পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, যানজট নিরসনে রাজধানীর পৃথক তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ হচ্ছে রোববার (৭ জুলাই) থেকে। এ তিন সড়কের গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক গাবতলী থেকে শ্যামলী, আসাদগেট, নিউ মার্কেট হয়ে আজিমপুর।
রিকশা বন্ধ হতে চলা এ সড়কের যাত্রীদের ভোগান্তি এড়াতে বিকল্প পরিবহন
ব্যবস্থার কথা বলা হলেও সাধারণ যাত্রীরা বলছেন, ‘অন্তত এ সড়কে রিকশার
বিকল্প কোনো বাহন নেই।’
এদিকে মিরপুর হয়ে যেসব বাস এ রুটে চলাচল করে সেসব বাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘রিকশা না থাকলে সাধারণ যাত্রীদের জন্য রাস্তার মাঝখানে একাধিক জায়গায় বাস থামাতে হবে। যার ফলে বাস ধীরগতি হবে, যানজট নিরসন করতে গিয়ে নতুন করে আবার যানজটের শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।’
গাবতলীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা হাফিজুর রহমান নামে এক যাত্রী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে রিকশা চলাচল বন্ধের কথা শুনেছি। দেখেন, আমি যাব দারুস সালাম থানার সামনে। এটুকুর জন্য রিকশাই আমার জন্য সবচেয়ে সহজ বাহন হতে পারে। যেমন আমার কাছে বড় বড় দু’টি ব্যাগ রয়েছে, বাসে যেতে হলে এমন ব্যাগ ওঠানো-নামানোর ক্ষেত্রে আমাকে ভোগান্তি পোহাতে হবে।’
হাফিজুর আরো বলেন, ‘আমি মনে করি না, শুধু রিকশার জন্য যানজট হয়। বাসগুলো সচেতনভাবে সঠিক জায়গায় থামে না। যার ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। যদি বাসগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয়, তাহলে যানজট নিরসন সম্ভব না।
কল্যাণপুরে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রী মহসিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কল্যাণপুর এলাকার বাসস্ট্যান্ড থেকে অনেক বাস উত্তরবঙ্গের দিকে যায়। বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে চাইলেই সহজে বাসে ওঠা-নামা করা যায় না। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে। যানজট নিরসনে রিকশা চলাচল বন্ধ কোনো স্থায়ী সমাধান হতে পারে না।’
মোহাম্মদপুর থেকে আসাদগেট-শ্যামলী হয়ে আব্দুল্লাহপুর সড়কে চলা প্রজাপতি পরিবহনের চালক খালেক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কোনো মোড়ে বা নির্দিষ্ট স্থানে কয়েকজন যাত্রী থাকলে বাসচালকরা গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠান। সল্প দূরত্বে যেতে হলে রিকশায়ই যান সাধারণ মানুষ। এখন রিকশা না চললে রাস্তার কিছু দূর পর পর যদি যাত্রী দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে নিয়ম অমান্য করে হয়তো আমরাও যাত্রী ওঠানোর চেষ্টা করব। এতে কিন্তু বাসগুলো চলবে আরও ধীর গতিতে। ফলে যানজট নিরসন তো হবেই না, বরং আরও বাড়তে পারে।’
ফিচার বিজ্ঞাপন
সিঙ্গাপুর ভিসা (বিজনেসম্যান)
Singapore Tour with Sentosa 4D/3N
Australia Visa for Lawyer
একই ধরনের দুর্ভোগের কথা বলেছেন নিউ মার্কেটে শপিং করতে আসা সুমাইয়া আক্তার। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সাইন্স ল্যাব থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত বেশ অনেকটা পথ। অনেক সময় হেঁটে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। আবার বাসে যাওয়ার মতো বেশি দূরত্বও নয়। এখানে রিকশাই উপযোগী। যদি এ সড়কে রিকশা বন্ধ করে দেয়, তাহলে নিউ মার্কেটে আসা মানুষ দুর্ভোগে পড়বেন।’
তবে বর্তমান যানজটের কারণ হিসেবে রিকশাকেই দায়ী করছেন এ সড়কের একাধিক ট্রাফিক পুলিশের সদস্য। তারা বলছেন, ‘যদি রিকশা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাহলে এ সড়কের প্রায় শতভাগ যানজট নিরসন সম্ভব হবে।’
শ্যামলীতে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই সজল বার্তা২৪.কমকে জানান, এ রুটে যেভাবে এলোমেলোভাবে রিকশা চলাচল করে, তাতে দুর্ঘটনার পাশাপাশি যানজট লেগেই থাকে। এজন্য রিকশা বন্ধ হওয়া জরুরি।
গাবতলী বাস টার্মিনালের সামনে দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট ফাহিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিশ্বাস করেন, রিকশা বন্ধ করা সম্ভব হলে কাল থেকেই এ সড়কের চেহারা পাল্টে যাবে। প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, মঙ্গলবার নিউ মার্কেট বন্ধ থাকায় এ সড়কে তেমন একটা রিকশা দেখা যায় না। নির্বিঘ্নে বাস চলাচল করতে পারে। ফলে এদিন যানজট থাকে না। আমি মনে করি, এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত।’
উল্লেখ্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বুধবার নগর ভবনে
ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল অথরিটি গঠিত কমিটির এক বৈঠকে গাবতলী থেকে
আজিমপুর, সাইন্সল্যাব থেকে শাহবাগ, কুড়িল থেকে খিলগাঁও-সায়দাবাদ পর্যন্ত
সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন।
রোববার (৭ জুলাই) থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন৭৯৭ বার পড়া হয়েছে





