হিরো প্যাশন এক্সপ্রো, হিরো মোটোকর্পের প্যাশন সিরিজে এক নতুন সংযোজন। মোটরসাইকেলটি একদম নতুন চেহাড়া আর নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে হাজির হয়েছে। তো সেকারনেই আজ আমরা মোটরসাইকেলটির বৈশিষ্ট্য আলোকপাত করে হিরো প্যাশন এক্সপ্রো ফিচার রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি।
হিরো প্যাশন এক্সপ্রো – নতুন লুক ও ডিজাইন
নতুন হিরো প্যাশন এক্সপ্রো হিরোর প্যাশন সিরিজের সর্বশেষ সংযোজন। মোটরসাইকেলটি মূলত: ২০১৮ এর অটো এক্সপোতে প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাজারে ছাড়া হয়। এক্সপ্রো ছাড়াও প্যাশন সিরিজে আলাদা ডিজাইনের আরো দুটো মোটরসাইকেল বাজারে রয়েছে। আর নতুন এক্সপ্রো তাদের থেকে সার্বিকভাবেই আলাদা একটি বাইক।
তো নতুন হিরো প্যাশন এক্সপ্রো বেশ চমৎকার স্লিক ও স্লিম প্রফাইলের এক্সটেরিয়র দিয়ে ঢাকা। এর ডিজাইন যথেষ্ট ধারালো হলেও ধারগুলো বেশ সমন্বিত। আর এর বডি-প্যানেল আগাগোড়া এমনভাবে সমন্বিত যেন পুরোটা একটা প্যানেলে আবৃত। আর সেকারনেই এর ডুয়াল-টোন কালার-স্কিম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একইভাবে মিলিয়ে দেয়া।
বাইকটির হেডল্যাম্পটি স্পোর্টি ডিজাইনের ডুয়াল পাইলট-ল্যাম্প সম্বলিত। এর ওডোমিটারটি এ্যানালগ-ডিজিটালের কম্বো। আর এর ফুয়েল ট্যাঙ্কটি এর অন্যতম আকর্ষনীয় অংশ যার দুপাশে দু্টো স্পোর্টি স্কুপ রয়েছে। এরপরই এর সাইড-প্যানেল ঢেউ খেলে শেষ পর্যন্ত চলে গিয়েছে। আর এর টেইলটাও তীরাকৃতি এলইডি টেইলল্যাম্প, যা অত্যন্ত সুন্দর।
আর বাইকটির সিটটি একখন্ডের বড় আর বিস্তৃত একটি সিট। তবে এটা রাইডার আর পিলিয়নের জায়গা নির্দেশ করে ঢেউযুক্ত। এতে আরো রয়েছে মেটাল গ্র্যাবরেইল, বিকিনি হুইল-গার্ড, শাড়ি-গার্ড ইত্যাদি। তবে সাধারন মাডগার্ড আর ক্রাশগার্ড কিছুই বাদ পড়েনি।
ফ্রেম, হুইল, ব্রেক ও সাসপেনশন
নতুন হিরো প্যাশন এক্সপ্রো মুলত: টেবুলার ক্রেডল ফ্রেমে ডিজাইন করা। আর ফ্রেমটিতে যথাযথভাবে ক্রাশগার্ড, শাড়ি-গার্ড ইত্যাদি বসানোর ব্যবস্থা রয়েছে। বাইকটির চাকা ১৮” সাইজের, আর এর ৫-স্পোক বিশিষ্ট এ্যালয় রিমের। তবে টায়ারগুলো টিউবযুক্ত
আর এর ব্রেকিং সিস্টেমে রয়েছে সামনে হাাইড্রলিক ডিস্কব্রেক আর পেছনে ড্রাম টাইপের ব্রেক। তবে অপশনাল হিসেবে সামনের ড্রামব্রেক ভার্শন ও রয়েছে। বাইকটির সাসপেনশনের ক্ষেত্রে সামনে রয়েছে হাইড্রলিক টেলিস্কোপিক সাসপেনশন। আর এর পেছনের সাসপেনশনদুটো সিলড হাইড্রলিক সাসপেনশন। আর এই সাসপেনশন সেটআপটি ৫-স্টেপ বিশিষ্ট এ্যাডজাষ্টেবল।
