আপনার নতুন বিজনেস আইডিয়া যদি ভালো করে – তবে এক সময়ে না এক সময়ে লোকবল বাড়ানোর প্রয়োজন হবেই। নতুন দক্ষতার প্রয়োজন ও ব্যবসার পরিধি বাড়ার কারণে একটা সময়ে গিয়ে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।
আজকাল যে কোনও ব্যবসার জন্যই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং একটি বড় ব্যাপার। প্রথম দিকে হয়তো আপনি বা আপনার কোনও এক পার্টনার ব্যাপারটি দেখবেন। কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে নির্দিষ্ট ও স্পেশালিস্ট সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার দরকার হবে।
এরকম আরও অনেক ক্ষেত্রেই আপনি নিজে সময় দিতে পারবেন না, অথবা বেশি দক্ষ লোকের প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে স্থায়ী লোক নিয়োগ দেবেন, নাকি চুক্তি বা কনট্যাক্টের ভিত্তিতে আউটসোর্সার বা ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ দেবেন – সেটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
হয়তো আপনার কোম্পানীর ওয়েবসাইটের জন্য একজন ওয়েব ডিজাইনার প্রয়োজন। এখন ওয়েবসাইটটি বানানো ও নিয়মিত দেখভালের জন্য একজন পার্মানেন্ট ওয়েব ডিজাইনার নিয়োগ দিতে পারেন, অথবা চুক্তির ভিত্তিতে একজনকে নিয়োগ দিয়ে তাকে দিয়ে শুধু সাইটটি বানিয়ে নিজেই মেইনটেন করতে পারেন। এর পুরোটাই নির্ভর করে টাকার হিসেব ও কাজের সুবিধার ওপর। এছাড়া জেসন আরও কিছু বিষয় মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন:
# স্থায়ী কর্মীর বেতন-ভাতা ও আউটসোর্সারের পেমেন্টের মধ্যে তুলনা করুন। স্থায়ী কর্মী নিলে হয়তো তার মাসিক বেতন ১০ হাজার দিলেই চলবে; আবার বাইরের আউটসোর্সার নিলে তাকে ঘন্টা হিসেবে টাকা দিতে হতে পারে। হিসাব করে হয়তো দেখা গেল তাতে মাসে ১৫ হাজার খরচ হচ্ছে। ভালোমত হিসাব করে নিয়োগ দিন।
# কাজের ধরন বিবেচনা করুন। অফিসে বসে কাজ করতে হবে, নাকি অনলাইনে করলেও হবে? একজন অতিরিক্ত কর্মীর জন্য ডেস্ক ও জায়গার খরচও হিসাবে আনুন। সাধারণত আইটি সম্পর্কিত ছোটখাট প্রজেক্টে আউটসোর্সার হলেই চলে; কিন্তু বিক্রয়, পাবলিক রিলেশন, এ্যাকাউন্টস – ইত্যাদি ক্ষেত্রে নিয়মিত কর্মীর সাথে দেখা হওয়াটা জরুরী।
ফিচার বিজ্ঞাপন
শ্রীলংকা ভিসা (বিজনেসম্যান)
কষ্টার্জিত অর্থে সেরা প্রজেক্টে নির্ভেজাল প্লট কিনুন ।
মিশর ভিসা (চাকুরীজীবী)
# টিম ওয়ার্কের জন্য অফিস কর্মী নেয়া ভালো। এক অফিসের হলে কর্মীদের মধ্যে টিম স্পিরিট ভালো থাকবে। অনেক সময়ে কনট্যাক্টে নিয়ে আসা আউটসোর্সারদের সাথে মূল প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ইগো জনিত সমস্যা দেখা যায়।
# কতটা প্রতিযোগীতা মূলক বাজারে কাজ করছেন – সেটাও দেখার বিষয়। যদি খুব বেশি প্রতিযোগীতাপূর্ণ বাজারে ব্যবসা করেন – তবে ফ্রিল্যান্সার না নেয়াই ভালো। তাহলে আপনার অনেক গোপন তথ্য অন্য কোম্পানীর হাতে চলে যেতে পারে। স্থায়ী কর্মীর ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি কম।
# কত দিনের প্রজেক্ট করবেন – এটাও বিবেচনা করুন। স্বল্প মেয়াদী হলে আউটসোর্সার নেয়াই ভালো। চাকরির ক্ষেত্রে একজন কর্মী দীর্ঘ মেয়াদ আশা করে। এর ফলে প্রজেক্টের শেষে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৮৬২ বার পড়া হয়েছে