বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের কেন্দ্রবিন্দু হওয়াতে তুরস্ক হয়ে উঠেছে বৈচিত্র্যময় একটি দেশ। ইউরোপ ও এশিয়ার মিলনস্থল হওয়াতে দুই মহাদেশের সংস্কৃতির প্রভাব সমান ভাবে লক্ষ্য করা যায় তুরস্কের সংস্কৃতিতে।
অতীতের বাইজেন্টাইন এবং অটোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী হওয়ায় ইস্তাম্বুল সবসময়ই পর্যটকদের তালিকায় জায়গা করে নেয়। তবে তুরস্ক দেখার জায়গা রয়েছে অনেক।
৭. আন্টালিয়া
অসংখ্য রিসোর্ট, হোটেল, বার এবং রেস্টুরেন্টে সাজানো বিশাল এক শহর আন্টালিয়া। ভূমধ্য সাগরের উপকূলে এই শহরের অবস্থান। শহরটির একদিকের সীমানা জুড়েই দর্শনীয় সমুদ্র সৈকত আর সবুজ পাহাড়। এর ভেতরে ভেতরে প্রাচীন স্থাপত্যের ধ্বংসাবশেষ। সাঁতার কাটা, নৌকা চালানো, পর্বত আরোহন এসব কিছুই পাবেন আন্টালিয়াতে। দেখার মত স্থাপনার তালিকায় আছে কালেইচি, ওল্ড কোয়ার্টার, পুরানো শহরের দেয়াল, রোমান গেট, ধাঁধাময় প্রাচীন রাস্তা ও ক্লক টাওয়ার।
৬. মারমারিস
তুরস্কের সবচেয়ে জনপ্রিয় সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্ট গুলোর একটি মারমারিস। পাইন গাছে ঢাকা পাহাড়, সাদা বালির সৈকত, ফিরোজা নীল রঙের সমুদ্র এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য সব মিলিয়ে হয়তো সবচেয়ে সুন্দর রিসোর্ট এটি। দক্ষিণ পশ্চিম তুরস্কের টার্কিশ রিভিয়েরার সাথেই এর অবস্থান। ওয়াটার স্পোর্টস, রোমাঞ্চকর কারসাজি, চমৎকার খাবারের আয়োজন ও জাঁকজমকপূর্ণ রাতের পরিবেশের জন্য পর্যটকেদের কাছে মারমারিসের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। এখানে আপনি পাবেন নৌকা ভ্রমণের আয়োজন। যাতে করে ঘুরে দেখতে পারবেন অসম্ভব সুন্দর এই উপসাগরীয় অঞ্চল ও পার্শ্ববর্তী গ্রামাঞ্চল। এতেও যদি আপনার মন না ভরে তবে দিনে দিনেই আপনি ঘুরে আসতে পারবেন ডালিয়ান, ইফেসাস, পামুকেলে ও ক্লিওপেট্রা দ্বীপ।
৫. সাইড
প্রাচীন পামফিলিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর যা খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট এর অধীনে ছিল। সাইড বর্তমানে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ ও আধুনিক রিসর্ট সম্বলিত একটি দৃষ্টিনন্দন শহর। ছোট একটি উপদ্বীপে অবস্থিত সাইডে আপনি পাবেন অসম্ভব সুন্দর প্রকৃতি, খাবার আয়োজন ও রাতের জাঁকজমক। এই শহরের মূল আকর্ষণ হল মাটি খুড়ে আবিষ্কৃত প্রাচীন হেলেনীয় এবং রোমান প্রকাণ্ড অ্যামপিথিয়েটার ও বিভিন্ন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। সরু রাস্তা এবং আকর্ষণীয় বাগানে সাজানো শহর সাইড জুড়েই আপনি পাবেন নামকরা পিজার দোকান ও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের জন্য বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ।
৪. বোড্রম
ফিচার বিজ্ঞাপন
Dubai City tour- Dhow cruise- Desert safari- Burj Khalifa 6D/5N
কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং (বিজনেসম্যান)
Canada Visa for Businessman
