শীত মানেই একটু বাড়তি যত্ন। এরই রেশ ধরে পোশাক পরিচ্ছদসহ গৃহসজ্জাতেও আসে খানিকটা পরিবর্তন। এই শীতে আরাম ও সুরক্ষার পাশাপাশি ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যবহার করা যেতে পারে বর্ণিল কারুকার্যময় নান্দনিক নকশার কার্পেট।

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে প্রায় ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করছেন কামরুজ্জামান। তিনি জানান, অনেকেই হয়তো সারাবছর বাসা কিংবা অফিসের মেঝে খোলা রাখেন তবে শীত এলেই বেড়ে যায় কার্পেটের ব্যবহার। আকারের বিবেচনায় বাজারে সাধারনত দুই ধরনের কার্পেটের দেখা মেলে- পিস কার্পেট এবং ওয়াল টু ওয়াল কার্পেট। ওয়াল টু ওয়াল কার্পেট মূলত অফিসের জন্য ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে বাসাবাড়িতে ব্যবহারের জন্য ঘরজোড়া কার্পেটের চেয়ে পিস কার্পেটের প্রচলনই বেশী।

আরেক কার্পেট ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান বলেন, ক্ষেত্রবিশেষে কেউ কেউ পাতলা কার্পেট পছন্দ করলেও পুরু কার্পেটের ব্যবহার অপেক্ষাকৃত বেশী। কার্পেটের ব্যবহারে শুধু ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতেই নয় বরং সৌন্দর্যের বিষয়টিও যেহেতু মাথায় রাখা হয়, সেহেতু ঘরের আসবাব, পর্দার রঙ ইত্যাদির সঙ্গে মানিয়ে যায় এমন উজ্জ্বল রঙ বেছে নেওয়া ভালো। তাছাড়া শীতকালে লাল, কমলা , বাদামী রঙের কার্পেটের ব্যবহার ঘরকে উষ্ণ রাখতে সহায়ক।

বাহারি নকশা, মেটেরিয়াল বিশেষত ফাইবারের ভিন্নতার উপর নির্ভর করে কার্পেটের দরদামে ভিন্নতা দেখা দেয়। বিভিন্ন আকারের পিস কার্পেট কেনা যাবে পনেরশ থেকে বারো হাজার টাকায়। অন্যদিকে ওয়াল টু ওয়াল কার্পেট প্রতি বর্গফুট সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়।

বাজারে যেসব কার্পেট পাওয়া যায় এগুলো সবই বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানী করা হয়, দেশে কার্পেট শিল্প এখনো প্রসার লাভ করেনি। এসব কার্পেটের অধিকাংশই ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া, বেলজিয়াম, চীন এবং তুরস্কের। মানের বিচারে তুরস্কের কার্পেটের চাহিদা সর্বাধিক, তাই এর দামটাও তুলনামূলক বেশী। কার্পেট কেনা যাবে রাজধানীর এলিফেন্ট রোড, বায়তুল মোকাররম, গুলশান-২ থেকে। চাইলে পুরনো কার্পেট রঙ করে ব্যবহার করা যায়। সেক্ষেত্রে রাজধানীর পল্টন , সেগুনবাগিচা থেকে প্রতি বর্গফুট ১০ থেকে ২৫ টাকা দরে রঙ করা যাবে।

কার্পেটের পাশাপাশি ইদানীংকালে শতরঞ্জির ব্যবহারও লক্ষনীয়। দেশেই তৈরি হয় বলে কার্পেটের তুলনায় কিছুটা সুলভ মূল্যে পাওয়া যায় বাহারি কারুকাজের এসব শতরঞ্জি।

ফিচার বিজ্ঞাপন

বেইজিং ও কুনমিং ৭ দিন ৬ রাত

মূল্য: ৮৪,৯০০ টাকা

US Visa for Retired Person

মূল্য: 5,000 Taka

বালি ও লম্বক ৫দিন ৪ রাত

মূল্য: ২৯,০০০ টাকা

যদিও ইদানীং গৃহসজ্জায় শহুরে মানুষের শৌখিনতার সাথে তাল মিলিয়ে বাড়েনি কার্পেটের চাহিদা। এজন্য অবশ্য গরমের আধিক্য এবং শীতকাল হ্রাস পাওয়াকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।

– আফরোজ ন্যান্সি

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত আয়োজন এখানে অপেক্ষা করছে

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত ...



১,৮৯৫ বার পড়া হয়েছে