময় ব্যবসা।

এক্ষেত্রে একক ভাবে কেউ শুধু নিজেকে সাবলম্বী করতে চাইলে সে কোনো পত্রিকা, সাময়িকী বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে নিজস্ব বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে না এবং সর্বোচ্চ দুটি ভাষা ভালোভাবে জানলেই চলবে।

তবে কেউ চাইলে অনুবাদ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাষার কয়েকজন অনুবাদককে সাথে নিয়ে গড়ে তোলা যেতে পারে আন্তর্জাতিক মানের কোনো অনুবাদ প্রতিষ্ঠান। বিশ্বব্যাপী অসংখ্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত নানান বই প্রকাশ করে, এসব প্রকাশনীর সাথে চুক্তির ভিত্তিতে এক ভাষার বই অন্য ভাষায় অনুবাদ করা যেতে পারে। তাতে বইয়ের ব্যাপ্তি যেমন বাড়বে সাথে একটা অনুবাদ প্রতিষ্ঠানও দাড়িয়ে যাবে।

০২. কর্মী সরবরাহ 

ঢাকা শহরের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি। এই ২ কোটি মানুষের পরিবারে গৃহপরিচারিকা, পরিচ্ছন্নতা কর্মীর চাহিদা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। আবার বিদ্যমান বাস্তবতায় বিশ্বস্ত ও দক্ষ গৃহপরিচারিকা পাওয়া খুব কঠিন। এই চাহিদা আর সংকটের কথা মাথায় রেখে বাসা বাড়িতে গৃহ পরিচারিকা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী সরবরাহ করার নতুন ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। শুধু গৃহ পরিচারিকা নয়, বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের মেকানিক, বাসা বদল করার কর্মী ও যানবাহন সরবরাহ সেবাও সাথে যুক্ত করা যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন প্রতিষ্ঠান থাকলেও আমাদের দেশে এমন ব্যবসা খুব বেশি জনপ্রিয় হয়নি এখনও। সুতরাং শুরু করা যেতে পারে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Cambodia (Phnom Penh & Siem Reap) 6D/5N

মূল্য: 43,900 Taka

Kathmandu-Nagarkot 4D/3N

মূল্য: ১২,৯০০ টাকা

Australia Visa (for Govt Service Holder)

মূল্য: 20,000 Taka

০৩. জব মিডিয়া

প্রতিনিয়ত যেমন হাজার হাজার চাকরি প্রত্যাশীর সংখ্যা বাড়ছে তেমনি চাকরি দাতার প্রত্যাশাও বাড়ছে। সব চাকরি প্রত্যাশী চায় চাকরি পেতে, আবার প্রতিষ্ঠানগুলো চায় হাজার হাজার আবেদনের মধ্য থেকে গুণী, মেধাবী ও যোগ্য আবেদনকারীকে বেছে নিতে। তবে সমসাময়িক সময়ে চাকরি প্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে যোগ্য আবেদনকারী খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। অধিকাংশ চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার আবেদন বাছাই, সাংক্ষাতকার গ্রহণকে বাড়তি ঝামেলা বলে মনে করে। এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে পারেন তরুণ উদ্যোক্তারা।

মার্কিন বিখ্যাত গণমাধ্যম সিএনএনের এক জরিপ মতে, সাম্প্রতিক সময়ে এমন চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া বিশ্বব্যাপীর সবচেয়ে জনপ্রিয়। বড় বড় ব্যবসায়ী গ্রুপ যোগ্য কর্মী খুঁজে পেতে এমন মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন হয়। বিভিন্ন কোম্পানির চাহিদার ভিত্তিতে দক্ষ ও যোগ্য জনবল খুঁজে দেওয়ার মাধ্যমে গড়ে তোলা যেতে পারে ক্যারিয়ার এবং জব মিডিয়া ভিত্তিক ব্যবসা। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে বৈকি, তবে অভিনবত্ব আনতে পারলে এ জাতীয় নতুন স্টার্টআপের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৯২১ বার পড়া হয়েছে