আকিজ গ্রুপ
পারিবারিক অসচ্ছলতার জন্য শৈশবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করতে পারেননি শেখ আকিজ উদ্দিন। ১৩ বছর বয়সে পকেটে মাত্র ১৬ টাকা নিয়ে নিজ গ্রাম ছেড়ে কলকাতা চলে যাওয়ার পর শিয়ালদহ স্টেশনে কয়েক সপ্তাহ খোলা আকাশের নিচে দিন কেটেছিল তাঁর। একসময় হাওড়া ব্রিজের কাছে কমলা প্যাডলিং থেকে সঞ্চয় করা স্বল্প অর্থ দিয়ে একটি মুদি দোকানের ভ্যান কিনে ব্যবসা শুরু করেন। ওই ভ্যানে তিনি বিভিন্ন পণ্য মাত্র ৬ পয়সায় বিক্রি করতেন। অবৈধভাবে দোকান খোলার অপরাধে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ৩ দিন আটকে রাখে। পরবর্তী সময়ে ১৯৫২ সালে বিজরডাঙ্গা রেলস্টেশনে দোকান খুলে তিনি তামাক বিক্রি শুরু করেন, যা পরে দেশের বৃহত্তম একটি কোম্পানিতে পরিণত হয়।
অ্যাপল
১৯৭০-এর দশকের কথা। ব্যক্তিগত কম্পিউটার তৈরি ও বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিলেন স্টিভ জবস ও স্টিভ ওজনিয়াক। কিন্তু এই কাজের জন্য যে পরিমাণ টাকা দরকার ছিল, তার কিছুই এই দুজনের ছিল না। সম্পদ বলতে যা ছিল তা হলো ওজনিয়াকের এইচপি ক্যালকুলেটর ও জবসের ভক্সওয়াগন ভ্যান। এই সম্পদ বিক্রি করে যে ডলার পাওয়া গেল, তা দিয়ে শুরু হয় অ্যাপলের যাত্রা। অ্যাপল আই তৈরির জন্য তাঁরা কম্পিউটার বানিয়েছিলেন একটি ভাড়া করা গ্যারেজে। কে জানত, গ্যারেজ থেকে শুরু হওয়া একটি প্রতিষ্ঠান একদিন বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠবে! অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে আরও একজন ছিলেন। তিনি রোনাল্ড ওয়েইন। মাত্র ৮০০ ডলারে তিনি তাঁর শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছিলেন!
ফিচার বিজ্ঞাপন
Dubai (City tour- Abu Dhabi tour) 4D/3N
Australia Visa (for Private Service Holder)
Maldives (Centara Ras Fushi Resort & Spa) 3D/2N
ওয়ালমার্ট
ওয়ালমার্টের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ওয়ালটন যখন তাঁর প্রথম দোকানটি চালু করেন, তখন সালটা ১৯৪৫। সদিচ্ছা ছাড়া পুঁজি বলতে তাঁর আর তেমন কিছুই ছিল না। প্রাথমিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পণ্য ক্রয়ের জন্য তিনি তাঁর শ্বশুরের থেকে ২৫ হাজার ডলার ঋণ নেন। এই ঋণ দিয়ে ব্যবসা শুরুর প্রথম দিকেই তাঁর দোকান সাফল্যের মুখ দেখে। ১৯৬২ সালে চালু হওয়ার পর ১৯৭৬ সালের মধ্যেই এই প্রতিষ্ঠানটির মূল্য দাঁড়ায় ১৭৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ২৩ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের জোগান দেওয়া স্যাম ওয়ালটন একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ধনী হিসেবে বিবেচিত হন। তিনি মারা গেছেন ১৯৯২ সালে। এখন বিশ্বের ২৭টি দেশে ওয়ালমার্টের ১১,২৭৭ টি দোকান আছে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৯০০ বার পড়া হয়েছে