প্রাচীন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি হচ্ছে মোসোলেয়াম। যা অবস্থিত ছিল তুরস্কের দক্ষিণ এজিয়ান অঞ্চল এই বোড্রম-এ। বর্তমানে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ, সমুদ্র সৈকত ও পাহাড়ের চুড়ায় রেস্তোরাঁর জন্য বোড্রম বিখ্যাত। সেন্ট পিটারের দুর্গ না দেখলে আপনার বোড্রম ভ্রমণই বৃথা যাবে। যা বোড্রম ক্যাসেল নামেও পরিচিত। ১৪০২ খ্রিস্টাব্দে নাইট হসপিটালার এটি নির্মাণ করেন। যা বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। বোড্রমের পূর্ব দিকে রয়েছে তুরস্কের বিখ্যাত নীল পানির সমুদ্র সৈকত। সৈকতের কাছেই পাবেন ক্যাফে, বার ও নাইটক্লাব। আর পশ্চিম দিকে পাবেন মারিনা, শপিং সেন্টার এবং রেস্টুরেন্ট।
৩. এফেসাস
এফেসাস শহরটাও তুরস্কের এজিয়ান অঞ্চলেই অবস্থিত। সম্ভবত এটি ইউরোপের সবচেয়ে পরিপূর্ণ ক্লাসিক্যাল মহানগরী। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে রোমান সাম্রাজ্যের বৃহত্তর শহর গুলোর একটি ছিল এফেসাস। প্রাচীন বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের একটি, আর্টেমিসের মন্দির এখানেই অবিস্থিত ছিল। এফেসাসের ধ্বংসাবশেষ একটি বিশাল প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট হিসেবে খুব ভাল ভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ কারণেই এফেসাস তুরস্কের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। আকর্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে প্রকাণ্ড থিয়েটার, হাদ্রিয়ান মন্দির, দ্বিতল বিশিষ্ট বিশাল সেলসাস গ্রন্থাগার।
২. ক্যাপাডোসিয়া
কেন্দ্রীয় আনাতোলিয়ায় অবস্থিত ক্যাপাডোসিয়া সুপরিচিত হয়েছে এর অস্বাভাবিক আকৃতির পাহাড়ের সমন্বয়ে গঠিত রূপকথার রাজ্যের মত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য। প্রাচীন আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত বেয়ে পড়া ও প্রাকৃতিক ভূমি ক্ষয় থেকে কালে কালে এই অঞ্চলের পাহাড় গুলো এমন উদ্ভট আকৃতি ধারণ করেছে। এর পরে হাজার বছর আগে মানুষ এই পাহাড় গুলোর বুকে খুড়ে খুড়ে বসত বাড়ি, মন্দির ও ভূগর্ভস্থ শহর তৈরি করে। হিটাইটস-রা সর্বপ্রথম পারস্য ও গ্রীক আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ ধাঁধা খনন করে। এর অনেক পরে খ্রীষ্টধর্মাবলম্বীরা ক্যাপাডোসিয়ার এসব সুড়ঙ্গপথ ও গুহায় আশ্রয় নেয়। বর্তমানে এসব গুহার মধ্যেই নির্মিত হয়েছে হোটেল ও রেস্তোরাঁ।
১. ইস্তাম্বুল
একসময় অটোমান এবং বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল এই ইস্তাম্বুল। পৃথিবীর বৃহত্তর শহর গুলোর মধ্যে অন্যতম ইস্তাম্বুল তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর। সংকীর্ণ প্রণালির মধ্যে অবস্থিত ইস্তাম্বুল শহরটাই পৃথিবীর একমাত্র শহর যেটি এশিয়া ও ইউরোপের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করছে। চিত্তাকর্ষক স্থাপত্য, ঐতিহাসিক সাইট, খাবার, শপিং, রাতের আয়োজন ও চমৎকার আবহাওয়ার কারণে ইস্তাম্বুলকে তুরস্কের সর্বোৎকৃষ্ট বেড়ানোর স্থান বলা যায়। পুরনো শহরেই আপনি খুঁজে পাবেন সব দর্শনীয় ঐতিহাসিক স্থান গুলো। যার মধ্যে রয়েছে হাইয়া সোফিয়া, নীল মসজিদ ও টপকাপি প্যালেস।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...
৮৩৫ বার পড়া হয়েছে