আগামী বাজেটে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের আবাসন। বর্তমান ৮ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী এ সুবিধা পাচ্ছেন। আসন্ন বাজেটে এ সুবিধা ৪০ শতাংশে উন্নীত করার উদ্যোগ থাকছে। এ জন্য আবাসনসহ ৫২টি প্রকল্পে নতুন বাজেটে ৭ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ বরাদ্দ চেয়ে অর্থ সচিবকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। রোববার (২৬ মে) দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন মিজান চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদুল খন্দকার বলেন, সরকারের উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডকে অধিক গতিশীল করতে ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, রূপকল্প ২০২১ এবং এসডিজির লক্ষ্যকে সামনে রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ফ্ল্যাট নির্মাণ, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আবাসন সুবিধা বাড়ানোসহ কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হলেও পুরোপুরি অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, বাজেটের আগে প্রত্যেক মন্ত্রণালয় তাদের প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। বর্তমান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৫৩টি প্রকল্প চলমান আছে। এসব প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রাখতে আগামী বাজেটে চাওয়া হয়েছে ৭ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। এছাড়া সম্ভাব্য অনুমোদনযোগ্য কয়েকটি প্রকল্পের জন্য এর বাইরে আরও ৪৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার সুপারিশ করেছে। সব মিলে মোট ৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকার বরাদ্দের প্রস্তাবটি পাওয়া গেছে। তবে অর্থ বিভাগ থেকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রাথমিক ব্যয়ের সিলিং নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা। তাদের দেয়া প্রস্তাবটি পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে।
এদিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, আগামী বাজেটে যেসব প্রকল্পের অনুকূলে অর্থ চাওয়া হয়েছে অধিকাংশই প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এই মুহূর্তে সরকারি চাকরিজীবীদের আবাসন সমস্যা সমাধান করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি অনুশাসন রয়েছে এ ব্যাপারে। কিন্তু অর্থ বিভাগ থেকে ব্যয়ের যে সিলিং নিধারণ করেছে এটি অপ্রতুল। এ অর্থ দিয়ে মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করা সম্ভব হবে না।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা সমাধানের অনুশাসন দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে ২১টি প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৫১০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় ধরা হয় ১০ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। তবে আগামী অর্থবছরে আবাসানসংক্রান্ত ১৭টি প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন ১ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। এ অর্থ চাওয়া হয়েছে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
৩০০ফিট ও জিন্দা পার্ক প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
১৬ আনি মুন্সীগঞ্জ প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
মিশর ভিসা (চাকুরীজীবী)
ইতিমধ্যে ব্যাংক ঋণের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য। ১০ শতাংশ সুদে এই ঋণ দিচ্ছে। তবে সুদের ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি আকারে দিচ্ছে। অনেকে ব্যাংক ঋণ নিয়েই আবাসন সমস্যার সমাধান করছেন। তবে এখনও বিরাট একটি অংশ আবাসন সুবিধার বাইরে রয়েছে।
ঢাকার তীরবর্তী তুরাগ নদীর পাশে বন্যা প্রবাহ এলাকা জলাশয় সংরক্ষণ ও কমপ্যাক্ট টাউনশিপ উন্নয়ন প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। এ প্রকল্পটি শিগগির অনুমোদন দেয়া হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অনুমোদনের অপেক্ষায় আরও রয়েছে চারটি প্রকল্প।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...
৯৯৪ বার পড়া হয়েছে