রাইডিং ও হ্যান্ডলিং ফিচার
হিরো প্যাশন এক্সপ্রো বাইকটি অত্যন্ত সহজ নিয়ন্ত্রনযোগ্য হালকা আর আরামদায়ক অবয়বের একটি বাইক। এটার সিটটা বেশ লম্বা আর সুপরিসরযুক্ত। আর এর সিটের পরিসর পুরোপুরি আপরাইট-রাইডের জন্যে সুবিন্যস্ত।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Singapore Tour with Universal Studio 4D/3N
Maldives (Fun Islands) 3D/2N
ব্রুনাই ভিসা
সেইসাথে বাইকটির পাইপ-হ্যান্ডেলবার আর অন্যান্য কন্ট্রোল-লিভারের পজিশন ও আপরাইট রাইডিংয়ের জন্যে সেট করা। আর্ বাইকটির ১১৯কেজি ওজন, ৭৯০মিমি স্যাডল-হাইট ও ১৬৫মিমি গ্রাউন্ড-ক্লিয়ারেন্স বাইকটিকে কন্ট্রোল করতে দেয় বাড়তি সুবিধা।
আর বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা হিসেবে এতে আরো রয়েছে ক্রাশগার্ড, শাড়ি-গার্ড ইত্যাদি। সেইসাথে স্পোর্টি হুইল-গার্ড, মেটাল গ্র্যাব-রেইল, একজষ্ট-হিটশীল্ড এসবতো থাকছেই। সুতরাং সবমিলিয়ে বলা যায় হিরো প্যাশন এক্সপ্রো সহজে রাইড, কন্ট্রোল আর হ্যান্ডেলিংয়ের জন্যে বেশ সমন্বিত একটি মোটরসাইকেল।
ইঞ্জিন ফিচার
নতুন হিরো প্যাশন এক্সপ্রো এর ইঞ্জিন একটি ১১০সিসির গ্যাসোলিন ইঞ্জিন। হিরো মোটোকর্পের তথ্যমতে এটা তাদের নিজস্ব ডেভেলপ করা ইঞ্জিন। আর এটা আগেই তাদের স্প্লেন্ডর ১১০ মডেলের বাইকটিতে সফলতার সাথে ব্যবহার করে পরিক্ষা করা হয়েছে। আর তাদের দাবীমতে এই ইঞ্জিনটি আগের তুলনায় আরো বেশি এফিশিয়েন্ট ও পারফর্মেন্স ওরিয়েন্টেড।
এই ইঞ্জিনটি মুলত: ৫৩.০মিমিX৪৯.৫মিমি বোর ও ষ্ট্রোকের ১০৯.১৫সিসি ক্ষমতার একটি ইঞ্জিন। এটি একটি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, এয়ারকুল্ড, ফোর-ষ্ট্রোক ইঞ্জিন, যাতে ওএইচসি ২-ভালভ সমন্বয় করা। আর এটি কারবুরেটর সংযুক্ত ও কিকার ও ইলেকট্রিক উভয়ের সাহোয্যেই ষ্টার্ট করা যায়।
তো কমিউটার প্রফাইলের এই ইঞ্জিনটি মোটামুটি সর্বোচ্চ ৭.০কিলোওয়াট পাওয়ার, আর ৯.০এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে। আর এই পারফর্মেন্স ফিগারের সাথেই রয়েছে হিরোর i3s ফুয়েল ইকোনমি ফিচার। সুতরাং এই ইঞ্জিন ফুয়েল সাশ্রয়েও সক্ষম। তো সব মিলিয়ে বলা যায় নতুন হিরো প্যাশন এক্সপ্রো পারফর্মেন্স ও ফুয়েল ইকোনমির এক চমৎকার সমন্বয়।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১,৬৮৮ বার পড়া হয়েছে





