শিক্ষাঙ্গণ রিপোর্ট : ‘সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা, দেশমাতারই মুক্তিকামী দেশের সে যে আশা’ সত্যিই আমাদের দেশের কৃষক অনেক বড় সাধক। আর এই সাধকের সাফল্যে যখন নিজের অংশিদারিত্ব থাকে তখন হৃদয়ে প্রশান্তিরও ছোঁয়া লাগাটা খুবই স্বাভাবিক! এ দেশে সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্য ঘাটতি ছিল, এখন মানুষ প্রায় সতের কোটি কিন্তু খাদ্য ঘাটতি নেই বললেই চলে। খাদ্যের চাহিদা বেড়েছে, কৃষি উৎপাদনের জমি কমেছে তাহলে খাদ্য ঘাটতি মেটানো সম্ভব হলো কি করে? সম্ভব হয়েছে একর প্রতি ফলন বৃদ্ধি করে। আর এ কাজটি যারা করেছে তারা হলো কৃষিবিদ ও কৃষি বিজ্ঞানী। স্বাধীনতা পরবর্তী এ দেশে এত বড় সাফল্য আর কোনও পেশায় অর্জিত হয়নি। কৃষি প্রধান এই বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সবার আগে দরকার কৃষির উন্নয়ন। কৃষিতে উন্নত হলে সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তাই কৃষির উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে কৃষিশিক্ষার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি কৃষি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে অনেক। দেশ এবং কর্মক্ষেত্র বিবেচনা করে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসছে। দেশে বর্তমানে চারটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেমন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি অনুষদ রয়েছে। ভ্যাটেরেনারি ও এনিমেল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কৃষিরই অন্তর্ভুক্ত। এ সকল কৃষি ক্যাম্পাসগুলো থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা কৃষি বিজ্ঞানীরা এদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর অন্যের দায়িত্বভার কাঁধে নিয়ে কর্মক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে প্রতিবছর প্রায় দু’হাজার কৃষি বিজ্ঞানী বের হচ্ছে এবং সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এদেশের কৃষির উন্নয়নে নিজেদের নিবেদিত রাখছে। এ কৃষি বিজ্ঞানীদের রয়েছে বিস্তৃত কর্মক্ষেত্র। বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রে যোগদান করে ফসলের উন্নততর জাত ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছেন। বিএডিসি কৃষি বিজ্ঞানীরা উন্নত ভাল মানের বীজ কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য বীজ বিবর্ধন করছেন, কৃষি উপকরণ কৃষকদের কাছে সহজলভ্য করছেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে কর্মরত কৃষি বিজ্ঞানীরা উন্নত কৃষি উপকরণের ব্যবহার ও নতুন প্রযুক্তি কৃষি ভাইদের হাতে কলমে শেখাচ্ছেন। অর্থাৎ যে যেখানে আছেন সেখান থেকে সামগ্রিকভাবে কৃষির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটে প্রায় আড়াইশ, কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটে প্রায় আটশত, পাট ও ইক্ষু গবেষণা ইন্সটিটিউটে প্রায় শ’খানেকের বেশি কৃষি বিজ্ঞানীদের কর্মক্ষেত্র রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে রয়েছে আড়াই হাজার এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনে চারশতাধিক কৃষি বিজ্ঞানীর কাজের সুযোগ রয়েছে। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলেও রয়েছে কাজের সুযোগ। বর্তমানে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও কৃষি কাজে এগিয়ে এসেছে। তাদের বীজ উৎপাদন খামারসহ কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে তুলছেন। এখানেও কাজ করে গর্বিত অবদান রাখছে কৃষি বিজ্ঞানীরা। দেশে বিদেশে কৃষি বিজ্ঞানীদের অবদান ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় অন্যদের চেয়ে খাটোকরে দেখার কোনও উপায় নেই। কৃষি বিজ্ঞানীদের উচ্চ শিক্ষার দ্বার অনেক প্রশস্ত। দেশে বিদেশে প্রচুর বৃত্তি পাবার সুযোগ রয়েছে। জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, চীন, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ড, কানাডাসহ বিভিন্নদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন খুব সহজেই সফল করতে পারেন। কৃষি শিক্ষা কারিগরি শিক্ষা বিধায় নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিজেই করা সম্ভব, যেমন সবজি উৎপাদন খামার, নার্সারি, বীজ উৎপাদন খামার, দুগ্ধ ও মুরগী খামার, বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প এবং নিজের প্রতিষ্ঠানে অন্যদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব। কৃষিতে এখনো আমরা উন্নতদেশের তুলনায় পিছিয়ে। তাই কৃষিতে আরো উন্নতির সুযোগ আমাদের রয়েছে। কৃষি শিক্ষায় মনোনিবেশ করে বিপুল জনগোষ্ঠিকে জনসম্পদে পরিণত করে কৃষিভিত্তিক দেশের অর্থনীতিকে যথেষ্ট শক্তিশালী করার সুযোগ আমাদের রয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় : ময়মনসিংহ শহর হতে ৪ কিলোমিটার দক্ষিণে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম প্রান্তে ১২ শত একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট এ ক্যামপাসেই অবস্থিত। বর্তমানে এখানে মোট ৬ অনুষদে ৪৪ বিভাগে ৫১৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। স্নাতক পর্যায়ে ৩০৫৪ জন , স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ১১৯১ জন, এবং পিএইচডি পর্যায়ে ২৭৪ জন মিলে মোট ৪৫১৯ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। ছাত্র ও শিক্ষকের অণুপাত ১:৯। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভিসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন প্রফেসর ড. মো. এম ওসমান গণি। পরে প্রায় দীর্ঘ চার দশকে মোট ১৮ জন ভিসি দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান ভিসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় : শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত। ক্যাম্পাস ৮৬.৯২ একর ভুমির ওপর দাঁড়িয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ২০০১ সালের ৯ জুলাই জাতীয় সংসদে বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা হয়েছিল। ১৫ জুলাই ২০০১ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৩৮ সালের ১১ ডিসেম্বর বিএআই নামে এ প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু। বর্তমানে প্রায় ৫৭০০ স্নাতক এবং ৫৯৮ পোস্টগ্রাজুয়েট ডিগ্রিধারা এ প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়। অনুষদ- ২টি। নাম-১. এগ্রিকালচার, ২. এগ্রি বিজনেস্ ম্যানেজমেন্ট। দুটি অনুষদে শিক্ষার্থীরা ২১টি ডিপার্টমেন্ট এ বিভিন্ন সেমিস্টারে অধ্যয়ন করে। