কিছু বই আছে যার বিক্রি কখনো কমে না এবং যার প্রভাব প্রজন্মের পর প্রজন্ম টিকে থাকে। বিজনেস ইনসাইডার ব্যবসা সংক্রান্ত এমন ১৫টি বই নির্বাচিত করেছে। এ বইগুলো মূলত ব্যবসার ইতিহাস, অনুসন্ধান, ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগের উপর রচিত। এক নজরে বইগুলো দেখে নেয়া যাক।
বারবারিয়ান্স অ্যাট দ্য গেট
এ বইটিতে ১৯৮৮ সালে ওয়ালস্ট্রিটের নাবিস্কোর ২৫ বিলিয়ন নিয়ম বহির্ভুত ব্যয়ের কাহিনী ফুঁটে উঠেছে। কর্মীদের অতি লোভ ও ব্যয়ের ধরন দেখে আপনার মনে হবে এ যেন এক মহাকাব্য। ব্রায়ান বুরোয়াহ ও জন হেইলারের লেখা এ বইটিকে সর্বকালের সেরা ব্যবসায় গল্পের বই হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ডেন অব থিবস
পুলিৎজারজয়ী সাংবাদিক জেমস বি স্টুয়ার্ট এ বইটিতে দেখিয়েছেন ব্যবসা সংক্রান্ত অনুসন্ধান কতটা রোমাঞ্চকর হতে পারে। এ বইটিও আশির দশকের ওয়াল স্ট্রিটের কাহিনী নিয়ে। বইটিতে স্টুয়ার্ট দেখিয়েছেন ওয়াল স্ট্রিট কাহিনীর পেছনে নেপথ্যে কোন ক্ষমতাবানরা ছিল এবং তাদের কীভাবে ধরা হয়।
দ্য ইনোভেটরস ডাইলেমা
অ্যাপলের প্রয়াত সিইও বইটি পড়ে প্রশংসা করার পাশাপাশি সিলিকন ভ্যালির সকলের জন্য প্রয়োজনীয় বলে মত দিয়েছিলেন। বইটির লেখক ক্লেটন এম. ক্রিসটেনসেন হাভার্ডের বিজনেস স্কুলের একজন অধ্যাপক। ১৯৯৯ সালে বইটি প্রকাশের পর থেকে অসংখ্য উদ্যোক্তাদের প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে চলেছে।

টু বিগ টু ফেইল
এ বইয়ে বিশ্বব্যাপী ২০০৭-০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার কথা উঠে এসেছে। ব্যবসায় সাংবাদিকতায় ‘জেরাল্ড লয়েব’ পুরস্কারজয়ী অ্যান্ড্রু রস সরকিনের সিনেম্যাটিক বর্ণনার কারণে পাঠক বইটি পড়তে বেশি মনোযোগী হন।
লায়ার’র পোকার
বইটির লেখক মিখায়েল লেইস সাংবাদিতায় এক বিখ্যাত নাম। সাংবাদিকতা শুরুর আগে তিনি বন্ড ব্যবসা করতেন। তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়েই তিনি এ বইটি লিখেন।
দ্য ইন্টেলিজেন্ট ইনভেস্টর
১৯৪৯ সালে এ বইটি অনেকের জীবন বদলে দিয়েছে। বইটিতে বিনিয়োগের উপর গভীর আলোচনা করা হয়েছে। বইটি লিখেছেন বেঞ্জামিন গ্রাহাম।
ফিচার বিজ্ঞাপন
বালি ও লম্বক ৫দিন ৪ রাত
বেইজিং ৪ দিন ৩ রাত
ইস্তানবুল ও কাপাডোসিয়া ৫দিন ৪ রাত
দ্য ব্ল্যাক সোয়ান
বইটি লিখেছেন নাসসিম নিকোলাস তালেব। বইটি প্রকাশ হলে অনেক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যনিয়েল কাহনেমান বইটি সম্পর্কে বলেছিলেন এটি বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করে দেবে।
দি অ্যাসে অব ওয়ারেন বাফেট
বইটি মুলত ওয়ারেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ধনী ওয়ারেন বাফেটের আত্মজীবনী। বইটি প্রকাশের পর বোঝা গেল বাফেট বিশ্বের অন্যতম সেরা বিনিয়োগকারীই নন তিনি একজন অসাধারণ লেখকও। বইটিতে বাফেটের ব্যক্তিগত কথাবার্তার পাশাপাশি তার বিনিয়োগ দর্শন, শেয়ারহোল্ডারদের চিঠি প্রভৃতি স্থান পেয়েছে।
দ্য স্মার্ট গাইস ইন দ্যা রুম
আমেরিকান জ্বালানী কোম্পানী ‘এনরন’ ৯০ দশকের শেষ দিক পর্যন্তও খুবই প্রশংসনীয় ছিল। ২০০১ সালের দিকে এসে প্রতারকের কূট চালে তারা তাদের সুনাম হারিয়ে ফেলে। এসময় সফল এ কোম্পানী ৬৩ বিলিয়ন খেলাপি ঋণের তলে পড়ে। বইটির দুই লেখক বেথানি ম্যাকলিন ও পিটার এলকিন্ড এর নেপথ্যের কারণ নিয়ে বইটি লিখেন। ওয়ারেন বাফেট বইটির উচ্চ প্রশংসা করেন।

লর্ডস অব ফিন্যান্স
পুলিৎজারজয়ী এ বইটি লিখেছেন লিয়াকত আহমেদ। বইটিতে লেখক দেখিয়েছেন কী করে অল্প সংখ্যক মানুষ পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করে।
গুড টু গ্রেট
বইটির লেখক জিম কলিন্স ৫ বছরের একটি কোর্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ও তার সহ-গবেষকরা ২৮টি কোম্পানীর উপর গবেষণা করলেন। তারা বোঝার চেষ্টা করছিলেন কেন বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এত এগিয়ে। বইটি মুলত এ উত্তরেরই ফলাফল। বইটি পড়ে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীরাও অনুপ্রাণিত হয়েছেন যাদের মধ্যে রয়েছেন হেওলেট প্যাকার্ডের সিইও মেগ হুইটম্যান, ভোডাফোনের চেয়ারম্যান জেরার্ড ক্লেইসটেরলি প্রমুখ।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন১,১৫৫ বার পড়া হয়েছে