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : দক্ষিণাঞ্চল তথা বরিশাল বিভাগের একমাত্র সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে ১৫ কি.মি. দক্ষিণে, বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক থেকে ৫ কি.মি. পূর্বে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এ বিশ্ববিদ্যালয়টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা সম্প্রসারণের পাশাপাশি পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি উন্নয়নে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনে অনন্য অবদান রাখছে। এর আগে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি পটুয়াখালী কৃষি কলেজ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৭৯-১৯৮০ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ-এর এফিলিয়েটেড বেসরকারি কৃষি কলেজ হিসেবে স্নাতক পর্যায়ে কৃষি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। সাবেক কেবিনেট সচিব ও মন্ত্রী মরহুম এম কেরামত আলী পটুয়াখালী কৃষি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮৪ সালে তৎকালীন সরকার কলেজটি জাতীয়করণ করে। ২০০১ সালের ১২ জুলাই বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। পরে এক সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০০২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। তৎকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমে ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ ও পরে রিজেন্ট বোর্ড গঠনের মাধ্যমে কৃষি কলেজ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে কৃষি অনুষদে ১৮টি বিভাগে ৮৬ জন শিক্ষক রয়েছে। এ অনুষদে ৮৪৪জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। কৃষি ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্সক্রেডিট সিস্টেমের শিক্ষাব্যবস্থা চালু রয়েছে যা একটা আধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষাদান পদ্ধতি। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : দিনাজপুর শহর হতে প্রায় ১০ কি.মি. উত্তরে এবং দিনাজপুর-রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে সুরম্য অট্টালিকা এবং সবুজ, শ্যামল ও গ্রামীণ পরিমন্ডলে প্রায় ৮০ একর এলাকায় গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর কৃষি ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের এগ্রো-ইকোলজিক্যাল গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে ১৯৭৯ সনে এখানে একটি কৃষি ইন্সটিটিউট (এ.টি.আই) স্থাপন করা হয়। সেখান থেকে ৩ বছর মেয়াদী কৃষি ডিপ্লোমা ডিগ্রি দেয়া হত। ১৯৮৮ সালে এই এ.টি.আই. কে কৃষি কলেজে উন্নীত করা হয়। কলেজটি দিনাজপুর তথা উত্তরবঙ্গের কৃতী সন্তান, কৃষকদের স্বার্থে ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব হাজী মোহাম্মদ দানেশ এর নামে নামকরণ করা হয়। হাজী মোহাম্মদ দানেশ কৃষি কলেজটি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের একাডেমিক তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হত এবং এখানে চার বছর মেয়াদী বি.এস-সি.এজি (অনার্স) ডিগ্রি দেয়া হত। পরবর্তীতে তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি কলেজটিকে বিলুপ্ত করে ১৯৯৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়ে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলে জন্ম নেয় এ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধুমাত্র কৃষি অনুষদ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও অতি অল্প সময়ের মধ্যে আরও ৬টি নতুন অনুষদ প্রবর্তন করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বর্তমানে কৃষি অনুষদের অধীনে ৪ বছর মেয়াদি বি. এসসি. এজি. (অনার্স), বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের অধীনে বিবিএ, ফিসারিজ অনুষদ হতে বি. এসসি. ফিসারিজ (অনার্স), এগ্রোইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড ফুড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে বি.এসসি ফুড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে বি.এসসি. কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বি. এসসি টেলিকম এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের অধীনে ডি.ভি.এম. এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের অধীনে এম. এস./এম.বি.এ. ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় : ২০০৬ সালের ২ নবেম্বর সিলেট ভেটেরিনারি কলেজ থেকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের চতুর্থ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর একাডেমিক কার্যক্রম দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়। ভেটেরিনারি এন্ড এ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের পাশাপাশি নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে কৃষি অনুষদ ও মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদ। আস্তে আস্তে বদলে যেতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ। বর্তমানে আরও যোগ হয়েছে কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ। সামনে ইঞ্জিনিয়ারিংসহ আরও দুটি অনুষদ খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি বিশেষ ডিপার্টমেন্ট রয়েছে যা অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল তথা সিলেটের কথা চিন্তা করে ডিপার্টমেন্ট দুটি খোলা হয়েছে। এগুলো হল- ১. হাওর এগ্রিকালচার, ২. কোস্টাল এন্ড মেরিন সায়েন্স।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Cambodia (Siem Reap & Angkor Wat) 3D/2N

মূল্য: 19,900 Taka

কুইক সেল অফার

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনুন

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনু...



৭২৬ বার পড়া হয়েছে